জীনরোত্তম-বিলাস। 3Հգ: গঙ্গানারায়ণ ব্ৰহ্ম কিছু না কহিল। বাক্যরোধ হইয়া নরোত্তম দাস মৈল ৷ গঙ্গানারায়ণ ঐছে পণ্ডিত হইয়া । হইলেন শিষ্য নিজ ধৰ্ম্ম তেয়াগিয়া ॥ দেখিল গুরুর দশা হুইল যেমন । না জানি ইহার দশা হইবে কেমন ॥ পুনঃ পুনঃ গঙ্গানারায়ণে শুনাইয়া। ঐছে কত কহে সভে হাসিয়া হাসিয়া ॥ পাষণ্ডীর বাক্যে দয়া উপজিল মনে । গঙ্গানারায়ণ আইলাচিত সন্নিধানে ॥ কড়যোড় করিয়া কহয়ে বারবার। নিজগুণে কৈলা প্ৰভু পাষণ্ডী উদ্ধার। এবে এ পাষণ্ডীগণ মৰ্ম্ম না জানাইয়। নিন্দে তোমা সভে দুঃখ পায়েন শুনিয়া ॥ এ সভার হইল ঘোর নরকে গমন। রক্ষা কর কৃপাদৃষ্টি করি নিরীক্ষণ ॥ গঙ্গানারায়ণের এ ব্যাকুল বচনে। নিজদেহে মহাশয় আইল সেইক্ষণে ॥ রাধাকৃষ্ণচৈতন্ত বলিয়া নরোত্তম। উঠলেন চিতা হৈতে তেজে স্বৰ্য্য সম । চতুৰ্দ্ধিকে ইরিধ্বনি করয়ে সৰ্ব্বজনে। অকস্মাৎ পুষ্প বরিষয়ে দেবগণে ॥ দূরে থাকি দেখি সব নিন্দুক ব্রাহ্মণ । মহাভয় হৈল স্থির নহে কোনজন ॥ কেহ কার প্রতি কহে কি কাৰ্য্য করিলু। আপন খাইয়া হেন জনেরে নিন্দিলু ॥ ঐছে কত কহি শিরে করে করাঘাত। কঁপিয়ে অন্তর নেত্রে হয় আশ্রপাত ॥ নিন্দুক ব্রাহ্মণগণ সাপরাধী হৈয়া । গঙ্গানারায়ণ পদে পড়ে প্রশমিয়া ॥ কাতরে কহয়ে রক্ষা কর মো সভারে । বৃথা জন্ম গোঙাইলু বিপ্ৰ অহঙ্কারে ॥ শ্ৰীমহাশয়ের আগে যাইতে না পারি। করাহ তাহার অনুগ্রহ কৃপা করি ॥ শুনিয়া ব্যাকুল বাক্য গঙ্গানারায়ণ । মহাশয় সমীপে গেলেন সেইক্ষণ ॥ করযোড় করিয়া কহয়ে ধীরে ধীরে। অনুগ্রহ কর প্রভু এ সব বিপ্রেরে ॥ এত কহিতেই বিপ্রগণভূমে পড়ি। প্রশমিয়া কাতরে কহয়ে করযুড়ি। মো সভার সম বিপ্রাধম নাহি আর । করিলু যতেক নিন্দ লেখা নাহি তার ॥ বর্ণমধ্যে শ্রেষ্ঠ এই মিথ্যা অহঙ্কারে । সামান্ত মনুষ্য বুদ্ধি করিলু তোমারে। হইল বিফল সভে পড়িমু যে সব । কতু না স্পর্শিল সে স্থলভ ভক্তি লব ॥ কৃপা করি নাশহ ছর্গৈব মো সভার। লইলু শরণ এই চরণে তোমার ॥ দেখিয়া ব্যাকুল ঐঠাকুর মহাশয়। ভক্তিরত্ন দিয়া সে সভারে আলিঙ্গয় ॥ সভে আজ্ঞা কৈলা গঙ্গানারায়ণ সনে । ভক্তিগ্রন্থ অধ্যয়ন কর সাবধানে ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।