পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(w) অন্ত্যখণ্ডের কথাসার । করিয়া পরমযান্ত্ৰে নিজগৃতে লই”৷ অ'সিলেন। তৃতীয়ে –ভগবান শ্ৰীগৌরহরির মায়ায় মুগ্ধ হইয়া সাৰ্ব্বভৌম মহাপ্রভুর প্রার্থনানুসারে মহাপ্রভুকে অনেক উপদেশ প্ৰদান করিলেন এবং ‘আত্মারাম’ শ্লোকের ত্রয়োদশ প্রকার ব্যাখ্যা । করিলেন। মহাপ্ৰভু সা দম্ভেীমের ব্যাখ্যা স্পর্শ না কবিয়া উক্ত শ্লোকে বা বহুপ্রকার অভিনব ব্যাখ্যা করিয়া বিস্মিত সার্বভৌমকে নিজ বড় ভুজমূৰ্ত্তি প্রদর্শনপূর্বক রূপা করিলেন । তদশনে মচ্ছিত সাৰ্ব্বভৌম মহাপ্রভুর শ্ৰীহস্তম্পর্শে সংজ্ঞা লাভ করিলেন । মহাপ্ৰভু পুন: সৰ্ব্ব৬েীমোব পক্ষে পাদপদ্ম স্থাপন কবিয়া কৃপা করিলে সাৰ্ব্বভৌম তৎক্ষণাৎ ॥ ‘সার্বভৌম শতক’ নামে প্ৰসিদ্ধ শতশ্লোক বচনা করিযী। মহা প্রভূর স্তব করিলেন । ক তদিনের মধ্যে ক্রমে ক্রমে শ্ৰীপরমানন্দ পুৰী, শ্ৰীস্বৰূপ দামোদর প্রদায় মিশ্র, বায় বার্মানন্দ প্রভৃতি আসিয়া মিলিত হইলে মহাপ্ৰভু কীৰ্ত্তনবিলাস আরম্ভ করিলেন। কিছুকাল পাবে মহা প্ৰভু গৌডদেশে বিজয় করিয়া প্রথমে বিদ্যানগরে পবিষ্ঠাবাচস্পতি-গহে, এবং তথা হইতে কুলিয়ায় গিয়া সকলকে রূপঃ-উপদেশে ও সংকীৰ্ত্তন বসে কৃতাৰ্থ করলেন। কুলিয়ার এক ব্ৰাহ্মণ বৈষ্ণবনিন্দারূপ অপরাপের প্রায়শ্চিন্তু জিজ্ঞাসা কৱিলে মহাপ্ৰভু তহু স্তরে বলিলেম-বৈষ্ণবগুণ-কীৰ্ত্তনই বৈষ্ণবনিন্দার একমাত্র প্রায়শ্চি স্তু। বক্লেশ্বর পণ্ডিতের সঙ্গ প্রভাবে দেবানন্দ পণ্ডিতের শ্ৰীচৈতন্য পাদপদ্মে বিশ্বাস জন্মিয়ছিল। এখন কুলিয়ায় দেবানন্দের সকল পূৰ্ব্ব অপরাধ ক্ষমা করিয়া মহাপ্ৰভু তাহাকে রূপা করিলেন এবং ভাগবত-ব্যাখ্যা প্রণালী উপদেশ করিলেন। চতুর্থ-অপরাধভঞ্জনপটি কুলিয়ায অপরাধগণের অপরাধমোচন ও জীবােদ্ধার কবির, মহাপ্ৰভু ভক্তগোষ্ঠীসহ গঙ্গাতীরে মথুৱাভিমুখে যাত্ৰা কবিলেন এবং গৌড়ের নিকটে রামকেলিগ্রামে কয়েকদিন অবস্থান করলেন। বিধৰ্ম্মী বাদসা হোসেন সাহ ও মহাপ্রভুর মহিমা প্ৰবণে তঁহাকে ‘ঈশ্বব” বলিয়৷ ধাবণা করিলেন। তথাপি সািজনগণ বিধৰ্ম্মীর চিত্তবৃত্তিতে আস্ত স্থাপন না করিয়া মতাপ্ৰভুকে রামকেলি পরিত্যাগের জন্য জানাইলেন। মহাপ্ৰভু সকলকে