পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৭৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*MyN-Garfiets vijf প্ৰভু-কর্তৃক ভাগবতের স্বরূপ-বৰ্ণন এ বেটার ভাগবতে কোল অধিকার ? গ্ৰন্থরূপে ভাগবত কৃষ্ণ-অবতার ॥১৪৷৷ ‘প্রামাণিক জ্ঞান করে। যখন তাহাবা অপবাধ-মুক্ত হয়, GAVY সবে পুরুষাৰ্থ ‘ভক্তি’ ভাগবতে হয়। প্ৰেম-রূপ ভাগবত' চরিবেদে কয় ॥ ১৫ ৷৷ রি বেদ-“দধি’, ভাগবত—“নবনীত’ । মথিলেন শুকে, খাইলেন পরীক্ষিত ৷৷ ১৬৷৷ পাঠ করিয়াও কৃষ্ণেতর বাসনাক্ৰমে ভক্তিহীন দোষে তখন কৃষ্ণকেই একমাত্র ‘প্ৰমাণ’ জানিয়া জড়-জ্ঞানেব প্ৰত্যক্ষ দুষ্ট থাকে ৷ ১৩ ৷৷ ও অনুমান হইতে পরিত্রাণ লাভ কবে। “নৈষাং মতিস্তাবদুরুক্রেমাজিঘাং”-এই ভগবতোক্ত শ্লোক এতৎপ্রসঙ্গে TSJC SJ || ভগবান শ্ৰীগৌরহবি সৰ্ব্বভুতেব হৃদয়ে প্রবিষ্ট হইয়া সকল কথাই অবগত আছেন। কৰ্ম্মযোগ, হঠযোগ, জ্ঞানযোগ, রাজযোগ, প্ৰভৃতিব সঙ্কীর্ণতা ভগবান গৌরসুন্দব সৰ্বতোভাবে জ্ঞাত আছেন এবং ভক্তিযোগেব মহিমা জগতে বিস্তাব করিবার জন্যই জীবের চরম-কল্যাণের উদ্দেশ্যে সেই সকল কথা প্ৰকাশ করিয়াছেন। সুত বাং যেখানে ভক্তিযোগেব মহিমা ব্যাখ্যাত না হয়, সেই কথায় তিনি কখনই অনুমোদন করেন না। ॥ ১২ ৷ মহাভাগবতেব ২৬টি সদগুণ আছে। কৃষ্ণৈকশবণতাই তন্মধ্যে নিত্যমুখ্য সদগুণ। এই সদগুণ ভগবানে ও ভক্তে প্ৰকাশিত আছে। তজ্জন্যই ভক্তিবিবোধি বিচারে জীবেয়া বাসনার প্রতিকূলে তৎপ্ৰতিকাব-জন্য 'ক্ৰোধ’ নামক বাসনা ভেদকাবি উপদেশ অর্বাচীনগণেব নিকট “ক্রোধ’ শব্দ-ঘাচ্য হয়। অনৰ্থ-যুক্ত জীব স্বীয় বাসনার পরিতৃপ্তির অভাবে যে বৃত্তি প্ৰদৰ্শন কবে, তাহ নিতান্ত নিন্দ্য। কিন্তু ভগবৎ সেবা-বিরোধি জনগণের মঙ্গলেব জন্য ভগবদভক্তগণের বাসনার প্রতিকূল ব্যাপারে যে বৃত্তি প্ৰকাশিত হয়, তাহাতে কোন দোষ থাকিতে পারে না, ইহা দেখাইবার জন্যই শ্ৰীগৌরসুন্দর ক্রোবলীলা প্ৰকাশিত করিলেন। যাহাবা SYYBDBD aB DBDDDD BD DDuSDDDBDBB BBBS তাহারা শ্ৰীমদভাগবতগ্ৰন্থকে বহু শাস্ত্রের অন্যতম জ্ঞানে কেবল