স্ত্রীচৈতন্যমঙ্গল নীল (পিপ বাস্থ্য লাজে সুমধুর ধ্বনি । চতুর্দিকে স্থলাহুলি জয়জয় শুনি ॥৪১ ৷ শুলে শচীদেলী লই আইহ-সুহ যভ । আtuরে পূঞ্জয়ে-যার যেই সমূচিত ॥ ৪২ ৷৷ সভারে পূজিলা গৃহাগত বন্ধু যত। ললিল সলারে শচী হৃদয় বেকত ॥ ৮৩ ৷৷ পতিহীন মুঞি ছার, পূত্ৰ-পিতৃহীন । ভো সম্ভার পূজা কি করিব আমি দীন ॥ ৪৪ ৷ এ বোল দলিভে শচী গদগদ-ভাষ । fগুঞ্জিল তর্মাখির জলে হৃদয়ের বাস ॥ ৪৫ ৷ ঐছন কাতরবাণী শটী যবে বৈল । শুনি বিশ্বস্তুর পন্থ হেট মাথা কৈল ॥৪৬। চিন্তিভে লাগিল—মোর পিত্তা গেলা কোথ।। পুড়িতে লাগিল ছিয়া-পাইল বড় ব্যথা ॥৪৭ মুকুত গথিনী যেন চক্ষে পড়ে পানী। দেখিয়া তরস্ত হৈল। দেবী শচীরাণী ॥ ৪৮ ৷৷ আর যত কুলবধূ স্থায় পাশে ছিল। প্রভূর কন্দন। দেখি কাদিতে লাগিল ৷ ৪৯ ৷ কেনে কেলে লীপ হেরি পিরস-বদন । এস্থে মঙ্গলক র্য্যে করহ ক্ৰন্দন ॥ ৫০ ॥ সকল সংসারে মেয় তুমি মাত্র পল । তুমি বিমরিষ-প্রাণ ছাড়িব এখন ॥ ৫১ ৷ শুনিএঃ ময়ের বাণী প্রভু বিশ্বস্তর। বাপের হতাশে কণ্ঠ গদগদ-ম্বর ॥৫২ ॥ প্রাক্তঃকালে শশী যেন মলিন-বদন । নবীন-মেঘের যেন গম্ভীর গর্জন ॥ ৫৩ ৷ মায়েরে কহিল প্রভু—শুন মোর কথা। কি লাগিয়। এতদূর তোর মন-ব্যথা ॥৫৪ ॥ কোন ধন নাহি তোর-কিবা পাইলে দুঃখ । দীন একাকিনী হেন কহ অভি রূখ ॥ ৫৫ ॥ পিতা-অদর্শন মোর স্মঙ রাইলে তুমি। যেমন করিছে হিয়!—কি কহিব আমি ॥ ৫৬ ॥ একজনে দুবার দেহ গুবাক, চন্দন । নানা দেব্য দেহ—তোমার যত লয় মন ॥ ৫৭ ৷৷ সৰ্ব্বাঙ্গে লেপহ সভার গন্ধ-চন্দনে । ষথেষ্ট করিয়া দেহ চিন্তা নাহি মনে ॥ ৫৮ ৷ পৃথিবীতে কেহ যাহা নাহি করে লোকে। ইঙ্গিভে করিব তাহ!—কহিল তোমাকে ॥৫৯ এ-লোল শুনিএ শচী কহে ধীরে ধীরে। মধুরবচনে শান্ত করি বিশ্বস্তরে ॥ ৬০ ॥ যেন রূপে আদেশ করিল বিশ্বম্ভর । তেল রূপে তুষিল সে ব্রাহ্মণ-সকল ॥৬১ ॥ হেনকালে বল্লভ-অাচার্য্য নিজঘরে। ব্রাহ্মণসহিতে দেব-পিতৃপূজা করে ॥ ৬২ ॥ আপন কমৃrারে লালা অণভরণ দিল । গন্ধ-চন্দন-মাল্যে স্থবেশ করিল ॥ ৬৩ ॥ শুভক্ষণ নিকট বুঝিয়। দ্বিজবর। ব্রাহ্মণ পাঠাঞা দিল আনিবারে বর ॥৬৪ ॥ এথা লিশ্বস্তুর পক্ষ বয়স্তোর সঙ্গে । অভি অদভুত বেশ করেন শ্ৰীঅঙ্গে ॥ ৬৫ ৷ গন্ধ-চন্দনে অঙ্গ করিল লেপন । ললাটে তিলক যেন চাদের কিরণ ॥ ৬৬ ৷ মকরকুগুল গণ্ডে করে ঝলমল । মুকুতার হার শোভে হৃদয়-উপর ॥৬৭ ॥ কাজরে উজোর রাত কমল-নয়ান । ভুরুষুগ যেন তুই কামের কণমান ॥৬৮ ॥ অঙ্গদ, কঙ্কণ দিব্য রতন-ভাঙ্গুরী। ঝলমল দিব্য তেজঃ—চাহিতে না পারি ॥ ৬৯ ৷ দিব্যমালা পরিপান রক্ত-প্রান্ত বাস । গন্ধে মহ-মহ করে অঙ্গের বাতাস ॥ ৭০ ৷ সুবৰ্ণ-দৰ্পণ করে যেন পূর্ণচন্দ্র। হেরি লোক নিজ হিয়া না হয় স্বতন্ত্ৰ ॥ ৭১ ৷৷ বধূগণ বিকল হইল রূপ দেখি। রূপ দেখি নারী না লিয়ড় করে আঁখি ॥৭২ ॥ মায়ে নমস্করি প্রভু চলে শুভক্ষণে। উঠিল মঙ্গলধ্বনি জয় হরিনামে ॥৭৩ ॥ দিব্য-ধানে চঢ়ে প্রভু বয়স্ত-বেষ্টিত। । সম্মুখে লাটুয়া নাচে গায়নে গায় গীত ॥ ৭৪ ॥
পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।