ঐনরোত্তম-বিলাস । ১২১ তথাহি গীতম । জয় জগতারণ-কারণ ধাম । আনন্দ কন্দ নত্যানন্দ নাম । ডগমগ লোচন, কমল ঢুলীয়ত, সহজে অথির গতি জিতি মাতোয়ার। ভাইয়া অভিরাম বলি, ঘর ঘন ফুকরই, গৌর প্রেমের ভরে চলই না পার। বিচিত্র বন্ধানে শ্ৰীগোকুল দাস গায়। ভাসিলা সকল লোক প্রেমের বস্তায় ॥ সংকীৰ্ত্তন মধ্যে যে যে হৈল চমৎকার। তাহা রিস্তারিয়া বর্ণিবারে গুক্তি কণর ॥ চতুর্দিকে হরি হরি ধ্বনি কোলাহল। ভেদয়ে গগন মহী ব্যাপিল সকল । কত শত দীপ জ্বলে দেখিতে সুন্দর। সংকীৰ্ত্তনে হৈল রাত্রি তৃতীয় প্রহর । স্থির হৈয়া বৈসে সভে প্রভুর প্রাঙ্গণে । হইল প্রভাত কৃষ্ণ কথা আলাপনে ॥ প্রাতঃক্রিয়া করি সভে স্নানাদি করিলা । প্রভু বীরচন্দ্রের বাসায় সভে আইলা ॥ গোবৰ্দ্ধন শিলা সেবা করি প্রভু বীর। সে আনন্দ আবেশে হইতে নারে স্থির ॥ রামচন্দ্র প্রতি প্ৰভু কহে বারে বারে । ঐরাস-বিলাস কিছু গুনাহ আমারে ॥ রামচন্দ্র কণ্ঠধ্বনি অমৃতের ধার। ভাগবত পন্ত অথ কৈলা চমৎকার ॥ শুনি বীরচন্দ্রের আনন্দ অতিশয়। রামচন্দ্রে ধরি পুনঃ পুনঃ আলিঙ্গয় ॥ প্রভু বীরচন্দ্র ধৈর্য্য ধরি কতক্ষণে । আচার্য্যের প্রতি কহে মধুর বচনে ॥ এ হেন দুল্লভ সঙ্গ হইব কি আর.। এত কহিতেই নেত্ৰে বহে অশ্রদ্ধার ॥ আচার্য্যাদি সভে ভাসে নয়নের জলে। " প্রভু ইচ্ছামতে স্থির হইলা সকলে ৷ ঐরপ টিক আর গঙ্গানারায়ণ । শুামদাস গোবিন্দাদি ভাগবতগণ ॥ অপূৰ্ব্ব পকান্ন অস্ত্ৰ পনসাদি যত। শীঘ্র সজ্জ কৈলা প্রভু আজ্ঞ অভিমত । গোবৰ্দ্ধনশিল আগে ধরিলা যতনে। | প্রভু বীরচন্দ্র ভোগ দিলেন আপনে ॥ সময় জানিয়া প্ৰভু ভোগ সরাইল । তাম্বুল সমৰ্পি শিলা সম্পুটে রাখিল । গৌরাঙ্গ দর্শন করি সভারে লইয়া। ভুঞ্জিলেন প্রসাদ পরম যত্ন পাঞ ॥ প্রসাদি তাম্বুল মুখে করিয়া ভক্ষণ । সভা সহ বিশ্রাম করিলা কতক্ষণ ॥ ঐছে প্রভু নিত্যানন্দ চন্দ্রের তনয়। প্রিয়বর্গ সঙ্গে মহারঙ্গে বিলসয় ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।