পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

国怀了叫$ సెస్సె প্রভূর সম্মুখে কহে অমৃতবচন । শুনি বিশ্বম্ভর প্রভু আনন্দিভমন ॥ ১৮৬ ৷ তাহার অমৃত-বাণী সিঞ্চিল অন্তর। লাচিবারে যায় প্রভু ধরি’ তার কর ॥ ৮৭ ৷ নরহরি-ভুজে আর ভুজ আরোপিয়া। শ্ৰীবাসের ঘরে নাচে রাস-বিনোদিয়া ॥১৮৮ গৌরদেহে শ্যাম তনু দেখে ভক্তগণ। গদাধর রাধারূপ হইল। তখন ॥ ১৮৯। মধুমতি নরহরি হৈল৷ সেইকালে । দেখিয়া বৈষ্ণল সব হরিহরি বোলে। ১৯০। বৃন্দাবন প্রকাশ হইল সেইস্থানে। গো-গোপী গোপাল-সঙ্গে শচীরনন্দনে ॥১৯১ পূৰ্ব্বে সখা সখীগণ যেরূপে আছিল। রস-আস্বাদনে প্রভু সঙ্গে ভক্ত হৈল ॥১৯১৷৷ অভিনব-কামদেব ঐীরঘুনন্দন । অপ্রাকৃত মদন বলিয়া যে গণন ॥ ১৯৩ ॥ তার সব পূর্ব দেহ পরি’ প্রভু-কাছে। আলরণ-ক্রমে তার প্রভূ বেঢ়ি লাচে ॥ ১৯৪। দেখি অদ্য-অবতার-সঙ্গী সব কঁ দে। নলদ্বীপে উদয় করিল ব্ৰজৰ্চাদে ॥ ১৯৫ ॥ ক্ষণে গোরলীলা গদাধর করি’ সঙ্গে । ক্ষণে স্যামলীলা রাণ-রাসরস-রঙ্গে ॥ ১৯৬ ॥ চমৎকার লীলা দেখি সব ভক্তগণ । হরিহরি জয় জয় লোলে ঘনে ঘন ॥ ১৯৭ ॥ দিন-অবসান—সন্ধ্য। রম্য দিগন্তর। আচম্বিতে মেঘারম্ভ গগন-মণ্ডল ॥ ১৯৮ ॥ ঘন ঘন গরজয়ে গম্ভীর-নিনাদে । দেখিয়া বৈষ্ণবগণ গণিল প্রমাদে ॥ ১৯৯ ॥ বিঘ্ন উপসন্ন দেখি সভেই দুঃখিত। কেমনে যুচয়ে বিঘ্ন চিন্তাপর-চিত ॥ ২০০ ॥ মেঘগণ প্রেম-পরসাদ নিতে আইল। গোরলীলা দেখি প্রেমে গৰ্জ্জিতে লাগিলা ॥ তবে মহাপ্রভু সে মন্দিরা করি করে। লাম-গুণ-সংকীৰ্ত্তন করে উচ্চস্বরে ৷ ২০২ ॥ দেবলোক কৃতাৰ্থ করিব হেন মনে । উৰ্দ্ধমুখে চাহে প্রভু আকাশের পানে ॥২০৩ ॥ দূরে গেল মেঘগণ—প্রকাশ আকাশ । হরিষে বৈষ্ণবগণের বাঢ়িল উল্লাস ॥২০৪ ॥ নিরমল ভেল শশি-রঞ্জিত রজনী। অনুগত গুণ গায়—লাচয়ে আপনি ॥ ২০৫ ॥ মেঘগণ নিজরূপ ধরি’ প্রভু-কাছে। লাচিয়া বুলয়ে তারা ভক্ত পাছে পাছে ॥২০৬৷৷ সেই প্রেম বিচার না করে গৌরহরি। মেঘে কি বলিব —দিল ত্রিজগৎ ভরি’ ॥ ২০৭ ॥ আপনে ঠাকুর নাচে ভক্তগণ-সনে । সভার আবেশে নাচে শচীর নন্দলে ॥ ২০৮ ॥ প্রেমার অালেশে নাচে মহানটরাজে। পদাঙ্গুজ যুখর মঞ্জীর ঘন বাজে ॥ ২০৯ ॥ বিপ্রসাধৰীগণ জয় জয় দেই সুখে । আকাশেতে দেবগণ দেখয়ে কৌতুকে ॥২১০ ॥ প্রেমায়ে বিভোল সব নাচে ভক্তগণ । না জানি কি কৈল তপঃ কতেক জনম ॥২১১ ॥ তাহার কারণে নাচে ঠাকুরের সনে। অণমোদ করয়ে তারা প্রেম হেল ধনে ॥২১২ করুণায় ছাইল প্রভু এ ভূমি আকাশ"। শুনি আলন্দিত কহে এ লোচনদাস ॥ ২১৩ ॥ মুকুন্দের প্রতি কৃপা কখাসনার গ্রন্থকার শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর অপরূপ রূপলাবণ্য বর্ণন করিয়া আম্রবৃক্ষ-রোপণ-লীলা কীৰ্ত্তন করিয়াছেন অর্থাৎ একদিন শ্ৰীমন্মহাপ্রভু ভক্তগণ সমক্ষে একটা আম্র-বীজ রোপণ করিলেন, দেখিতে দেখিতে তৎক্ষণাৎ ঐ বীজ অস্কুরিত ক্রমে বৃক্ষরূপে পরিণত এবং মুকুলিত হইল, গাছে আম্রফল ধরিল. সঙ্গে সঙ্গে তাহা পরিপক্ক হইল, ভক্তগণ তাহা ভগবানকে নিবেদন করিয়া সকলে মিলিয়া প্রসাদ পাইলেন, পরে দেখিলেন,—সে সকল আর কিছুষ্ট নাই, সব বিনষ্ট হইয়। গিয়াছে, তখন শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু ঐ বৃক্ষের দৃষ্টাস্তে