R8 ঐনরোত্তম বিলাস। কল্পিত মে সব লীলা, শুনিতে গলয়ে শিলা, তাহা মুঞি না পাইলু দেখিতে । তখন নহিল জন্ম, ন বুঝিলু সে না মৰ্ম্ম, এ না শেল রহি গেল চিতে । প্রভু সনাতন রূপ, রঘুনাথ ভট্ট ঘূপ, ভূগর্ভ ত্রজীব লোকনাথ। এ সকল প্রভু মিলি, কৈলা কি মধুর কেলি বৃন্দাবনে ভক্তগণ সাথ ॥ সভে হৈল অদর্শন, শূন্ত ভেল ত্ৰিভুবন, আধল হইল এ না আঁখি । কাহারে কহিব দুঃখ, ন দেখঙি ছার মুখ, আছি যেন মরা পশু পাখী ॥ আচাৰ্য্য শ্ৰীশ্ৰীনিবাস, আছিলু যাহার দাস, কথা শুনি জুড়াইত প্রাণ। তেহ মোরে ছড়ি গেল, রামচন্দ্র না আইল দুঃখে জীউ করে আনচান ৷ যে মোর মনের ব্যথা, কাহারে কহিব কথা এ ছার জীবনে নাহি আশ । অন্নজল বিষ খাই, মরিয়া নাহিক যাই, ধিক ধিক নরোত্তম দাস ॥ এত কহিতেই সভে করিল শ্রবণ। রামচন্দ্র কবিরাজ হৈলা আদর্শন ॥ জীঠাকুর মহাশয় স্থির হৈতে নারে। নির্জন বনেতে গিয়া কান্দে উচ্চৈঃস্বরে ॥ ওহে রামচন্দ্র মোরে গেল কোথা ছড়ি । এতকহি কন্ঠরুদ্ধ রহে ভূমে পড়ি ॥ | রাজা নরসিংহ আর রূপনারায়ণ । জীরাজ গোবিনা সন্তোষাদি কথোজন ॥ দূরে থাকি দেখি সিক্ত হৈয় নেত্রজলে । পড়িয়া আছেন মহাশয় মহীতলে ॥ চতুৰ্দ্দিকে বেড়ি সভে করয়ে ক্রনন। কতক্ষণে মহাশয় হইল চেতন ॥ সভা লৈয়া আইলেন গৌরাঙ্গ প্রাঙ্গণে । কতক্ষণ স্থির হইলা প্রভুর দর্শনে ॥ ঐছে দিন পাঁচ সাত রছি মহাশয়। গঙ্গাস্নানে যাইব সভার প্রতি কয় ॥ প্রভুর সেবাতে সভে সাবধান করি । কথোজন সঙ্গে শীঘ্ৰ আইল বুধরি। তথা হইতে আইলা গাম্ভীলা গঙ্গাতীরে । অকস্মাৎ জর আসি ব্যাপিল শরীরে ॥ চিতা সজ্জা কর শীঘ্র এই আজ্ঞ দিয়া । রছিলেন মহাশয় নীরব হইয়া ॥ . অত্যন্ত ব্যাকুল হইলেন শিষ্যগণ । সভারে করিলা স্থির গঙ্গানারায়ণ ৷ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত আইসে লইয়৷ নিজগণে । দেখা মাত্র হয় কথা নাই কার সনে ॥ ঐছে মহাশয় তিনদিন গোঞাইলা । লোকদৃষ্টি দেহ হৈতে পৃথক হইলা । মহাশয়ে স্নান করাইয়৷ সেইক্ষণে । চিতার উপরে রাখিলেন দিব্যাসনে ॥ পরস্পর কহে সুখে ব্রাহ্মণ সকল । বিপ্রে শিষ্য কৈল যৈছে হইল তার ফল ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।