শ্ৰীনরোত্তম-বিলাস । > o. o আচার্য্য শ্ৰীমহাশয় রামচন্দ্র তিনে । ঐছে ভক্তি-গ্ৰন্থরত্ব করে বিতরণ। না জানি প্রসঙ্গ কিবা করিলা নির্জনে ॥ | ভাগ্যবন্ত জন ইহা করয়ে শ্রবণ ॥ ঐআচার্য্য পঞ্চদশ দিবস রহিয়া । একদিন নরোত্তম রামচন্দ্র সনে । কাঞ্চন গড়িয়া গেল বুধরি হইয়া ॥ বসিয়া আছেন কৃষ্ণকথা আলাপনে ॥ তথা পঞ্চদিবস পরমানন্দে ছিলা । হেনকালে আইলা এক বিশিষ্ট ব্রাহ্মণ । বহু শিষ্য সঙ্গে করি জাজিগ্রামে আইলা ॥| মহাশয় প্রতি কহে করিয়া ক্ৰন্দন ॥ নিরন্তর ভক্তিশাস্ত্র পড়ান সভারে । মোর পাঠ শিষ্যগণ আগে দৰ্প করি। হেন সাধ নাহি কার বাদকল্প করে ॥ | করিলু যতেক তাহা কহিতে না পারি। সভামধ্যে গর্জে মহা মত্তসিংহ প্রায় । যে দিবস তোমারে করিলু শূদ্র বুদ্ধি। শুনিয়া তার্কিক আদি দুরেতে পলায় ॥ | সেইদিন হইতে মোর হৈল কুষ্ঠব্যাধি । নানা দেশ হৈতে লোক পড়িতে আইসে। রোগ শান্তি হেতু কৈলু ঔষধ অনেক। ভক্তিগ্রন্থে অধ্যাপক হৈয়া:যায় দেশে ॥ | শিব স্বস্ত্যয়ন আদি ক্রিয়া বা কতেক ॥ দেবের দুর্লভ প্রেমভক্তি মহাধন। রোগ শান্তি হৈবে কি বাড়িল মহাক্লেশ । শ্ৰীচৈতন্ত ইচ্ছা মতে করে বিতরণ ॥ মনে কৈলু গঙ্গায় করিব পরবেশ । পাপিয়া পাষণ্ডিগণ আচাৰ্য্য কৃপায় । স্বপ্নে মোরে বিমুখী হইয়া ভগবতী । অনুক্ষণ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত গুণগায় ॥ ক্রোধাবেশে কহে হৈবে বিশেষ দুৰ্গতি ॥ হেন আচার্য্যের অভিন্ন কলেবর। নরোত্তমে শূদ্র বুদ্ধি কৈলি অহঙ্কারে। ঐঠাকুর নরোত্তম গুণের সাগর ॥ পড়িয়া শুনিয়া বুদ্ধি গেল ছারেখরে । প্রাণের অধিক প্রিয় ত্রীরামচন্দ্র সঙ্গে নরোত্তমে সামান্ত মনুষ্য বুদ্ধি যার । ঐখেতরি গ্রামে বিলসয়ে প্রেমরঙ্গে ॥ সে পাপীর কোনকালে নাহিক নিস্তার ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবত গোস্বামীর গ্রন্থগণ । যদি তেহ তোর ভাগ্য হয়েন সদয় । নিরন্তর শিষ্যেরে করান অধ্যয়ন ॥ তবে সে হইবে রক্ষা জানিহ নিশ্চয় ॥ ভক্তিগ্রন্থ ব্যাখ্যা শুনি কৰ্ম্ম জ্ঞানিগণে ঐছে কহি তেঁহ হইলেন আদর্শন। হইয়া বৈষ্ণব সে নিন্দয়ে কৰ্ম্মজ্ঞানে ॥ | প্রাতঃকাল হৈল এথা করিলু গমন । অন্তদেশে আসি বিপ্র বৈষ্ণব একত্রে। ! আসিতে তোমার আগে মনে হৈল ভয়। গোস্বামীর গ্রন্থ পঢ়ি পঢ়ান সৰ্ব্বত্রে ॥ পথে এক বিজ্ঞ কহে তেঁহ কৃপাময় ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।