পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীনরোত্তম-বিলাস । יסמל কেহ কহে সৰ্ব্বশেষ এই দুরাচার। ইহা শুনি সভা প্রতি কহে সংক্ষেপেতে + মনে হেন লয় শীঘ্ৰ হইব উদ্ধার ॥ চান্দরায় দেবীভক্ত গোষ্ঠীর সহিতে ॥ হেনকালে হর্ষে এক বিপ্ৰ আসি কয় । • | মহাবলবান চান্দরায় জমীদার। চান্দরায়ে অনুগ্রহ কৈলা মহাশয় ॥ দস্থ্যর প্রধান অতিশয় ফুষ্টাচার ॥ ঐনরোত্তমের পাদপদ্ম করি সার। অতি ক্ৰোধযুক্ত দেবী দেখিয়া ছনীত । সংসার সঙ্কট হৈতে হইল উদ্ধার ॥ ব্ৰহ্মদৈত্য দ্বারে দুঃখ দিলা যথোচিত ॥ । পূৰ্ব্বে তারে দেখিলে হইত মহাভয় । পুনঃ সেই দেবী দেখি জীবন সংশয়। এবে দৃষ্টিমাত্রে হয় আনন্দ উদয় ॥ কি বলিব পূৰ্ব্বের দুৰ্ব্ব,দ্ধি এ সব। হইলা মুশান্ত কিবা অপূৰ্ব্ব বৈষ্ণব ॥ দেখিয়া আইলু মুঞি প্রভুর প্রাঙ্গণে। " ধূলায় ধূসর অঙ্গ নাচে সংকীৰ্ত্তনে ॥ শুনি এ সকল কথা অতি হৃষ্ট হইয়া । চান্দরায়ে দেখিতে চলয়ে লোক ধাঞা। দূরে হৈতে দেখে চারায় প্রেমাবেশে । পড়িয়া ধরণীতলে নেত্রজলে ভাসে ॥ সৰ্ব্বাঙ্গে পুলক কম্প হয় বারবার। দেখি সৰ্ব্ব লোকের হইল চমৎকার ॥ কেহ কহে এতদিনে গেল দসু্যভয় । সৰ্ব্বমতে রক্ষা করিলেন মহাশয় ॥ ঐছে কত কহি অতি আনন্দ অন্তরে। ঐচান্দরায়ের ভাগ্য-শ্লাঘ সভা করে ॥ হেনই সময়ে তথা আইলা কতজন । নানা অস্ত্রধারী সভে দুরদেশী হ’ন ॥ অজানত রূপে জিজ্ঞসয়ে এ সভারে। চান্দরীয় বৈষ্ণব কেমন কি প্রকারে | b" আজ্ঞা কৈলা কর নরোত্তম পদাশয় ॥ নরোত্তম মহাশয় অতি দয়াবান । নরক হইতে তোরে করিবেক ত্ৰাণ ॥ ঐছে স্বপ্নাদেশে চারায় সেইক্ষণে । লইলা শরণ মহাশয়ের চরণে ॥ ঐঠাকুর মহাশয় দেখি মহাক্লেশ । নিজগুণে করিলা শ্ৰীমন্ত্র উপদেশ । ঘুচিল দুবুদ্ধি দীন মানে আপনায়। বলে লৈয়া দিল দণ্ড যবন রাজায় ॥ সে সকল ছুঃখ চান্দরায় নাহি গণে । কেবল একান্ত মন প্রভুর চরণে ॥ যবন আনিল হস্তী চন্দেরে মারিতে। পলাইল হস্তী চান্দরায়ের ডরেতে ॥ অতি ব্যস্ত হৈয়া রাজা কহয়ে সভারে । অতি সাবধানেতে রাখহ কারাগারে ॥ মনে বিচারয়ে চান্দ হৈয়া উল্লসিত । করিলু কুক্রিয়া তার দণ্ড এ উচিত ॥ কেহ কহে দেবীমন্ত্রে দুঃখ ঘুচাইব। চান্দরায় কহে অন্ত মন্ত্র না স্পশিব ॥