পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিখণ্ড-প্ৰথম অধ্যায় আদিলীলা-সম্বন্ধে গ্রন্থকারের ভবিষ্যদবাণী— আদিখণ্ডে আছে কত অনন্ত বিলাস । কিছু শেষে বৰ্ণিবেন। মহামুনি ব্যাস ৷৷ ১১৭ ৷৷ গায়া-গমন পৰ্য্যন্ত ‘আদিখণ্ড’-- বাল্যলীলা-অাদি করি।” যতেক প্ৰকাশ । গয়ার অবধি ‘আদিখণ্ডে’র বিলাস ৷৷ ১১৮ ৷৷ প্রভুর হরিভজনের পথপ্রদর্শক রূপে স্থাপন করিবার যে বৃথা স্তমুলা চেষ্টা প্রদর্শন করিয়াছেন পা করিতেছেন, তঁহাদিগকে ভাবি দুৰ্গতি ও অপরাধ হইতে রক্ষা করিবার জন্যই ঠাকুর শ্ৰীবৃন্দাবন-দাস এস্থানে লিখিলেন যে, “শেষে করি লেন তঁর সর্ববন্ধ ক্ষয়” । ‘ভক্তিরত্নাকরে কেশবের গুরুপরম্পরা প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। }বৈষ্ণব-মথুষ্যার ১ম সংখ্যায় ‘কেশব-কাশ্মিরী’-শব্দদ্রষ্টব্য।॥১১৪৷৷ প্রভুর বাল্যলীলােয় নবদ্বীপবাসী ভক্তগণ র্তাহাকে ‘স্বয়ং কৃষ্ণ” বিলিয়া জানিতে পারেন নাই । তিনি সকল ভক্তের বিচারে মোহ উৎপাদনা করিয়া স্বয়ং ভক্তিপথে ঔদাসীন্য দেখাইয়াছিলেন। “সেইখানে।” অর্থাৎ শ্ৰীনিবদ্বীপে ; ‘বুলে’ অর্থাৎ তাদৃশ পরিচয়ে পরিচিত হইয়া লমণ বা বিহার করেন ৷ ১১৫ ৷৷ Y প্ৰভু পিতৃপ্ৰয়াণে গয়ায় শ্ৰাদ্ধ করিবার জন্য তথায় গিয়াছিলেন। সেই হরিপাদপদ্মাঙ্কিত গয়াভূমিতে শ্ৰীমন্মধ্বসম্প্রদায়ভুক্ত শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী-পাদের প্রিয়শিষ্য শ্ৰীপাদ ঈশ্বররীকে গুরুত্বে বরণ করিয়া প্ৰভু অশেষ কৃপা করিয়াছিলেন । শ্ৰীঅদ্বৈতাচাৰ্য্য-তনয় শ্ৰীগদাধর। মুগা শ্ৰী অচ্যুতানন্দ প্ৰভু পতা-অদ্বৈতপ্রভুর প্রশ্নের উত্তরে বলেন,- “চৌদভুবনের }রু চৈতন্য-গোসাঞি। তার গুরু-ঈশ্বরপুরী, কোন শাস্ত্ৰে ই।” অনেকে নিৰুদ্ধিতা করিয়া মূঢ়তাবশত: অক্ষজ তিহ্যজ্ঞানে শ্ৰীঈশ্বর-পুরীর শিষ্য বলিয়া গৌরসুন্দরকে ভিহিত করেন ; কিন্তু বৈষ্ণবরাজ ঠাকুর-শ্ৰীবৃন্দাবন তাদৃশ আহান্ধ জনগণের বিপদুদ্ধারণ হইয়া প্রভুর কৃপাপাত্ররূপেই শ্বরপুরীকে এস্থলে নির্দেশ করিলেন। ১১৬ ৷৷ ভগবানের অসংখ্য