পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిbr ঐচৈতন্যমঙ্গল বৈষ্ণবজলের মনে পরম উল্লাস । পরমনিগূঢ় গৌরচন্দ্রের প্রকাশ ॥৩। জাবিড়ে ব্রাহ্মণ এক আছে 'রাম’ নাম। পরমতুঃখিত--অঙ্গ, অস্থি অণর চাম ॥ ৪ ॥ অল্পকণ্ঠে দগ্ধ সেই জঠর-অনলে। রক্ত-মাংস নাহি তার, শুস্ক কলেবরে ॥ ৫ ॥ দুরন্ত দারিদ্র্য-দুঃখ কত সহা যায়। মনে মনে চিন্তে বিপ্র তরণ উপায় ॥ ৬ ॥ পূৰ্ব্বজন্মে কৈলু যুঞি অনেক অধৰ্ম্ম । দরিদ্র হইলু মুঞি সেই সব কৰ্ম্ম ॥৭৷ না ভুঞ্জিলে নাহি ঘুচে অদৃষ্ট লিখন। দুরন্ত যন্ত্রণা তুঃখ যুচয়ে কেমন ॥ ৮ ॥ চিন্তিতে চিন্তিতে বিপ্ৰ পাইল প্রতিকার-- প্রভু বিন নারে কেহো কৰ্ম্ম যুচাবার ॥৯৷৷ জগন্নাথ নীলাচলে আছয়ে সাক্ষাভে । তার ঠাঞি যাঙ, মুঞি যাচিঞা করিতে ॥১০ অল্পকষ্টে মরো মুঞি ব্রাহ্মণ শরীর। ‘বিপ্ৰ-প্রিয়’ বলি’ তারে বোলে সব ধীর ॥১১ মোর দোষে মোরে যে না করে অবধান । ভtহার উপরে বধ —ত্যজিব পরাণ ॥ ১২ ৷ এইমনে অনুমানি চলিলা ব্রাহ্মণ । ক্রমে ক্রমে গেলা যথা কমললোচন ॥ ১৩ ॥ জগন্নাথ দেখি করে লিজ নিবেদন—। অন্নকষ্টে মরো মুঞি দরিদ্র-ব্রাহ্মণ ॥ ১৪ ॥ ভে বিলু নাহিক কেহো—রাখহ জীবন। যুচাও দারিদ্র্য-জাল-দেহ মোরে ধল ॥১৫ ইহা বলি’ সেদিন আছিল৷ সেই মনে । ভিক্ষায় পাইল যাহা—করিল ভোজনে ॥১৬ ভার-পর-দিন পুনঃ করে নিবেদনঘুচাও দারিদ্র্য প্রভু, মরয়ে ব্রাহ্মণ ॥ ১৭ ॥ ভারি করিয়া ধন দেহ ত মামারে। এ দুঃখ না পাঙ যেন আজন্ম-ভিতরে ॥ ১৮ ॥ ধন-বর মাগে। প্রভু না হও বিমুখ। নহিলে জীবন”দিব তোমার সম্মুখ ॥১৯ ॥ ইহা বলি উপবাস কৈল অমুলদ্ধ। এথা নিজ-মেলে আছে প্ৰভু গৌরচন্দ্র ॥২০ নিজজন-সঙ্গে বৃন্দাবনগুণ গায় । আচম্বিতে খেদ উঠে প্রভুর হিয়ায় ॥২১ ॥ বিস্মিত হইয়া রহে—হিয়া ভেল আন । যে রসে আছিল। তাহা কৈল সমাধান ॥২২ সভার হৃদয়ে দুঃখ বিস্ময় লাগিল। আচম্বিতে প্ৰভু কেনে আনমল হৈল ॥২৩ এথা ভিন উপবাস করিল ব্রাহ্মণ । জগন্নাথ-স্থানে কিছু না পায় বচন ॥ ২৪ ॥ তবে ভ ব্রাহ্মণ কৈল সাত উপবাস । জগন্নাথদেল কিছু না করে তাশ্বাস ॥ ২৫ ॥ তুৰ্ব্বল হইল লিপ্র –ক্ষীণ উপবাসে । সমুদ্রে মরিল বলি দঢ়াইল শেষে ॥ ২৬ ॥ সমুদ্রের কুলে বিপ্র গেল পীরি পারি। “স্থান দেহ’ সমুদ্রেরে বোলে নমস্করি ॥ ২৭ ॥ হেনকালে দেখে এক পুরুষ বিশাল । সমুদ্রের মধ্যে আইসে পৰ্ব্বত আকার ॥২৮ দেখিয়। ত্রাহ্মণ মনে চিন্তিতে লাগিল— সমুদ্রের মাঝ দিয়া এ কেব৷ আইল ॥ ২৯ ॥ দেখিতে দেখিতে কুলে দেখে সেই জন । সামান্য মানুষ যেন হইল তখন ॥ ৩০ ॥ বিপ্র লোলে—এই জগন্নাথ বিদ্যমান। সমুদ্রের মাঝে আর কাহার প্রয়াণ ॥ ৩১ ॥ ইহা বলি’ তার পাছু গোড়াইয়া যায়। কথোদুর গিয়া পাছু চাহে মহাশয় ॥ ৩২ ৷ দেখিল—ত্ৰাহ্মণ, সেই আইসে পাছে পাছে। ‘কোথা যাবে’ বলিয়া বিপ্রেরে কিছু পুছে ৷ ব্রাহ্মণ কহয়ে—শুন শুন মহাশয় । কে তুমি—কোথারে যাবে-কহন নিশ্চয় ॥ সাত-উপবাসী আমি ব্রাহ্মণ দুৰ্ব্বল । তোমারে দেখিল আজি জনম সফল ॥ ৩৫ ॥ নিশ্চয় করিয়া কহ—না ভাণ্ডিহ মোরে । নহে বা ব্রাহ্মণবধ লাগিব তোমারে ॥ ৩৬ ॥