ጏእw ইনরোত্তম বিলাস । ভূমেতে পড়িয়া বারবার প্রশময়ে। মনে উপজয়ে যাহা তাহ কে জানয়ে ৷ ধৈর্য্যাবলম্বন প্রভু কৈলা কতক্ষণে । জীমালাপ্রসাদ দিলা পূজারী যতনে ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর মহাশয় যত্ন করি। লইয়া গেলেন বাসায় যথা ছিলেন ঈশ্বরী ॥ এখাতে বৈষ্ণব সব অধৈর্য্য দর্শনে। নেত্ৰাক্ষু নিবারি স্থির হৈল সৰ্ব্বজনে ॥ পূজারী দিলেন মালা প্রসাদ সভারে। প্রভুর নিকটে গেল উল্লাস অন্তরে। জীখেতরি আদি গ্রামবাসী লোকগণ । চতুৰ্দ্ধিকে ধায় সভে করিতে দর্শন ॥ দর্শন করিয়া সভে চলে নিজবাসে। কেহু কার প্রতি কহে সুমধুর ভাষে ॥ ভুবনমোহন নিত্যানন্দ বলরাম । র্তার পুত্র প্রভু বীরভদ্র গুণধাম ॥ ভুবনমোহন মূৰ্ত্তি রসের আলয়। দেখিতে আখেরি তৃষ্ণ বাঢ়ে অতিশয় ॥ কেহ কহে মো সভার ধন্ত এ জীবন। অনায়াসে পাইলু ফুল্লভ দরশন। কেহ কহে শ্ৰীঠাকুর মহাশয় হৈতে। মনোরথ পূর্ণ হৈল খেতরি গ্রামেতে ॥ ঐছে কত কহে লোক আনন্দ আবেশে । বীরচন্দ্র গমন ব্যাপিল সৰ্ব্বদেশে ॥ এথা বীরচন্দ্ৰ প্ৰভু অপূৰ্ব্ব বালাম্ব। সভাসহ বসিলেন আনন্দ হিয়ায় ॥ বীরচন্দ্র প্রভু প্রতি আচাৰ্য্য ঠাকুর। মন্দ মন্দ হাসি কহে বচন মধুর। আজি করিবেন এথা পকান্ন ভোজন। হইল প্রস্তুত পূৰ্ব্বে শুনি আগমন ॥ প্রভু বীরচন্দ্র নিজ সম্পুট হইতে। গোবৰ্দ্ধন শিলা দিলা ভোগ লাগাইতে ॥ র্তারে নানা সামগ্রী যত্নেতে আনি দিল । ভোগ সরাইয়া শিলা সম্পুটে রাখিল ॥ শ্ৰীমন্দির হৈতে নানা প্রসাদ আনিলা । হইল প্রস্তুত সব যত্নে নিবেদিলা ॥ আচার্য্যের বাক্য শুনি কহেন গোসাঞী। হইয়াছে ক্ষুধ বিলম্বের কাজ নাই ॥ এত কহি সভা লৈয়া বসিলা প্রাঙ্গণে । দেখয়ে অদ্ভুত শোভা ভাগ্যবন্ত জনে ॥ হরিরাম রামকৃষ্ণ গঙ্গানারায়ণ । শ্ৰীগোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী আদি কথোজন ॥ বিবিধ পক্কান্ন সব লইয়া যত্নেতে । করে পরিবেশন পরমানন্দ চিতে ॥ আম্র পনস দাড়িম্বাদি নানা ফল । দধি দুগ্ধ ছেন চিনি পানাদি সকল ॥ ক্রমে ক্রমে দিয়া শোভা দেখয়ে কৌতুকে আচাৰ্য্যাদি সভা সহ ভুঞ্জে প্রভু মুখে ॥ পূপলড কাদি অতি মনোহর। স্বাদে স্বাদে ভোজন হইল গুরুতর ॥ করি আচমন প্রভু বসিলা আসনে। প্রসাদি তামূল খাইলেন হৰ্ষমনে ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।