একাদশ বিলাসন । জয় গৌর নিত্যানন্দাদ্বৈতগণ সহ । এ দীন দুঃখিরে প্রভু কর অনুগ্রহ ॥ জয় জয় দয়ার সমুদ্র শ্রোতাগণ । এবে যে কহিয়ে তাহ করহ শ্রবণ ॥ কবিরাজ ঠাকুর ঠাকুর মহাশয় । লিখিলেন সকল সংবাদ পত্রীস্বয় ॥ শ্ৰীগোবিন্দ কৃত গীত পত্রিক সহিতে। বৃন্দাবনে পাঠাইলা পরম যত্নেতে ॥ তথাকার মঙ্গল শুনিয়া হৰ্ষ হৈলা । এ সব সংবাদ জাজিগ্রামে পাঠাইলা ॥ জাজিগ্রামে আচাৰ্য্য লইয়া নিজ গণ । ভক্তিশাস্ত্র আলাপে উল্লাস অনুক্ষণ ॥ শ্ৰীনরোত্তমের ভক্তি দান দীনহীনে। দস্থ্য পাষণ্ডীরে উদ্ধারয়ে নিজগুণে ॥ এ সব প্রসঙ্গ শুনি আচার্য্য অস্তরে । যে আনন্দ বাড়ে তাহ কে কহিতে পারে খেতরি যাইব শীঘ্ৰ করিতেই মনে । বিবিধ মঙ্গল দৃষ্ট হইল সেইক্ষণে ॥ কেহ আসি কহে বীরভদ্র আইল এথা । আচাৰ্য্য আনন্দ শুনি আগমন কথা ॥ দেখে গিয়া গ্রামের নিকটে উপনীত । দর্শন করিয়া সভে মহা উল্লাসিত ॥ প্রভু বীরচন্দ্ৰ দেখি আচাৰ্য্য ঠাকুরে। মন্বয্যের যানে হৈতে নামিলা সত্বরে ॥ গণসহ আচাৰ্য্যভূমিতে প্রশময়ে। বীরচন্দ্র প্রভু মহাযত্নে আলিঙ্গয়ে ॥ জিজ্ঞাসিল কুশল অতি আনন্দ অন্তরে। আচার্য্যের করে ধরি চলে ধীরে ধীরে ॥ মহাযত্নে আচৰ্য্য করয়ে নিবেদন । অকস্মাৎ কোথা হৈতে হৈল আগমন ॥ প্রভু কহে খড়দহে বিচারিনু চিতে। জাজিগ্রাম হৈয়া যাব খেতরি গ্রামেতে ৷ গণসহ নদীয়াদি ভ্রমণ করিলু। ঐথও হইয়া শীঘ্ৰ এথায় আইলু ॥ ঐছে কহি ভুবন ভিতরে নিজস্থানে। বসিলেন প্রভু বীরচন্দ্র নিজাসনে ॥ প্রভুর আগমনে হৈল আনন্দ প্রচুর। ঘরেতে আইলা যেন ধরের ঠাকুর। দ্রৌপদী ঈশ্বরী আর শ্ৰীগৌরাঙ্গ প্রিয় । , আচার্য্যের ভাৰ্য্যা দোহে প্রশমিল গিয়া । তল জল আনি উল্লাস হৃদয়ে । প্রভু বীরচন্দ্রের চরণ পাখালয়ে ॥ আচার্য্যের জ্যেষ্ঠ পুত্র অতি বিচক্ষণ । শ্ৰীজীব গোস্বামী দত্ত নাম বৃন্দাবন ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।