ধৰ্ম্মারহিত হইয়া শান্ত্রান্তর জ্ঞান করে ; সুতরাং ভাগবতের তাৎপৰ্য্য শ্ৰীভগবানের লীলা কোন অবস্থাতেই বুঝিতে পারে না। তাহাদের জন্ম-জন্মান্তরীন বাসনা ভাগবতের তাৎপৰ্য্য বুঝিতে দেয় না। তাহারা ভাগবত AVb “বেটা’ শব্দে তুচ্ছতাঞ্জাপক অনভিজ্ঞ জনকেই বুঝায়। শিশু যেরূপ অজ্ঞানপ্রিতি হইযা পিতাব নিকট মুখতা প্ৰকাশ কবে এবং পিতা বা উপদেশক যে প্ৰকার অনভিজ্ঞ জনগণকে ‘নিৰ্বোধ’ প্ৰভৃতি শব্দে অভিহিত করেন, বেটাশব্দ সেইরূপ তাহাবই সুষ্ঠুভােব প্রকাশকারী। ভাগবতেল তাৎপর্ঘ্যে প্রবিষ্ট না হইয়া কেবল শব্দোদিষ্টব্যাপাব-সমূহকে জড়বাসনায় আবদ্ধ র্যাহাব বিচাবি কবেন, তঁহাদেব ভগবৎসম্বন্ধিনী কথায় কোন প্ৰকাৰ প্ৰবেশ-লাভ ঘটে না । শ্ৰীমদ্ভাগবত গ্রন্থে কৃষ্ণকথার বর্ণনা আছে। সেই কৃষ্ণকথাকীৰ্ত্তন কর্ণকুহবে প্রবিষ্ট হইলে সাক্ষাৎ কৃষ্ণের স্মৃষ্টি হয়, তখন জড়কথারূপ আবৰ্জনা-কর্ণমূল-মধুকৈটভ নামক অসুরদ্বয় বিনষ্ট হয । ইহাই ‘কৰ্ণবোধ’-সংস্কল। চিন্ময় কর্ণ জড়াবৃত আছে বিচাবি কবিলে ভোগপর বাক্যসমূহ আমাদিগেব হৃদয়কে চঞ্চল করাষ। তখন কৃষ্ণে তার ব্যাপারই আমাদের লক্ষ্যেব। বিষয় হয়। বৈকুণ্ঠ-নাম-গ্ৰহণ, বৈকুণ্ঠরূপ-শ্রবণ, বৈকুণ্ঠ-গুণ-শ্রবণ, বৈকুণ্ঠ-পবিকবি-কীৰ্ত্তন-শ্রবণ বৈকুণ্ঠ-লীলাকথা-শ্রবণ শ্ৰীমদ্ভাগবতের সুষ্ঠুভাবে শ্রবণ হইতেই শুদ্ধসত্ত্ব নিৰ্ম্মল জীবহৃদয়ে উদিত হম। তখন হৃদয়কে বৃন্দাবনেব সহিত অভিন্ন জানিতে পারা যায়। সেখানে কৃষ্ণচন্দ্রের অবস্থিতি ৷৷ ১৪ ৷৷ সকল বেদশাস্ত্ৰই শ্ৰীমদ্ভাগবতকে ‘প্রেম’ পাপ প্ৰয়োজনতত্ত্ব বলিয়া গান করেন । প্ৰয়োজন-বিচাবে সাধারণতঃ ভোগিসম্প্রদায় ধৰ্ম্মার্থ-কামকেই লক্ষ্য করেন, ত্যাগি-সম্প্রদায় মোক্ষকে পুরুষাৰ্থ বলিয়া ধারণা করেন ; কিন্তু ভোগী ও ত্যাগিসম্প্রদায়ের অতীত সুনিৰ্ম্মল আন্না ভগবদ ভজনে পারঙ্গত হইয়া চরিবেদ হইতে ধৰ্ম্মার্থ-কাম-মোক্ষ প্রভৃতি চতুৰ্ব্বৰ্গ-বিচার পরিহার করিয়া শ্ৰীমদ্ভাগবতের কৃষ্ণপ্রেমাকেই তাৎপৰ্য্য জানেন। কৰ্ম্ম, জ্ঞান, যোগ, স্বাধ্যায় প্রভৃতি