পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১১১

ঐনরোত্তম-বিলাস । ృ oసి এথা এক পড়য়া আইল পান লৈতে । এ সব প্রসঙ্গ অল্পে না হয় বর্ণন। র্তেই মূল্য পুছে ক্রিহ কহে সংস্কৃতে ॥ পরাভব হৈলা শীঘ্র অধ্যাপকগণ ॥ পড়য়া করিয়া দৰ্প সংস্কৃত কয়। অধ্যাপক সহ রাজা গেলেন বাসায় । দুই চারি বাক্যেই হইল পরাজয় ॥ কেহ কার প্রতি হাসি কহেন তথায় ॥ বারুই কহয়ে মূর্খ তুমি কিবা জান। আইলেন অধ্যাপক সিংহের সমান। যদি লজ্জা হয় তবে অধ্যাপকে আন ॥ | পরাভব হৈয়া যেন হইলেন শ্বান ॥ পড়য়া যাইয় অধ্যাপক প্রতি কয়। শ্ৰীমহাশয়েরে মূর্খ না পারে জানিতে। বারুই কুমার স্থানে হৈলু পরাজয় ॥ খেতরি গ্রামেতে নরোত্তম রহে যথা । বারুই কুমার পান হাড়ী দেয় তথা ॥ কি বলিব এ দোহার বিদ্যা অতিশয়। বুঝি এই দোহে বা করয়ে পরাজয় ॥ যদি জিনিবারে পার বারুই কুমারে। তবে যাবে খেতরি নহিলে চল ঘরে ॥ শুনি অগ্নিমূৰ্ত্তি হৈয়া কহে বারবার। দেখহ আছয়ে কোথা বারুই কুমার ॥ এত কহি অধ্যাপক যাইয়া ত্বরিত। নানা শাস্ত্রচর্চা করে বারুই সহিত। ক্রমে ক্রমে তথা আইল অধ্যাপকগণ । রাজা নরসিংহ আর রূপনারায়ণ ॥ চতুৰ্দ্দিকে লোক ভীড় হৈল অতিশয় । পরস্পর কি অদ্ভুত শাস্ত্রযুদ্ধ হয়। বারুই কুমার অতি মনের উল্লাসে। করয়ে খণ্ডন ব্যাখ্যা সুমধুর ভাষে । মহাক্রোধে পূর্ণ হয় অধ্যাপক গণ । অলৌকিক ব্যাখ্যা নারে করিতে স্থাপন ৷ পাৰ্ব্বতীর আজ্ঞ বিপ্রে যার শিষ্য হৈতে ॥ ঐছে মহাশয়ের মহিমা সভে কয়। লোকমুখে শুনিয়া রাজার হৈল ভয় ॥ রূপনারায়ণ প্রতি কহে ধীরে ধীরে । এবে কি উপায় ভাই বোলহ আমারে ॥ রূপনারায়ণ কহে সকলের সার। বৈষ্ণবের ধৰ্ম্ম পর ধৰ্ম্ম নাহি আর ॥ বৈষ্ণবের নিন্দ সদা হইল শ্রবণ । ইহাতে অবশু হয় নরকে গমন ॥ চল গিয়া করি তার চরণ আশ্রয়। তবে সে হইব রক্ষা কহিল নিশ্চয় ॥ নরসিংহ কহে এই হইল মোর মনে । বিলম্বের কার্য্য নাহি চল এইক্ষণে ॥ রূপনারায়ণ কহে অদ্য এথা রহ । কালি প্রাতে গমন করিবা গণ সহ ॥ এই কথা সৰ্ব্বত্র হইল সেইক্ষণে । কালি রাজা খেতরি যাইব গণ সনে ॥ অধ্যাপকগণের হইল মহাদায়। রাজার সম্মুখ হৈতে না পারে লজ্জায়।