পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীনরোত্তম বিলাস। 33 শেষে ভুঞ্জে লোক যত লেখা নাই তার। আচার্য্যের প্রতি প্ৰভু বীরচন্দ্ৰ কয়। এ সকল ৰিস্তারি নারি যে বর্ণিবার ॥ | সংকীৰ্ত্তন শ্রবণ করিতে সাধ হয় ] গণসহ আচাৰ্য্য ঠাকুর মহাশয়। আচাৰ্য্য কহয়ে সৰ্ব্ব সাধকর্তা তুমি । । প্রভু বরচন্ত্ৰে লৈয় আননে ভাসয় ॥ | মে সভার সাধ পূর্ণ হৰে এই জানি। রাধাকৃষ্ণচৈতন্ত চরিত্র মুধাপানে। মনের উল্লাসে ঐঠাকুর মহাশয়। কত মুখে গেল জিব! রাত্রি কেবা জানে ॥ | বিলম্বুে নাহিক কাৰ্য্য সভা প্রতি কয় ॥ এাতে ভে এাতক্রিয়া জানা িকরি | ক্রস্তোব রাসব সজ করাইল। শ্ৰীসৱোৰ প্ৰভু বীরচন্দ্র আগে আইল ॥ | সংকীৰ্ত্তনারম্ভ কথা সকলে শুনিল । পরাইয়৷ অতিসূক্ষ্ম নৰীন বসন। ধাইলা সকল লোক চতুর্দিক হৈতে। দেখিয়া প্রভুর শোভা জুড়ায় নয়ন ॥ জাসিয়া বেড়িল প্রাঙ্গণের চারিডিতে ॥ সঙ্গের বৈষ্ণবগণে করিয়া বিনয় । অপরাহ কালে বীরচন্দ্র সভা সনে । পরাইয়। নব্য বস্ত্র আনন্দ হৃদয় ॥ বাসা হৈতে আইলেন গৌরাঙ্গ প্রাঙ্গণে ॥ অপূৰ্ব্ব আসন প্ৰভু জাগে সাজাইলা ৷ | করিলেন উত্থাপন আরতি দর্শন। তাহে বসি গোবৰ্দ্ধনশিল সেবা কৈলা | পূজার দিলেন আনি ক্রমালাচান। ভূষিত করিয়া পুপ তুলসী চন্দনে। আচার্য্যের হৈল অতি উল্লাস অন্তর। বিবিধ সামগ্ৰী ভোগ দিলা সেইক্ষণে ॥ করিল চন্দন চিত্র অতি মনোহর । ভোগ সরাইয়া বহু প্ৰণাম করিল। নানা পুষ্পমালা পরাইয়া প্ৰভু গলে। প্রসাদি সামগ্ৰী সব জনে বট দিল দেখিয় অপূৰ্ব্ব শোভা ভাসে নেত্রজলে। প্রভু বীরচত্রের যে পাককৰ্ত্তাগণ। মহাশয় গায়ক বাদকগণ লৈয়া । অতি শীঘ্র করলেন অপূৰ্ব্ব রন্ধন। সংকীৰ্ত্তন আরম্ভ করয়ে হৃষ্ট হৈয়া ॥ গোবৰ্দ্ধনশিলায় সে ভোগ সমৰ্পিল । গোকুল বরিযে সুধা রাগ আলাপনে । ভোগ সরাইয়া স্বর্ণসংপুটে রাখিল দেবীদাস রায় খোল বিচিত্র বন্ধানে। শ্ৰীগৌরচন্দ্রের করি আরতি দর্শন। খোল করতাল ধ্বনি আলাপ প্রকার। সভা সহ কৈল প্রভু আননে ভোজন৷ | ভেদয়ে গগণ দেবলোকে চমৎকার । তান্থল ভক্ষণ করি বিশ্রাম করিল। শ্ৰীমহাশয়ের কণ্ঠধ্বনি সুমঙ্গলে। কতক্ষণ পরে সভা লইয়া বসিলা ॥ উথলে আনন্দসিন্ধু অধৈৰ্য্য সকলে।