পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখ গু অন্তৰ্য্যামী ভগবান এ মন জানিঞ । পালিব তোমার আজ্ঞা—বলিল হাসিয়া ॥৭৯ চলিলেন মহাপ্রভু নবদ্বীপ-পূরে। দেখিয়া ভাবিল স্যাসী আপন অন্তরে ॥৮০৷৷ যার লোমকূপে ব্রহ্মাণ্ডের গণ বৈসে । তারে পলাইয়। আমি যাল কোল দেশে ॥৮১৷৷ ভ্রান্তমতি আমি কিছু দেখিয়া না দেখি । সভার জীবন এই সৰ্ব্বজন-সখী ॥ ৮২ ৷৷ ইহ। ভাবি সন্ন্যাসী ডাকিয়। গৌরহরি। বলিতে লাগিল৷ কিছু অনুনয় করি’ ॥ ৮৩ ৷৷ আর এক লোল বোলে – শুন বিশ্বম্ভর । তোমারে সন্ন্যাস দিতে বড় লাগে ডর ॥৮৪ তুমি জগতের গুরু-কে গুরু তোমার। মিছ| পিড়ম্ব না কেনে করহ আমার ॥ ৮৫ ৷ এ লেল শুনির কালেদ বিশ্বস্তর রায় । অরতি করিয়া ধরে সন্ন্যাসীর পায় ॥ ৮৬ ৷ প্ৰণত-জনেরে কেলে বোল দুৰ্ব্বচন। মরিলে কি ছাড়ি আমি ভোমণর চরণ ॥৮৭ মোরে যত পোল--মোর বুঝিনার মন । এক নিলেদন আছে--শুনহ বচন ॥ ৮৮ ৷ একদিন রাত্রিশেষে দেখিলু স্বপন। সম্যাসের মন্ত্র মোরে কহিল ত্ৰাহ্মণ ॥ ৮৯ ৷ দেখ দেখি এই বটে হয় কিবা নহে । ইহা বলি’ ভারতীয় কৰ্ণে মন্ত্র কহে ॥ ৯০ ৷ ইহ। ললি সন্ন্যাসীর কর্ণে কহে মন্ত্র। প্রকারে হইল গুরু আপনি স্বভক্স ॥ ৯১ ৷ বুঝিল সকল কাজ ভারভীগোসাঞি। ' সন্ন্যাস করবে তোরে—শুনহ নিমাঞি ॥৯২৷ এ লোল শুনিয়া প্রভু নাচয়ে আনন্দে। ‘হুরি হরি’ নোলয়ে গভীর-মেঘনাদে ॥ ৯৩ ৷ গৌর-শরীরে ভেল পুলক সারি সারি। অমিয়া পসারে যেন অঙ্গের মাধুরী ॥ ৯৪ ৷৷ অরুণ-নয়নে জল ঝরে অনিল ।র । দেখিয়া সকল লোক করে হাহাকার ॥ ৯৫ ৷ S6 & কাঞ্চন-নগরের লোক দেখিলারে ধায় । যে দেখয়ে—ভার হিয়-নয়ন জুড়ায় ॥ ৯৬ ৷ কিবা বুদ্ধ, কিবা অন্ধ, কি নারী, পূরুখ । কিব। সে পণ্ডিতজন এ গণ্ড-মুরুখ ॥ ৯৭ ৷ শিশুগণ ধায় আর কুলের যুবতী । নিজ ছায়া নাহি চিনে কেন রূপবতী ॥ ৯৮ ৷৷ কঁখে কুম্ভ করি’ কেহে। দাড়াইয়া চাহে । নড়িতে না পারে— সেহ লড়ি ধরি’ ধীয়ে ॥৯৯ পঙ্গু সে ভাতুর কিপ গর্ভবভী নারী। শ্রীঅঙ্গ দেখিয়া সন্ন্যাসীরে পড়ে গালি ॥১০০৷৷ সন্ত্য ধন্য করি’ লোক লাখ নিয়ে রূপ। এতকালে দেখিল এ অতি অপরূপ ৷৷ ১০১ ॥ ধন্য ধন্য জননী ধরিল পুত্র গর্ভে । দেলকীসমান সেই শুনিয়াছি পূৰ্ব্বে ॥১০২৷৷ কোন ভাগ্যবতী হেন পায়াছিল পতি। ত্ৰৈলোক্যে র্তাহার সম নাহি ভাগ্যবর্তী ॥১০৩৷৷ রূপ দেখি নিজ আঁখি পালটিতে নারি। ইহার সন্ন্যাস কিবা সহিপারে পারি ॥১০৪৷৷ কেমনে বা জীলে’ সে ইহার জননী । এ কথা শুনিলে মাত্র মরিলে রমণী ॥ ১০৫. ॥ এত আনুমান করি’ কান্দে সা লোক । ডাকিয় কহয়ে প্রভূ--না করিহ শোক ॥১০৬৷৷ আশীৰ্ব্বাদ কর মোরে—শুল মাত-পিতা । সাপ লাগে—কষ্ণের চরণে দেও মাথ ॥১০৭৷৷ যার যেই নিজ পতি –সেই ভtহ। চাহে । তার চিত্ত বান্ধিলারে করয়ে উপায়ে ॥১০৮৷৷ রূপ, যৌবন যত এ রস-লাবণ্য। নিজ পতি ভজিলে সে সব হয় ধন্য ॥ ১০৯ ৷ মনে মনে কর—এ সভার অনুভব । e পতি বিনু যুলভীর মিছা হয় সব ॥ ১১০ ৷ কৃষ্ণপদ বিনু মোর নাহি অন্য গতি । নিজ অঙ্গ দিয়া মে। ভজিল প্রাণপতি ॥১১১ ৷ ইহ ললি’ মহাপ্রভু করিয়ে রোদন। ক্ষণেক অন্তরে সব কৈল সম্বরণ ॥ ১১২ ৷