পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

% obr की कौgशौद्रांश श्नद्ध। সুসম্পন্ন হউক।” রাজকুমারীর বয়স তখন ৮৭.৯ বৎসর মাত্র ছিল। প্রজা সাধারণ মহারাজের এই অপূৰ্ব্ব প্রস্তাবে পরম সন্তুষ্ট হইয়া সৰ্ব্ববাদী সম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব অনুমোদন করিলেন। অনন্তর মহা আড়ম্বরে স্বীয় কন্যাকে শ্ৰীগোবিন্দজীউর চরণে উৎসর্গ করিয়া শ্ৰীশ্ৰীঠাকুর প্রতিষ্ঠা কাৰ্য্য সুসম্পন্ন হইল । এই হইতে ভাগ্যবতী রাজকুমারী “লাইরৈবি” অর্থাৎ "লায়ংবি” অর্থাৎ “শ্ৰীশ্ৰীগোবিন্দের পত্নী” বলিয়া সুপরিচিত হইলেন। শুভ প্রতিষ্ঠা কাৰ্য্য সম্পন্ন হওয়ার পরীক্ষণেই দেখা গেল,-“শ্ৰী রাধিকাজীউর শ্ৰীশ্ৰীঅঙ্গের রংও শুষ্ক হইয়া গিয়াছে!” তখন সকলে বুঝিতে পারিলেন যে,-“রাজকুমারীর মন্বি প্রকাশ করিবার নিমিত্তই শ্ৰীগোবিন্দদেব এই "অপূৰ্ব্ব লীলা করিয়াছেন।” প্ৰজা সাধারণ বুঝিতে পারিলেন, মহাত্মা ভাগ্য চন্দ্রের ন্যায় শ্ৰীকৃষ্ণের কৃপাপাত্র জগতে অতি অল্পই আছেন। শ্ৰীকৃষ্ণের কৃপালাভ *রিতে হইলে, ভাগচন্দ্রকে গুরুপদে বরণ করিতে হইবে। সুতরাং দলে দলে লোক তঁাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করিয়া পরম বৈষ্ণব হইতে আরম্ভ করিল। বর্ণগুরু ব্ৰাহ্মণগণ ও ভাগ্যচন্দ্রের গুণে আকৃষ্টচিত্ত হইয়া তদীয় শিষ্য হইতে আরম্ভ করিলেন। " এই সময় হইতে ভাগ্যচন্দ্ৰ মহারাজকে মণিপুরী প্ৰজাগণ “কৰ্ত্তা মহারাজা” বলিয়া পূজা করিতে লাগিলেন। সেই অবধি শ্ৰীল ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহের বংশধরগণ পুরুষানুক্ৰমে মণিপুরী প্রজামাত্রের গুরু বলিয়া পূজিত হইতেছেন। রাজাপ্রজার এই অপূৰ্ব্ব সম্বন্ধ জগতের আর কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না। মণিপুৰী গণের ন্যায় গুরুনিষ্ট বৈষ্ণব জগতে অতি অল্প লোকই দেখিতে পাওয়া যায়। শ্ৰীকৃষ্ণের অনুকম্পাপাত্ৰ মহারাজ ভাগ্য চন্দ্ৰ সিংহ স্বীয় অনুগত ভক্ত ও প্ৰজাগণে পরিবেষ্টিত হইয়া, সৰ্ব্বদা শ্ৰীকৃষ্ণ বিষয়ক প্রসঙ্গে পরমানন্দে কালব্যাপন করিতে লাগিলেন। এদিকে রাজকুমারী শ্ৰীমতী “লাইরৈবি জীউ” স্বীয় পিতৃদেবের নিকট হইতে “শ্ৰীকৃষ্ণমন্ত্ৰ” গ্রহণ করিয়া শ্ৰীগোবিন্দজীউর মন্দিরের নিকটে একটি । ছোট কুটীরে অবস্থিত থাকিয়া স্বহস্তে রন্ধনাদি কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া শ্ৰীগোবিন্দের আনন্দবিধান করিতে লাগিলেন। তঁাহার গুণে মধ্যে মধ্যে শ্ৰীগোবিন্দকে তঁহার ক্ষুদ্র কুটীরে আসিয়া ভক্তগণের আনন্দদায়ী নানাপ্রকার কৌতুক করিতে হইত। মধ্যে মধ্যে “লাইরৈবির” গৃহে শ্ৰীগোবিন্দের পাগুড়ী ও অলঙ্কার প্রভৃতি থাকিতে দেখিয়া, সকলেই বিস্ময়সাগরে নিমগ্ন হইতে লাগিলেন। অধিক লেখা বাহুল্য, স্বয়ং মহারাজ ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহ ও তদীয় মন্ত্রী প্রভৃতি বিশেষরূপে পরীক্ষা করিয়া বুঝতে পারিয়াছিলেন যে, "রাজকুমারীর গৃহে শ্ৰীগোবিন্দজীউ। বিশ্রাম ও শয়ন করিয়া থাকেন।” সেই অবধি মণিপুরী জনসাধারণ শ্ৰীমতী রাজকুমারীকে “শ্ৰীগোবিন্দের প্রেয়সী" জ্ঞানে সম্মান ও পূজা করিতেন। মণিপুর রাজ্যের তাৎকালিক ভক্তি উচ্ছাসের কথা বড়ই আনন্দদায়ক ঘটনা বিশেষ। এইরূপে পত্নতাল্লিস বৎসর সময় রাজ্যশাসনের পর, মহারাজ-ভাগ্য চন্দ্র জ্যেষ্ঠপুত্র "লাবণ্যচন্দ্রের” হস্তে শাসনভার সমর্পণ করিয়া, শ্ৰীধাম নবদ্বীপদৰ্শন মানসে বহির্গত হইবার সঙ্কল্প করিলেন। এই সংবাদ অবগত হইয়া রাজকুমারী / শ্ৰীমতী “লাইরৈবিও” শ্ৰীনবদ্বীপদর্শনের অভিলাষী হইলেন ; কিন্তু স্বীয় আরাধ্যতম শ্ৰীগোবিন্দজীউকে ছাড়িয়া কিরূপে স্থির থাকিতে পারিবেন ? এই সমস্ত বিষয় ভাবিতে ভাবিতে একটু নিদ্রার আবেশ হইল। এমন সময় স্বপ্ন দেখিলেন“যেন শ্ৰীগোবিন্দ সম্মুখে উপস্থিত হইয়া বলিতে লাগিলেন,-“তুমি কোন চিন্তা Digitized at BRCIndia.com