33R জীনরোত্তম-বিলাস । ভোজন আনন্দ তথা হৈল যে প্রকারে । বণিতে নারি এ গ্রন্থ বাহুল্যের ডরে ॥ রূপনারায়ণ আদি প্রসাদ ভুঞ্জিলা । দিবরাত্রি পরম আনন্দে গোঙাইলা ॥ তার পরদিন অতি অপূৰ্ব্ব সময়। হইলেন শিষ্য মহা আনন্দ হৃদয় ॥ শ্ৰীঠাকুর নরোত্তম বহু কৃপা কৈল । মন্ত্রদীক্ষা দিয়া প্রভু পদে সমৰ্পিলা ॥ কথোদিনে তথাই রহিলা সৰ্ব্বজন । গোস্বামীগণের গ্রন্থ কৈলা অধ্যয়ন ॥ দিনে যে আনন্দ কহিতে না পারি। হইলেন সভে প্রেমভক্তি অধিকারী ॥ সংকীৰ্ত্তন বিন স্থির নহে কার মন । সংকীৰ্ত্তনানন্দে মত্ত হৈল সৰ্ব্বজন ॥ শ্ৰীগোবিন্দ কবিরাজ নিৰ্ম্মিত শ্ৰীগীত । তাঙ্গ আস্বাদয়ে সদা করি কত প্রীত ॥ গঙ্গানারায়ণ চক্রবত্তীর শ্ৰীমুখে । শ্ৰীমদ্ভগবত সভে শুনে মহাসুখে ॥ দিবরাত্রি কাহার নাহিক অবসর। ভক্তি অঙ্গ যাজুনেতে সকলে তৎপর ॥. যে বারেক আইসয়ে খেতরি গ্রামেতে । হেন আনন্দ ছাড়ি ন পারে যাইতে ॥ রাজা নরসিংহ আর রূপনারায়ণ । দেশে গিয়া শীঘ্র আইলেন দুইজন ॥ রজি নরসিংহের ঘরণী রূপমালা । অতি পতিব্ৰতা লজ্জাবতী সে সুশীলা ॥ তার ভক্তিরীতি দেখি আনন্দ झना । করিলেন শ্ৰীমন্ত্র প্রদান মহাশয় ॥ রূপমালা মনে বহু বাঢ়িল আনন্দ । করিলেন লক্ষ নাম গ্রহণ নিবন্ধ। গণসহ রাধাকৃষ্ণ চৈতন্ত চরণে । হৈল মহা গাঢ় রতি বাড়ে দিনে দিনে ॥ ঐছে শ্ৰীঠাকুর মহাশয় নিজগুণে । করয়ে করুণাগুণ গান সৰ্ব্বজনে ॥ হরিচন্দ্র রায় নামে দম্য একজন । গুণ শুনি লৈলা মহাশয়ের শরণ ॥ দীক্ষামন্ত্ৰ দিয়া তীরে করিলা উদ্ধার । শেষে হরিদাস নাম হইল তাহার ॥ হইলেন দুল্লভ ভক্তির অধিকারী। ত্যাগ কৈল্লা সে জলপিন্থের জমীদারী ॥ দন্তে অনুগ্রহ দেখি হইয়া বিস্ময় । নির্জনে বসিয়া কেহ করে প্রতি কয় ॥ ঐঠাকুর মহাশয় গুণের নিধান । অনায়াসে করিলা দসু্যর পরিত্রাণ ॥ কেহ কহে দস্ব্যের প্রধান চান্দরায় । ইহার ভয়েতে লোক কঁপিয়ে সদায় ॥ যদি এ অধমে দয়াকরে মহাশয় । তবে সৰ্ব্ব মতে এ দেশের রক্ষা হয় ৷ কেহ কহে ওহে ভাই চিন্তা না করহ। চান্দরায়ে অবগু হইব অনুগ্রহ ॥ অনুগ্রহে এ সব দুৰ্ব্বদ্ধি দূরে যাবে। গোষ্ঠীসহ চান্দরায় বৈষ্ণব হইবে ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।