লীলাবিলাস মহামুনি শ্ৰীব্যাস বর্ণন ब्रिा बाप्कन ; cशोब्रश्मरब्रम्न cष-गकल गोग। यद्दे आएर 8v) 9 ਫ--ਭਵ(১) প্রভুর প্রকাশ, ভক্তগণের অবগতি— মধ্যখণ্ডে, বিদিত হইলা গৌর-সিংহ। চিনিলেন যত সব চরণের ভৃঙ্গ ৷৷ ১১৯ ৷৷ (২) অবৈত ও শ্ৰীবাস-গৃহে বিষ্ণুসিংহাসনে প্ৰকাশ।-- মধ্যখণ্ডে, অদ্বৈতাদি শ্ৰীবাসের ঘরে। ব্যক্তি হৈলা বসি’ বিষ্ণু-খাট্টার উপরে ॥ ১২০ ৷৷ লিখিত হইয়াছে, তদ্ব্যতীত আর ও কতিপয় লীলা বেদবিভাগকৰ্ত্তী ব্যাসোপম জনগণ বর্ণনা করিলেন । যাহারা ভগবান। গৌরসুন্দরের লীলা বর্ণন করেন, তাহারাও ব্যাসপারস্পৰ্য্যে ব্যাসাসনে উপবিষ্ট ভাগবল্লীলা-লেখক ‘ব্যাস”। ইতার-মুনিগণ ভগবল্লীলা ব্যতীত অন্য কথা বর্ণন করেন ; কিন্তু শ্ৰীব্যাস ভগবানের কথা ব্যতীত ইতার-কথা বৰ্ণন না করায় তিনিই মহামুনি ; আর অপরাপর মুনিগণ নামে-মাত্র ‘মুনি’,-ব্যাসের ন্যায়। ‘মহামুনি” নহেন। “কৃষ্ণেতর কথা-‘বাগাবেগ” তার নাম” ; সেই বাক্যকে যিনি কৃষ্ণসেলার্থ দণ্ডিত করেন, তিনিই ‘বর্ণিবেন’,- এই ভবিষ্যৎপদ প্ৰয়োগে মহামুনি ব্যাসের অনুগ ব্যাসগণের অধিষ্ঠানে অক্ষাজ-জ্ঞানাবিলম্বিগণের সন্দেহ ऐश्रट्रिड् छ्न् ॥ ७५१ ॥ প্রভুর গয়া ক্ষেত্ৰাভিযান ও তথা হাঁটতে পুনরায় প্রত্যাবৰ্ত্তন-পৰ্য্যন্ত লীলাকথাই “আদিপণ্ডে” স্থান পাইয়াছে ॥১১৮ গৌরসিংহ,-“সু্যাপ'ন্তরপদে ব্যাঘ্ৰপুঙ্গবর্ষাভকুঞ্জরাঃ । সিংহ শাৰ্দ্দল-নাগাস্কাঃ পুংসি শ্রেষ্ঠাৰ্থবাচক; ॥” (-পাণিনি ২।১।৫৬-টীকা ) । “চৈতন্যসিংহের নবদ্বীপে অবতার। সিংহগ্রীব, সিংহবীৰ্য্য, সিংহের হুঙ্কার ৷ ( —চৈঃ চিঃ আদি ৩য়

  • i: 2 • **() )

ভগবানের চরণ সর্বদাই কমল রূপে গঙ্গীত । পদকমলেমধু পানাৰ্থ ভক্ত-ভৃঙ্গকুল তাহাতে আকৃষ্ট হইয়া থাকে ॥১১৯৷৷ বিষ্ণু খট্টা,-বিষ্ণু যে খাট্ট বা সি’হাসনে সংরক্ষিত ও সম্পূজিত হন। “খটু’-শব্দে কাষ্ঠাদি নিৰ্ম্মিত চতুষ্পদী সি’ল- সান ; চলিত ভাষায় ‘খাট”। ব্যক্তি তৈলা, - শ্ৰী গৌরসুন্দর স্বীয় নারায়ণ-লীলার অন্তর্গত নৈমিত্তিক অবতারাবলীর ঐশ্বৰ্য্য-লীলা প্রচার করিলেন ৷ ১২০ ৷৷