মধ্যখণ্ড তোর পাদপদ্ম মোর শিরে রন্থ ছত্র। দাস্য-অভিষেক কর—এই চাহেঁণ মাত্র। ৫৭ ৷৷ আমি কি জানিয়ে প্রভু নিজ ভাল-মন্দ । নিরন্তর অন্তরে বাহিরে মদ-অন্ধ ॥ ৫৮ ৷৷ নিজগুণে করুণ করহ প্রভু ঘবে। নিজদণস্যে প্রসাদ করহ মোরে তলে ॥ ৫৬ ৷৷ তুমি সৰ্ব্বেশ্বরেশ্বর বিগ্ৰহ আনন্দ। সেই নন্দস্তুত তুমি অবতারকন্দ ॥৬০ ॥ এ বোল শুনিএ প্রভু অন্তর-সন্তোষে । পদ-অরলিন্দ তার মস্তকে পরশে ॥ ৬১ ৷ সৰ্ব্বাঙ্গে পুলক ভেল—সজল-লোচল । গদগদ ভাস বৈদ্য প্রেমীর লক্ষণ ॥ ৬১ ৷ গদগদম্বরে স্তব করিল বিস্তর। জয় মহামহেশ্বর কারণের পর ॥ ৬৩ ৷৷ তবে সেই মহা প্রভু বিশ্বম্ভর হরি । কহিভে লাগিল৷ কিছু দেখিয়া সূরারি ॥ ৬৪ ৷ শুন শুন আম্বে বৈদ্য আমার বচল । এড় গীত-আপ্যাত্ম চরচা তোর মন ॥ ৬৫ ৷ জীলার বাসনা মদি থাকয়ে তোমাল । কৃষ্ণপ্রেমানন্দে যদি ই স্থা থাকে আর ॥ ৬৬ ৷ "অধ্যাত্ম-চরচ স্তবে কর পরিত্যাগ । গুণসঙ্কীৰ্ত্তন কর কৃষ্ণে অনুরাগ ॥ ৬৭ ৷৷ নটবরশেখর সুন্দর শু্যামতনু । ইন্দ্রনীলমণিকান্তি করে বর-লেণু ॥ ৬৮ ৷৷ পীতাম্বরপর বমমালা যার গলে । সে প্রভুকে নাহি ভজ গোপীগণ-মেলে ॥৬৯ শুনিঞা মুরারিনৈদ্য প্রভু-আজ্ঞাবাণী।” কাতর হইয়। কন্দে পড়িয়। পরণী ॥ ৭০ ॥ প্রভুর চরণে করে বিনয় বিস্তার । লঙ্ঘিলারে নারি প্রভু সংসার দুস্তর ॥ ৭১ ৷ ব্ৰহ্মা, মহেশ্বর কিবা লখিমী অনন্ত । জিনিতে লা পারে মায়া কেবল তুরন্ত ॥ ৭২ ৷৷ পরম প্রবল মায়া কে জিনিতে পারে। তোমার প্রসাদ বিন!—শুন বিশ্বস্তুরে ॥ ৭৩ ৷৷ ჯ o S) আমি মহাপম –কিব। শকতি তামার। সংসার জিলিঞা পদ ভজিতে তোমার ॥ ৭৪ ৷ দুঃখিত দেখিয়া যদি দয়া কর মোরে। করুণাবিগ্রহ প্ৰভু ভজ মো ভোমারে ॥৭৫ ॥ এভকাল আচিল গুপত প্রেমধন । প্রকট করিলা প্রভু করুণা-কণরণ ॥ ৭৬ ৷ তোমার পদ রবিন্দ-মন্দরন্দ-প্রেম । পিলউ আমায় মন মধুকর যেন ॥ ৭৭ ৷ এইলর দেহ মোরে করুণাসাগর । ঘৃণা না করিহ মোরে – মে অতি পামর ॥৭৮ ঐছন কাতরবাণী শুনিঞা ঠাকুর । করুণা বাঢ়িল হিয়৷ আনন্দে প্রচুর ॥৭৯৷৷ হাসিয়া কহিল প্রভু—শুনহ মুরারি। অচিরে অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে তেঁাহ।রি ॥ ৮০ ॥ তবে সেই শ্ৰীনিবাস পণ্ডিত ঠাকুর। অতি মহাশুদ্ধমতি ভক্ত সুচতুর। ৮১ ৷ কৃষ্ণসেপ করে নিতি লঞা ভ্রাতৃগণ । সৰ্ব্ব ভাবে ভজে বিশ্বস্তুরের চরণ ॥ ৮২ ৷ লাম-গুণ-সঙ্কীৰ্ত্তন করে নিভি-নিতি । অনুজ রামের সনে বড়ই পারিতি ॥ ৮৩ ৷ জ্যেষ্ঠসেব-পরায়ণ ত্রীরাম পণ্ডিভ। দুই ভাই মিলি গায় হরিগুণগীত ॥ ৮৪ ৷ শ্ৰীবাস ত্রীরাম-প্রভুর –প্রিয় ছুইজন। তার সনে ক্রীড় করে আনন্দিত মন ॥ ৮৫ ॥ তার ঘরে নাচে প্রভু তাস ভার সনে । কপিল ঠাকুর যেন পেঢ়ি ঋষিগণে ॥ ৮৬ ৷ হেনমতে আননে কৌতুকে দিন যায়। শভশত শিষ্যগণ আপনে পঢ়ায় ॥ ৮৭ ৷ শিষ্যে শিষ্য মিলি’ তার করে অনুমান। আছিল ত হাতে এক বড় আগেয়ান ॥ ৮৮ ৷ ‘শ্রীকৃষ্ণ বলিয়ে যারে সেই মায় এক । অলোপ ত্ৰাহ্মণ পুত্র ইহ ললিলেক ॥ ৮৯ ৷ শুনিঞা ঠাকুর দুই-কর দিল কাণে । তখনি চলিল। প্রভু সুরনদী-মনে ॥ ৯০ ৷
পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।