জনরোত্তম-বিলাস । ఫిఫి ঐরঘুনন্দন আদি ঈশ্বরীর পাশে। সে দিবস আচাৰ্য্যাদি তথাই রছিলা । নিবেদন করে কিছু সুমধুর ভাষে ॥ প্রভাতে বিদায় হৈয়া জাজিগ্রামে আইল শুনিলাম কালি প্রতে হইবে গমন । জাজিগ্রামে দুই চারি দিবস রহিয়া । প্রৌঢ় করি রাখিতেও নারিবে এখন। | দুইজন সঙ্গে শীঘ্ৰ গেলেন নদীয়া ॥ আপনি স্বতন্ত্র নিবেদিতে পাই ভয় । নবদ্বীপে ভ্রমণ করিলা যে প্রকারে। মধ্যে মধ্যে গমন হইলে ভাল হয় ॥ তাহা বিস্তারিত গ্রন্থ ভক্তি রত্নাকরে ॥ মোর সম নির্লজ্জ নাহিক কোন জন। | তথা হৈতে শ্ৰীআচাৰ্য্য জাজিগ্রামে আসি ঐছে বিচ্ছেদগ্নি দহে আছয়ে জীবন ॥ । সে দিবস সংকীৰ্ত্তনে গোঙাইল নিশি ॥ রঘুনন্দনের ঐছে বচন শ্রবণে । তার পরদিন যাত্রা করিলা প্রভাতে । ঈশ্বরী অধৈৰ্য্য ধারা বহে নয়নে ॥ চারি পাঁচদিনে আইল বুধরি গ্রামেতে ॥ কতক্ষণে ত্ররঘুননান স্থির হৈয়। শ্ৰীগোবিন্দ কবিরাজ আদি কথো জনে। আইলেন বিনয় পূর্বক কত কৈয় ॥ তথা রাখি খেতরি আইল পরদিনে ॥ গৌরাঙ্গের প্রসাদি সামগ্ৰী সভে দিল শুনিয়া গমন লোক ধায় চারিপাশে। যদ্যপি নাহিক ক্ষুধা তথাপি ভুঞ্জিলা ॥ করয়ে দর্শন অতি মনের উল্লাসে ॥ ঐঈশ্বরী সঙ্গে যে দিবেন সেইক্ষণ । আচাৰ্য্য ঠাকুর ঐঠাকুর মহাশয়। ক্রীমাধব আচার্য্যে করিলা সমর্পণ | সুমধুর বাক্যে তা সভারে সন্তোষয় ॥ হইল অনেক রাত্রি শয়ন করিলা । সভাসহ গৌরাঙ্গণে অতি শীঘ্ৰ গিয়া । রজনী প্রভাতে সভে বিদায় হইলা ॥ করিলা দর্শন অতি অধৈর্য্য হৈয়া ॥ সে সময় যৈছে চিত্ত ব্যাকুল সভার। হেনকালে খড়দহ হৈতে পত্রী আইল । যৈছে নেত্র ধারা বণিতে শক্তি কার ॥ সকল মঙ্গল পত্রী পাঠে জ্ঞাত হৈল ॥ শ্ৰীমতী ঈশ্বর পূৰ্ব্বে যে পথে আইলা। | পরম মঙ্গল পত্র লিখি সেইক্ষণে। সভে দেখি সেইপথে খড়দহে গেলা ॥ খড়দহ পাঠাইলা অতি হৃষ্ট মনে ॥ ঈশ্বরী গমন যৈছে লোক গতাগতি। কতক্ষণ রহি তথা আইলা বাসাতে । সে সকল বণিতে কি আমার শকতি দিবানিশি মত্ত কৃষ্ণকথা আলাপেতে ॥ এথা শ্ৰীঠাকুর রঘুনন্দন খণ্ডেতে । প্রতিদিন মহামহোৎসব যৈছে হয়। আচাৰ্য্যাদি সহ মহা বিহবল প্রেমেতে তাহ বৰ্ণিবারে নারি বাহুল্যের ভয় ?
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।