পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ye ঐনরোত্তম-বিলাস । এইরূপে হইলেক শ্ৰীঅন্নপ্রাশন। ইহার শ্রবণে হয় বাঞ্ছিত পূরণ ॥ কথো দিন পরে কৈলা প্রচুড়াকরণ। ব্যাকরণ আদি করাইল অধ্যাপন ॥ নরোত্তমে যেই বিদ্যা যে জনে পড়ায় । উছার সন্দেহ ঘুচে ঞিহার কৃপায়। ঐনরোত্তমের চেষ্টা দেখি বিজ্ঞজন । পরস্পর নিভৃতে করয়ে গুণগান। কেহো কহে ঞিহো দেব অংশে অবতরে। নহিলে কি মনুষ্যে এমন শক্তি ধরে ॥ এ নব বয়সে সৰ্ব্বকার্য্যে সুশিক্ষিত । সৰ্ব্বমতে করে সভাকার মনোহিত ॥ কেহো কহে ঞিহারে ক্ষণেক মাত্র দেখি । ভুলিয়ে সকল দুঃখ জুড়াই এ আঁখি ৷ কেহো কহে রাজপুত্র অতি সুকুমার। সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর হেন না দেখিয়ে আর ॥ ঐছে কত কহি প্রশংসয়ে কৃষ্ণানন্দে । কৃষ্ণানন্দ মগ্ন পুত্রপালন আনন্দে ॥ সৰ্ব্ব প্রকারেতে যোগ্য দেখিয়া পুত্রেরে। বিচারয়ে সদা মহা আনন্দ অন্তরে ॥ বিভা করাইয়া আমি পুত্রে রাজ্য দিব । মোর পিতা সম মুঞি নিশ্চিন্ত হইব। ঐছে বিচারিয়া বিজ্ঞ কায়স্থবর্গেরে। কহে বিবাহের কস্তা চেষ্টা করিবারে। এথা নরোত্তম প্রেমাবেশে সঙ্গোপনে । কৃষ্ণ আরাধয়ে অশ্রুধার ছনয়নে ॥ নিরন্তর পরম বৈরাগ্য ভাব চিতে । রাজভোগাদিক বাৰ্ত্ত না পারে সহিতে। ' পুত্রের বৈরাগ্য ক্রিয়া দেখি ক্ষণে ক্ষণে । কৃষ্ণানন্দ রায় মহা চিন্তাযুক্ত মনে। নরোত্তম বিনা কিছু নাহি ভয় মনে । তৈছে মাত নারায়ণী পুত্রগত প্রাণে ॥ সতত রক্ষক রাখিলেন পুত্র পাশে। তথাপিহ নিরন্তর চিত্তে শঙ্কা বাসে ॥ নরোত্তম বন্দি প্রায় চিন্তে মনে মনে । না দেখি উপায় গৃহ ছাড়িব কেমনে। ঐছে চিন্তি চিত্তবৃত্তি না করে প্রকাশ : কি হবে গৌরাঙ্গ বলি ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস ॥ নিতাই অদ্বৈত বলি চারিদিকে ধায়: ধূলায় ধূসর অঙ্গ ধরণী লোটায়। উৰ্দ্ধ বাহু করিয়া ডাকয়ে বারেবার। প্রভুগণ সহ মোরে করহ উদ্ধার ॥ ঐছে প্রতিদিন অতি নিভৃত পাইয়া । ফুকরি কান্দয়ে মহাব্যাকুল হইয়া ॥ জগতে ব্যাপিল গৌরচন্দ্রের চরিত। শুনিতে না পায় তবু শুনে সাবস্থিত। ঐখেতরি গ্রামে এক প্রাচীন ব্রাহ্মণ । নাম তার কৃষ্ণদাস কৃষ্ণ-পরায়ণ ॥ অতি জিতেন্দ্রিয় তারে সভে করে ভয় । র্তার আজ্ঞা লজিযতে কাহার সাধ্য নয় ॥ তেঁহো নরোত্তম বিনা নারে স্থির হৈতে। কৃষ্ণসেবা সারি যান দেখিতে নিভৃতে ॥ |