পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܥܝܼ ܠܕ̄ শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। . ե-Ֆ যদি সেই সময় শ্ৰীযুক্ত অজিতনাথ হ্যায়রত্ন প্রভৃতির স্বাক্ষরযুক্ত সম্মতিপত্র বাহির না করিয়া দেখাইতাম, তাহা হইলে সকলেই আমাকে “জালিয়াত" বলিয়াই বিশ্বাস করিতেন। শ্ৰীপাদ হরিদাস গোস্বামী ঐ পত্ৰ পড়িতে আরম্ভ করিলে, পাছে প্রকৃত রহস্ত প্ৰকাশ হইয়া পড়ে, এই আশঙ্কাতে, তাহা পড়িতে দেওয়া হইল না, কেবল স্বাক্ষরযুক্ত নামগুলি দেখান হইল। সেবাইতগণের রূঢ় ব্যবহার দেখিয়া গলায় ডুরি দিয়া মরিবার ও শ্ৰীনবদ্বীপ সংস্রব ত্যাগ করিাবার ইচ্ছা হইয়াছিল! ঐ প্রভাতৃ মুখোপাধ্যা শ্ৰীনবদ্বীপের প্রকৃত তত্ত্ব সংগ্ৰহ করা দূরে থাকুক। বরং ষড়যন্ত্রীগর্ণের সঙ্গে যোগ দিয়া, আমাকে যৎপরোনাস্তি অপমান করিবারই আয়োজন করিয়াছিলেন। সাহিত্যপরিষৎ ও এসিয়াটিক্‌ সোসাইটির সভ্যগণের মধ্যে এইরূপ হৃদয়বান লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি হইলে নবদ্বীপ দূরে থাকুক জগতেরই সত্য রহস্য উদঘাটিত হইবে । তিনি নবদ্বীপ সভার যে সমস্ত পণ্ডিতের দোহাই দিয়া শ্ৰীনিবদ্বীপ রহস্য উদঘাটন করিতে প্ৰয়াস পাইয়াছেন, উহারা শ্ৰীনবদ্বীপের ষোলক্ৰোশি আবরণের অন্তভুক্ত স্থানগুলির কোথায় কোথায় ভ্ৰমণ করিয়াছেন এবং ঐ সমস্ত স্থানের স্থিতি ও দূরত্ব নির্ণয়াদি কাৰ্য্যে কোন কোন চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা ঐ প্রবন্ধে উঠাইয়া দিলে, নবদ্বীপতত্ত্বপিপাসুগণের একটী বিষম সন্দেহ দূর হইতে পারিত ! যে সমস্ত বিশেষ বিশেষ প্রমাণাদির উপর নির্ভর করিয়া ৬/কান্তিচন্দ্র রাঢ়ী মহাশয়, "দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দের মন্দির শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের বাসভবনের উপর প্রস্তুত হইয়াছিল, সেই সমস্ত প্রাচীন দলিলাদি কোথায় আছে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল মাত্র । তদুত্তরে আমি বলিয়াছিলাম-“৬/কান্তিচন্দ্র রাঢ়ী মহাশয়ের দৌহিত্র শ্ৰীযুক্ত ফণীভূষণ দত্ত ও পাইকপাড়ার রাজপরিবারের তত্ত্বাবধানে আছে । এই দুই স্থানে অনুসন্ধানে সঠিক সংবাদ ও তত্ত্ব অবগত হইতে BBDD S TBKDBBBD BBD BKS TT BDD DBBBDtTT S DDD DDD প্রভাত মুখোপাধ্যায় যাহা প্ৰকাশ করিয়াছেন তাহ বৰ্ণে বর্ণে মিথ্যা। শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর সেবাইতগণের মনে এই আশঙ্কা হইয়াছে যে, “পাছে গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের মন্দিরসম্পৰ্কীয় স্থান শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের বাসস্থান সম্পৰ্কীয় প্ৰতিপন্ন হইলে, ঐ স্থানে কোন আড়ম্বরপূর্ণ সেবা প্ৰকাশ হয় এবং আমি সেই সেবাকাৰ্য্যের কোন প্রধান পরিচালক হইয়া - পড়ি । ইহা দ্বারা তঁহাদের সেবিত মহাপ্রভুর গৌরব খৰ্ব্ব হইবে।” তদুত্তরে আমার বক্তব্য এই যে,-“মহাপ্রভুর ইচ্ছা থাকিলে ঐ স্থানে সমগ্ৰ গৌড়ীয় বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের পক্ষ হইতে কোন বিশেষ সেবা প্রতিষ্ঠিত হইয়া ব্যক্তিগত প্ৰাধান্তে থাকিবেক না ; ঐ শ্ৰীসেবা কাৰ্য্য শ্ৰীশ্ৰীগৌড়ীয়-বৈষ্ণব সন্মিলনীর শাখা - “শ্ৰীশ্ৰীভগবৎ সেবোৎকর্ষিণী সমিতির” তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হইয়া শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের প্রিয় , ভক্তগণের প্রত্যেকের নিজের সম্পত্তি থাকিবেক ।” । “আমি যেরূপ ভিক্ষুক ও কাঙ্গাল আছি সেইরূপই থাকিব । অতএব তাহারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আমি শ্ৰীসেবা কাৰ্য্যের কোন সংস্রবে থাকিব না। বিশেষতঃ আমি শ্ৰী বৈষ্ণব সমাজের নিন্দনীয় ও পতিত। যেহেতু আমি "সঞ্জোগী” । সেবাইত শ্ৰীযুক্ত। ষষ্ঠদাস গোসাঞি আমাকে যে “সঞ্জোগী” বলিয়া সম্বোধন করিয়াছেন, তাহার যুক্তিসঙ্গত কারণও বুহিয়াছে। ... যেহেতু আমি গোয়াড়ী কৃষ্ণনগরের সুপ্ৰসিদ্ধ উকীল ৬/ তারাপদ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ্যা কন্যার