ঐনরোত্তম-বিলাস । ו"כלל চিনিপান পক্কান্নাদি দিয়া থরে থরে । বসিলেন গিয়া জীপ্রসাদ ভুঞ্জিবারে। বীরচন্দ্র তাহা কিছু প্রথমে ভুঞ্জিয়া । আজি এ ব্রজের মত কহয়ে হাসিয়া ॥ তদুপরি ভুঞ্জে সিদ্ধ পক্ক স্বমধুর। শাকাদি ব্যঞ্জন ভুঞ্জি আনন্দ প্রচুর ॥ পরম কৌতুকে সভে করিলা ভোজন। আচমন করি কৈলা তাম্বুল ভক্ষণ । কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করি আনন্দ আবেশে । দিবারাত্রি গোঙাইল কৃষ্ণকথা রসে ॥ প্রভাতে শ্রীরামচন্দ্র আচার্য্য সহিতে । করিলেন যাত্র অতি উল্লাসিত চিতে ॥ প্রভু বরচন্দ্রের যতেক প্রিয়গণ । মনের উল্লাসে সভে করিলা গমন ॥ আচার্য্যের শিষ্যগণ আনন্দ হিয়ায় । কেহ সঙ্গে চলে কেহ আগে চলি যায় ॥ কণ্টকনগর হৈয়া আইল বুধরি। পুঝে গোবিনাদি শুনি আছে আগুনরি। পথে সভাসহ হৈল অদ্ভুত মিলন। গোবিন্দ আনন্দে লৈয়া আইলা ভবন ॥ প্রভু বীরচন্দ্র অতি আনন্দিত মনে । অপুৰ্ব্ব বাসায় উত্তরল গণসনে ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুরগণ সহ সেই ঠাঞি। ,পরস্পর সভার সুখের সীমা নাই ॥ ভোজন-কৌতুক আদি যেরূপ হইল। তাহা বাহুলোর ভয়ে বণিতে নারিল ॥ দুই দিন বুধরি গ্রামেতে স্থিতি কৈলা । তথাতে আসিয়া বহু বৈষ্ণব মিলিলা ॥ সভাসহ পদ্মাপার হৈলা স্নান করি । মনের উল্লাসে প্রভু চলয়ে খেতরি ॥ গমন সংবাদ পূৰ্ব্বে শুনি মহাশয়। করাইল ৰিবিধ সামগ্রী পূপাদয় ॥ দধি দুগ্ধ ছেন আদি অস্ত্রাদিক ফল । আম্রাদি আচার সজ্জ হইল সকল । বাস পরিষ্কার করাইয়া মহাশয়। গণসহ আসি দূরে পথ নিরখয়। তাপ তম নাশিতে উদয় চন্দ্ৰগণ । ঐছে দূরে হৈতে দেখি জুড়ায় নয়ন ॥ নিকটে যাইয় অতি উল্লসিত মনে । প্ৰণমিলা প্ৰভু বীরচন্দ্রের চরণে ॥ প্রভু বীরচন্দ্র নরোত্তমে আলিঙ্গিয় । হইলেন অধৈর্য্য ধরিতে নারে হিয়া ॥ নরোত্তম সিক্ত হইয়া নয়নের জলে । পুনঃ পুনঃ লোটাইয় পড়ে পদতলে ৷ যৈছে পরম্পর হইল সভার মিলন । একমুথে তার লেশ না হয় বর্ণন ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর ঐঠাকুর মহাশয় । প্রভুরে লইয়া আইল গৌরাঙ্গ আলয় ॥ গৌরাঙ্গ বল্লভীকান্ত শ্ৰীব্রজমোহন । রাধাকৃষ্ণ রাধাকান্ত ত্রীরাধারমণ ॥ বীরচন্দ্র দর্শন করিয়া এ সভার । হইল অধৈৰ্য্য নেত্রে বহে অশ্রদ্ধার ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।