পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখণ্ড শচীরে বিদায় দিলে করি কোন যুক্তি। তাহার সমীপে ইহা কহে কোন ব্যক্তি ॥ ৪৫ ৷ বিষ্ণুপ্রিয়া মরিব শবদমাত্ৰ শুনি’ । এ কথার সম্বিধান করহ আপনি ॥ ৪৬ ৷ এতেক বচন যলে ডক্তগণ লৈল । অন্তর-করুণ প্রভু হামিতে লাগিল ॥ ৪৭ ৷ শুনহ সকল ভক্ত বচন প্রচুর । কোনকালে তো-সভারে নহিব নিষ্ঠ র ॥৪৮ নীলাচলে লস আমি করিব সৰ্ব্বথা । সৰ্ব্বদা অসিলে যাবে।--দেখা পাবে তথা ॥৪৯ আছিল-অধিক প্রেমা লাঢ়িল অপার । হরিনাম সঙ্কীৰ্ত্তনে ভাসিব সংসার ॥ ৫০ ॥ কাহার হৃদয়ে না রাখিল তুঃখ-শোক । সঙ্কীৰ্ত্ত ন-সমূদ্রে দুপাব সৰ্ব্বলোক ॥ ৫১ ৷ কিল বিষ্ণুপ্রিয়া কিলা মোর মাত শচী । যে ভজয়ে কৃষ্ণ তার কোলে আমি আছি। এ লোল শুনিএ সম্ভে পড়িয় চরণে । সত্য কর প্রভু যেই কহিলা বচনে ॥ ৫৩ ৷ সত্য সত্য সত্য প্রভু লোলে সরবার। নীলাচল-লাস সত্য হইব অণমার ॥ ৫৪ ৷৷ শচীদেবী দাড়াইতে নারে স্থির হৈয়। দাড়াইলা তু-জনার হাথে ত পরিয়৷ ॥ ৫৫ ॥ নিদারুণ হৈয়া কোথা করে যাবে তুমি । তোমা না দেখিলে বাপ মরি’ যা’ব আমি ॥৫৬ সভে তোর বদন দেখিল কতবার। আমি অভাগিনী মুখ না দেখিব আর ॥ ৫৭ ৷৷ সভার প্রবোধ বাছা করিলে আপলে । . আমার প্রবোধ বাপ হইব কেমনে ॥ ৫৮ ৷৷ আমার দ্বিতীয় কেহো নাহি এ সংসারে । বিষ্ণুপ্রিয়। শেলমাত্র বুকের ভিতরে ॥ ৫৯ ৷ হাসিয়া কহেন প্রভু সকরুণ-হিয়া— । মিছা-শোকে মর পূর্ব-জ্ঞান পাশরিয়। ॥ ৬০ ॥ চলি যাহ—শোক কিছু না করিহ চিতে । নিৰ্ম্মৎসর হই রহ সভার সহিতে ॥ ৬১ ৷ ১৬৩ দগুলভ করি’ প্রভু মায়ের চরণে। প্রবোপ করিল প্রভু কথার বিপণনে ॥ ৬২ ৷ ময়ে প্রলোপিয়া প্রভু পোলে হরিপোল । সত্বরে চলিল। —উঠে কান্দলের লোল ॥ ৬৩ ॥ অদ্বৈত-আচার্য্য প্রভুর সঙ্গে চলি যায়। দণ্ড-দুই গিয়া প্রভু পাছুপানে চায় ॥ ৬৪ । দাড়াইল। মহাপ্রভু আচার্য্য-বিলম্বে । উত্ত্বরিল আচার্য্য র্ক কালি অবলম্বে ॥ ৬৫ ৷ পয়ান বিরস—মৰ্ম্ম বিন্দু বিন্দু ভায় । কাতর-অন্তরে কিছু প্রভূরে সুপায়-- ॥ ৬৬ ৷ তুমি পরদেশে যালে--এই মোর দুঃখ । তাহাতেই তার এক পোড়ে মোর বুক ॥৬৭ আপন অন্তর কথা কহিল গোচর । নিশ্চয় কহিলে প্ৰভু ইহার উত্তর ॥ ৬৮ ৷৷ তোর নিজজন যত তোমার বিচ্ছেদে । কান্দয়ে ক ভর হঞ। পদ-অরলিন্দে ॥ ৬৯ ৷ আমার পাপিষ্ঠ হিয়া না দরলে কেনে। এ কাঠ-কঠিন—অশ্রু নাহিক নয়ানে ॥ ৭০ ৷ আমার অধিক আর দুরাচীর নাহি । তোমার লিচ্ছেদে হিয়ায় প্রেমা উঠে নাহি ॥ এ পোল শুনিএ প্রভু হাসি’ কৈল কোলে । কহিব ইহার তত্ত্ব—শুন মোর লোলে ॥ ৭২ ৷ তোমার প্রেমণয় আমি ছাড়িতে না পারি। তে-কারণে তোর প্রেম। গাঠিতে সম্বরি ॥৭৩ ইহ৷ বলি আউলাইল। বসনের গ্রন্থি । প্রেমার বিভোর সে আচার্য্য মনে চিন্তি’ ॥ নয়নসাগরে বহে সাত পাঁচ-পরা । নির্ভর প্রেমায় সম্বোধন নাহি তার ॥ ৭৫ ॥ আস্তে-ব্যস্তে সম্বরণ করিল। ঠাকুর। সম্বরণ কৈল তবে আচার্য চতুর ॥ ৭৬ ৷ এই ত কারণে তোর প্রেম উঠে নাই । তোমার প্রেমায় আমি চলিতে ন পাই ॥৭৭ েতার প্রেমার লশ তামি- শুনহ আচার্য্য । পূৰ্ব্ব সোঙরণ কর লিথারহ কাৰ্য্য ॥ ৭৮ ৷৷