অভয়দানপূর্বক বৈষ্ণবাপরাধী ব্যতীত সকলকেই দুর্লভ হরিনাম-বিতরণে উদ্ধার করিবার প্রতিজ্ঞা জানাইলেন এবং পৃথিবীর যাবতীয় দেশগ্রামে তঁহার নাম প্রচার হইবে বলিয়। ভবিষ্যদবাণী করিলেন। অনন্তর মহাপ্ৰভু রামকেলি হইতে ফিরিয়া শান্তিপুর অদ্বৈতগুহে আসিলেন। নবদ্বীপ হইতে শচীদেবী ভক্তগণসহ আসিয়া মিলিত হইলেন। এখানে মহাপ্ৰভু, মরারিগুপ্তের মস্তকে স্বীয় পাদপদ্ম স্থাপনপূর্বক মুরারিকে নিত্য রাম-দাসত্বের বর দিলেন এবং শ্ৰীবাসের চরণে অপরাধ-তেতু এক কুণ্ঠরোগীকে শ্ৰীবাসের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করাইয়া মুক্ত করিলেন। শ্ৰীলঅদ্বৈতাচাৰ্য শ্ৰীমন্মহাপ্রভুকে লইয়া মাধব-তিদি-আরাধনা ও বিরাট সঙ্কীৰ্ত্তন-মহামহোৎসব অনুষ্ঠান করিলেন। পঞ্চমে-মহা প্ৰভু শান্তিপুর হইতে কুমারহট্ট শ্ৰীবাস-ভবনে আসিলেন। তথায় শ্ৰীশিবানন্দ সেন শ্ৰীলবাসুদেব দত্ত ঠাকুর প্রভৃতি ভক্তবৃন্দ আসিয়া মহাপ্রভুর চরণে উপস্থিত হইলেন। মহা প্ৰভু শ্ৰীবাসকে তঁহার ঘরে লক্ষ্মী অচলা হইবে বলিয়া বর দেন। শ্ৰীবাসভবন হইতে মহা প্ৰভু পাণিহাটী রাঘবপণ্ডিতের গৃহে আসিলেন । রাঘবকে কৃপা উপদেশ করিয়া মহাপ্ৰভু বরাহনগরে পরম-ভাগবত এক ব্ৰাহ্মণের ভাগবত-পাঠ-শ্রবণে বিশেষ আনন্দিত হইয়া তাহাকে “ভাগতবতাচাৰ্য্য' পদবী প্ৰদান করিলেন। অনন্তর মহাপ্ৰভু ক্ৰমে ক্ৰমে নীলাচলে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । মহারাজ প্রতাপরুদ্রের মহাপ্রভুকে দুর্শনের জন্য বিশেষ আৰ্ত্তি হইলে তিনি সাৰ্ব্বভৌমাদির পরামর্শে মহাপ্রভুর नूऊानििन कथॆिtनन । ་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་ অবস্থা দুৰ্লনে রাজা কিছু সন্দিগ্ধচিত্ত হইলে তঁহার স্বপ্নযোগে औभन्श४डू ७ শ্ৰীজগন্নাথের অভিন্নত্ব দর্শন হইল। পরে রাজা মহাপ্রভুর চরণে পতিত হইয়া তাহার কৃপালাভ করিলেন। একদা মহাপ্ৰভু নিত্যানন্দ-প্রভুকে ডাকিয়া তােহর সহিত নিভৃতে পরামর্শ করিলেন এবং নামপ্ৰেম-প্রচাররূপ নিজা ভীষ্ট পরিপূর্ণার্থ শ্ৰীনিতানন্দকে সগণে গৌড়দেশে প্রেরণ করিলেন। নিত্যানন্দ প্ৰভু তদনুসারে প্ৰথমে পাণিহাটীতে আসিয়া রাঘব পণ্ডিতের গৃহে তিন মাস অবস্থানপূর্বক বিবিধ ভক্তিবিলাস প্ৰকাণী