$b' বলিয়ে পঞ্চম-বেদ, যে বুঝয়ে স্বরভেদ, বুদ্ধিরূপ সৰ্ব্বত্র সমানে ॥ ৪৯৫ ॥ পুরুষ ঠাকুর-অংশ, সকল বৈষ্ণব-বংশ, রসময় রঙ্গ-লাম পুরী। ঐছন মহিমা তার, কহিতে শকতি কার, এক-মুখে কহিতে ন পারি। ৪৯৬ ॥ যতেক গোপিক-গণে, রাস কৈল বুন্দাবনে, রাধী আগে করি করে সেবা । দ্বারকায় আছিল যত, রুক্মিণীর অনুগত, আর যভ রস-অনুভব ॥ ৪৯৭ ॥ ভক্তি বিনু নাহি তায়, নিরবধি যশঃ গায়, স্বতন্ত্র হইয়া পরাধীন। মুক্ত পুনঃ সৰ্ব্বজন, প্রাকৃত জলের হেল, ভকতি করয়ে যেন দীন ॥ ৪৯৮ ॥ সালোক্যাদি চারি মুক্তি, বৈকুণ্ঠনাথের শক্তি, ভক্তিহীন আপনে স্বতন্ত্র। লখিমীসম্পদ-ময়, দীনভাল নাহি রয়, ভকতি কেবল পরতন্ত্ৰ ॥ ৪৯৯ ॥ শর্কর। সে আপনে, নিজ স্বাদ নাহি জানে, পর জন করে উপভোগ । ঐছন মুকতি-পদ, ভক্তিগথে দেই বাধ, সব পর প্রেমভক্তিযোগ ॥ ৫০০ ॥ বিধাতার অগোচর, সে পুরী তামার ঘর, দয়ার কারণে আইল এথা। ক্রীচৈতন্য সৰ্ব্বেশ্বর, গোঁর দীর্ঘ কলেবর, দেখিয়া ঘুচাহ মনোব্যথা ॥ ৫০১ ॥ যে রূপে দেখিলে তথা, সে রূপে আসিল হেথা গুণ-কীৰ্ত্তন করিব প্রচার। ঘুচাব সকল দুঃখ, প্রচারিব প্রেমসুখ, কলিলোক করিল নিস্তার ॥ ৫০২ ৷ চলিল। লণরদমুনি, শুনি অপরূপ বাণী, বেদ-অগোচর এই কথা । বৈকুণ্ঠ-উপর আর, গোলোক দেখিব যার, সকল ভুবনে গুণগাথ৷৷ ৫০৩। শ্ৰীচৈতন্যমঙ্গল মুক্তি পরমুক্তি অণর, ভাগবত-বিচার, শুনিল নিগূঢ় যত কথা। লোক-বেদ-অবিদিত, অবিদিত অবেকত, বেকভ দেখিব আজি তথt ॥ ৫০৪ ॥ অমুরাগে ধায় মুনি, বীণর শবদ শুনি, বৈকুণ্ঠের প্রজা হরষিত । বৈকুণ্ঠের দ্বারে গিয়া, আনন্দে বিহবল হঞা, সুমঙ্গল গায় গুণগীত ॥ ৫০৫ ॥ দেখিল বৈকুণ্ঠনাথ, সব পরিষদ-সাথ, বসিয়াছে রত্নসিংহাসনে। পড়িয়া চরণতলে, মুনি পরণাম করে, তুলি পহু কৈল আলিঙ্গনে ॥ ৫০৬৷৷ হাসি হাসি কহে পহু, কি তোর অন্তরে রন্থ, কহ মুনি হৃদয় সত্বরে। উৎকণ্ঠ হৃদয়ে মোর, পালিল বচন তোর, অগোচর করিব গোচরে ॥ ৫০৭ ॥ করযোড়ে বোলে মুনি, তুমি সব-অন্তর্যামী, তোরে যুঞি কি বলিব তার। দণরুত্ৰহ্মরূপে মোরে, যে কহিলে অস্তরে, সেই রূপ দেখিব তোমার ॥৫০৮ ॥ পুনঃ কহে গুণমণি, নিভৃতে কহিএ আমি, সেই রূপ সহজস্বরূপে । তার মায়া ছায়া যত, অবতার শত শত, আরাধয়ে পরম উদ্যোগে ॥ ৫০৯ ॥ যার কায়ব্যুহ আমি, ব্যাপিত সকল ভুমি, সৰ্ব্বময় বিষ্ণু- সৰ্ব্বে সৰ্ব্ব । লক্ষী মোর অনুচরী, আর যেই মুক্তি চারি, তাহা অার কহিয়ে সন্দর্ভ ॥ ৫১০ ॥ - র্যার অংশ বিষ্ণু আমি, সম্পদ হয় লখিমিনী, বৈকুণ্ঠের অংশ এ বৈকুণ্ঠ । মুক্তি-ছায়া চারি মুক্তি, সবে অাবরিয়া ভক্তি, সেবে নাথ সে পহু বৈকুণ্ঠ ॥ ৫১১ ॥ রাধা মাত্র প্রকৃতি, প্রেমময় ভাগকৃতি, যার বশ পুরুষ প্রধান।
পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।