পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృసి ঐনরোত্তম-বিলাস । রাধাকৃষ্ণ শ্ৰীগতি গোবিন্দ এই তিনে । পড়িলেন প্রভু বীরচন্দ্রের চরণে ॥ এ তিন বালকে প্রভু আশীৰ্ব্বাদ কৈলা । এ তিনের মস্তকে শ্ৰীচরণ অপিলা ॥ আচার্য্যের কন্তু তিন ভক্তি প্রেমরতা। হেমলত কৃষ্ণপ্রিয়া শ্ৰীকাঞ্চন লতা। তিনে প্ৰণমিলা প্রভু বীরচন্দ্ৰ-পায় । প্রভু আশীৰ্ব্বাদ কৈলা বাৎসল্য হিয়ায় ॥ গ্রামবাসী স্ত্রী পুরুষ আইলা দর্শনে। সভে প্ৰণমিলা বীরচন্দ্রের চরণে ॥ প্রত্যেকে সভারে প্রভু কুশল জিজ্ঞাসে । সভে আত্মনিবেদন কৈলা মৃদুভাষে ॥ ইছে কতক্ষণ প্রভু রহি সেইখানে । গণ সহ পরম আনন্দে গেলা স্নানে ॥ এথা শীঘ্ৰ স্নান করি আচার্য্য ঘরণী । করয়ে রন্ধন যৈছে কহিতে না জানি ॥ শাকাদি ব্যঞ্জন কৈলা সিদ্ধ পক্ক আর । ক্ষীর সর ননী আদি অনেক প্রকার ॥ সুগন্ধি তণ্ডুল পাক করিয়া যত্নেতে। সদ্য স্কৃত সিক্ত করি ধরিলা থালেতে ॥ আচার্য্যের সিক্ত এক অতি বিচক্ষণ । শালগ্রামচন্দ্রে ভোগ কৈলা সমর্পণ ॥ প্রভু নিত্যানন্দ দত্ত গোবৰ্দ্ধন শিলা । প্রভু বীরচন্দ্র সেবে সঙ্গে তেঁহ ছিল ৷ তাহারেও ভোগ সমর্পণ কৈলা রঙ্গে । পরে পরম প্রতে দোহে এক সঙ্গে ॥ ভোগ সাজাইয়া দিলা দুই ঠাকুরাণী। কি অপূৰ্ব্ব শোভা হৈল কহিতে না জানি গোবৰ্দ্ধন শিলা আর শ্রবংশীবদন । ভুঞ্জিলেন পুজারী দিলেন আচমন ॥ তাম্বুল ভক্ষণ করাইয়া যত্ন মতে । করাইলা শয়ন সে অপূৰ্ব্ব শয্যাতে ॥ এখা মানাহিক সারি সভে প্রভুসনে। ভোজনে বসিলা গিয়া অপূৰ্ব্ব প্রাঙ্গণে ॥ প্রভু বীরচন্দ্ৰ শ্ৰীআচাৰ্য্য প্রতি ক’ন ॥ ভোজনে বৈসহ সঙ্গে লৈয় সব্বজন ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর কহে ইথে পাই ভীত । সব্বশেষে ভুঞ্জি আমি এই সে উচিত। শুনি প্রভু আচার্য্যের করে ধরি হাসে । কহয়ে উচিত এই বৈস মোর পাশে । আচাৰ্য্য ঠাকুর আজ্ঞা না পারে লজিঘতে। সভাসহ বসিলা প্রভুর আজ্ঞামতে ॥ প্রভু বীরভদ্র সঙ্গী মহাবিজ্ঞগণ । হইল সভার মহা উল্লাসিত মন ॥ কি অপূৰ্ব্ব বৈষ্ণবমণ্ডলী শোভা করে। প্রভু বীরচন্দ্রে দেখি কেবা ধৈর্য্য ধরে । অপূৰ্ব্ব কদলীপত্র সকলে লইয়া। প্রভু পরিবেশন করিতে আজ্ঞা দিলা ॥ ভক্তিমূৰ্ত্তি পতিব্ৰতাচাৰ্য্য ভাৰ্য্যাদ্বয়। করে পরিবেশন আনন্দ অতিশয় ॥ শ্ৰীদাস গোকুলানন্দ ব্যাস এ তিনেতে । সাজাইলা নানা দ্রব্য অপূৰ্ব্ব পাত্ৰেতে ॥