পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/৯৬

চৈতন্যভাগবত । b o রক্ষে কিবা পৃথিবী গঙ্গায় । না জানেন হরিদাস আছেন কোথায় ৷ প্ৰহল। দের যেহেন স্মরণ কৃষ্ণভক্তি। সেইমত হরিদাস ঠাকুরের শক্তি । হরিদাস ঠাকু রের কিছু চিত্র নহে। নিরবধি গৌরচন্দ্ৰ যাহার হৃদয়ে। রাক্ষসের বন্ধন যেহেন হ নুমান। ইচ্ছাকরি লইলেন বাহ্মার সন্মান ৷ এইমত হরিদাঁসের ঘবন প্রহারে । জগতের শিক্ষালাগি করিলা স্বীকারে ৷ অশেষ দুৰ্গতি হয় যদি যায় প্রাণ। তথ। পিও বদনে না ছাড়ে হরিনাম ॥ অন্যথা গোবিন্দ হেন রক্ষক থাকিতে। কীর শক্তি আছে হরি দাসেরে লংঘিতে । হরিনাম স্মরণেতে এদুঃখ সৰ্ব্বথা । খণ্ডে সেইক্ষণে হরিদাসের কি কথা। সত্য২ হরিদাস জগত ঈশ্বর । চৈতন্য চন্দ্রের মহামুখ্য অনু চর ॥ হেনমতে হরিদাস ভাবেন গঙ্গাতে। ক্ষেণেকে হইল বাহ ঈশ্বর ইচ্ছাতে ॥ চৈতন্য পাইয়া হরিদাস মহাশয় । তিরে আসি উঠিলেন পরানন্দ ময় ॥ দেখিয়া অদ্ভুত শক্তি সকল যবন। সভার খণ্ডিল হিংসা ভাল হৈলমন ॥ পীরজ্ঞান করি সভে কৈল নমস্কার । সকল যবনগণ পাইল নিস্তার ॥ কতক্ষণে বাহ পাইলেন হরিদাস । মলুকপতিরে চাহি হৈলরূপহাস ॥ সংক্রমে মলুকপতি জুড়ি দুইকর। বলিতে লাগিল। কিছু বিনয় উত্তর ॥ সত্য২ জানিলাম তুমি মহাপীর। একজ্ঞান তোমার সে হইয়াছে স্থির ॥ যোগী জ্ঞানী সবমাত্র মুখে জানি বোলে। তুমিসে পাইলা সিদ্ধি মহাকুতুহলে। তোমারে দেখিতে মুঞি আনিমু এখারে। সব দোষ মহাশয় ক্ষমিবে আমীরে ; সকল তোমার সম শত্ৰু মিত্র নাই । তোম। চিনে হেন জন ত্রিভুবনে নাই। চল তুমি শুভ কর আপন ইচ্ছায়। গঙ্গাতীরে থাক গিয়া নি জন গোফায় ॥ আপন ইচ্ছায় তুমি থাক যথা তথা । যে তোমার ইচ্ছ। তুমি ক রহ সৰ্ব্বথা । হরি দাস ঠাকুরের চরণ দেখিলে। উত্তমের কি দায় ষবন দেখি ভুলে। এত ক্রোধে অনিলেক মারিবার তরে। পীরজ্ঞান করি আর পায়ে পাছে ধরে। ঘবনেরে কৃপাদৃষ্টি করিয়া প্রকাশ। ফুলিয়ায় আইলা ঠাকুর হরি দাস ॥ উচ্চ করি হরিনাম লইতে লইতে। আইলেন হরি দাস ব্রাহ্মণ সভাতে । হরি দাসে দেখিয়া ফুলিয়ার বিপ্ৰগণ। সভেই হইল আতি পরানন্দ ম ন ॥ হরিধনি বিপ্রগণ লাগিল করিতে । হরি দাস লাগিলেন আননের নাচিতে। অনন্ত অৰ্ব্ব দ হরি দাসের বিকার। অশ্ৰু কম্প হাস্ত মুচ্ছ পুলক হুঙ্কার ॥ আছাড় খায়েন হরিদাস প্রেমরসে। দেখিয়া ব্রাহ্মণগণ মহাননে ভাসে। স্থিরহই ক্ষণেক বসিল হরিদাস । বিপ্রগণ বসিলেন বেঢ়ি চারি পশি ॥ হরিদাস বলেন শুনহ বিপ্রগণ । দুঃখ নাভাবিহ কিছু আমার কারণ ॥ প্রভুর নিন্দ। আমি যে শুনিল অপার । তার শাস্তি করিলেন ঈশ্বর আমার ॥ ভাল হৈল ইথে বড় পাইলু সন্তোষ । অল্প শাস্তি করি ক্ষমিলেন বড় দোষ। কুম্ভিপাক হয় বিষ্ণ নন্দন শ্রবণে । তাহ আমি বিস্তর শুনিল পাপকাণে ॥ যোগ্য শাস্তি করিলেন