ఇe খ্ৰীনরোত্তম বিলাস । চারিদিকে বৈষ্ণবমণ্ডলী মনোহর । মধ্যে প্রভু বীরচন্দ্র শোভয়ে সুন্দর ॥ কনক জিনিয়া অঙ্গ ঝলমল করে। সুমধুর ভঙ্গীতে মদন মদ হরে ৷ করয়ে নৰ্ত্তন মহাপ্রেমের আবেশে । তুলিয়া আজাকু বাহু ফিরে চারিপাশে ॥ পরিসর বক্ষে দোলে নানা পুষ্পহার। অবিরল বিপুল পুলক অনিবার। সুচারু বদনে হরি হরিবোল বলে। ভাসয়ে দীঘল দুটি নয়নের জলে ॥ চঞ্চল নয়ন চারু চরণ কমল । অভিনব পরশে হরষ মহীতল ৷ ভুবনমোহন নৃত্য করয়ে কীৰ্ত্তনে। হরিষে কুসুম বরিষয়ে দেবগণে ॥ গন্ধৰ্ব্ব কিন্মর মকুষ্যের বেশ ধরি। অনিমিখ নেত্রে দেখে নৃত্যের মাধুরী। প্রভু বীরচন্দ্ৰ ইচ্ছা সভার সহিতে । করিব নৰ্ত্তন তেঞি চাহে চারিভিতে ॥ হেনই সময়ে ঐআচাৰ্য্য মহাশয়। গণসহ করে নৃত্য প্রেমানন্দ ময়। কিবা সে অদ্ভুত নৃত্য ভুবনমঙ্গল । পদভরে ধরণী করয়ে টলমল ॥ গীত নৃত্য বাস্ত নব্য নব্য ক্ষণে ক্ষণে । উপমা দিবার ঠাঞি নাই ত্রিভুবনে ॥ مادامه حسمهستیم হইলেন আত্ম-বিস্মরিত সৰ্ব্বজন। চতুর্দিকে করে মহাহুঙ্কার গর্জন। বীরদর্প করে কেহ কেহ দেই লম্ফ । বিদ্যুতের প্রায়:কণর দেহে হয় কম্প ॥ কেহ বীরচন্দ্রের চরণে পড়ি কান্দে। ধরণী লোটায় কেহ ধৈর্য্য নাহি বান্ধে ॥ প্রভু বীরচন্দ্র হৈলা পরম বিহ্বল। ধূলায় ধূসর অঙ্গ করে টলমল । মহাসিংহনাদ প্রভু করে বারেবারে । নরোত্তমে কোলে করি ছাড়িতে না পারে শ্ৰীদেবীদাসের কর লৈয়া ধরে বক্ষে । কি অপূৰ্ব্ব বাস্ত কহি ধারা বহে চক্ষে। গোকুলের বদনে শ্ৰীহস্ত বুলাইয়। কহিলা কতেক তারে অধৈৰ্য্য হইয়া ॥ শ্ৰীগোবিন্দ কবিরাজের দুটি কর ধরি। কহে তুয় কাব্যের বালাই লৈয়া মরি। তুমি সে জানহ নিতানদের মহিমা । আচার্য্যের অনুগ্রহ তার এই সীমা ॥ এত কহি গোকুলে কহয়ে বারবার। গাও গাও ওহে প্রাণ জুড়াও আমার। শুনিয়া গোকুল গায় হৈয়া উল্লসিত। কিবা সে অপুৰ্ব্ব কবিরাজ-কৃত গীত ॥ -o-o
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।