راVول\ এই মনঃকথা মোর রজনী-দিবস। প্রকট বদনে রহি—নহিক সাহস ॥৭৭৫ ॥ এইমতে দুইজনে কথা নিবড়িল। আচার্য্য শচীর স্থানে সব নিবেদিল ॥ ৭৭৬ ॥ শুনিএ সে শচীদেবী বড় তুষ্ট হৈল। বনমালী আচার্য্যেরে আশীৰ্ব্বাদ কৈল ॥ ৭৭৭। ইষ্টকুটুম্ব আনি নিবেদিল কথা। আনন্দে ভরল তনু—অতি হরষিত ॥ ৭৭৮ ॥ কুটুম্ব সোদর যত—সভে আজ্ঞা দিল। বিচার করিয়া সভে ভাল ভাল বৈল ॥৭৭৯ ॥ পেীগণ্ডলীলা সমাপ্ত কৈশোর লীলা—বিবাহ কথাসনার একদিন গৌরসুন্দর পাঠ সমাপনস্তে গুরুগুত হইতে স্বগৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতেছেন, এমন সময় পথি মধ্যে বনমালী আচার্যের সহিত সাক্ষাৎ আচার্যের সহিত আলাপ করিয়া গৌবহরি বুঝতে পাবিলেন যে, আচাৰ্য্য তাহারই বিবাহ সম্বন্ধ যোজনার নিমিত্ত তাহার মাতা শচীদেবীর নিকট গমন করিয়াছিলেন কিন্তু শচীদেবীর নিকট সন্তোষজনক উত্তর না পাইয়া দু:গিতাস্ত:করণে গৃহে ফিরিয়া যাইতেছেন। গৌরহরি আচাৰ্য্যকে পথিমধ্যে কোন কথা না বলিয়া গৃহে গমন পূৰ্ব্বক ইঙ্গিতে শচীমাতাকে নিজ অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিলে, শচীমাতা পুনরায় ঘটক বনমালী আচাৰ্য্যকে আহবান করিয়৷ তদীয় পুত্রের বিবাহ-সম্বন্ধ যোজনা করিতে আদেশ করিলেন। শচীমাতার আদেশ পাইয়া বনমালী আচাৰ্য্য বল্লভআচার্যের গৃহে উপস্থিত হইয়া তাহার কন্যা লক্ষ্মীদেবীর সহিত গৌরহরির পরিণয়ের বাৰ্ত্ত স্থির করিলেন। বিবাহসম্বন্ধ স্থিল হইলে শচীদেবী আত্মীয় ও প্রতিবেশীবর্গকে ডাকিয়া নিজ পুত্রের বিবাহেব কথা জ্ঞাপন করিলে, সকলে পরমানন্দ-সমুদ্রে নিমজ্জিত হইলেন । এদিকে শচিদেবী ও পুত্রের বিবাহের নিমিত্ত গৃহে নানাবিধ হয় । Gहेझ७श्रभत्रल আয়োজন করিতে প্রবৃত্ত হষ্টলেন। দেপিতে দেপিতে অধিবাসের দিন সমাগত হইল। কুলবর্তীগণ প্রাচীন লৌকিক-পদ্ধতি অনুসারে গাত্রহরিদ্র, জলসাহ প্রভৃতি কৃত্য যথাবিধি সম্পন্ন করিলেন। বৈদিক-ক্রিয়া যথারীতি সম্পন্ন হইল। বল্লভাচার্য্যের গৃহেও ঐ সকল কাৰ্য্য যথাবিধি সম্পন্ন হইল । অনস্তর বিবাহের দিন মহাসমারোহে শোভাযাত্রা করিয়া গৌরহরি বহুপরিকর সঙ্গে বল্লভাচার্যের গৃহে উপস্থিত হইলে, আচাৰ্য্য প্রাচীন পদ্ধতি অনুসারে জামাতাকে পাছ, অৰ্ঘ্য দিয়া বরণ করিলেন। পরে আচাৰ্য্য কন্যা লক্ষ্মীদেবীকে বিবাহমগুপে আনয়ন পূৰ্ব্বক গৌরহরিকে সম্প্রদান করিলেন । অনন্তর কুশণ্ডিকা ব্রাহ্মণভোজন প্রভূতি কৰ্ম্ম সমাপনস্তে কহ কে জামাতৃগৃহে প্রেরণ করিলেন । বলাড়ি রাগ-দিশ ॥ মোর প্রাণ অারে দ্বিজৰ্চাদ নারে হয় ॥ ধ্রু॥ তলে শচী নিজসুত-বদন চাহিয়া । মধুরবচনে কিছু কহে ত হাসিয়া ॥১ ॥ শুন শুন বিশ্বম্ভর মোর সোণার স্বত্ত । বল্লভ-আচাৰ্য্য-কষ্ঠ অতি অদভুত ॥ ২ ॥ তোর বিবাহের যোগ্য মোর মনে লয়। তেন পুত্রবধূ মোর কত ভাগ্যে হয় ॥ ৩ ॥ বিচার করিয়া কর বিচিত্র সময় । দ্রব্য আহরণ কর—যে উচিত হয় ॥ ৪ ॥ শুনিএঃ মায়ের বাণী বিশ্বস্তুররায় । করিল সকল জব্য—যতেক যুয়ায় ॥ ৫ ॥ দৈষজ্ঞ আনিল আর উত্তম পণ্ডিত। করিল ত শুভক্ষণ সময় অঙ্কিত ॥ ৬ ॥ সেই শুভদিন শুভসময় হইল। ব্রাহ্মণ-সজ্জন সব আনন্দে আইল ॥৭ ॥ আনন্দে ভরল সব নদীয়ানগরী। উথলিল প্রেমসিন্ধু আপনা পাশরি ॥৮ ॥ আইহ-মুহ লঞ শচী করে শুভকাৰ্য্য। প্রভু-অধিবাস করে সকল আচাৰ্য্য ॥৯ ॥
পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।