শ্ৰীনরোত্তম-বিলাস । > t জাগিয়া দেখয়ে রাত্রি প্রভাত সময়। প্রাতঃকৃত্য করি নিজ চিত্ত প্রবোধয় ॥ বিবিধ মঙ্গল দৃষ্ট হৈল হেনকালে। নরোত্তম উল্লাসে ভাসয়ে নেত্রজলে ৷ এথ নরোত্তমের জনক অকস্মাৎ । রাজকাৰ্য্যে গৌড়ে গেল। বহু লোক সাথ ॥ নরোত্তম জানি শুভক্ষণ সেইক্ষণে । প্রকারে বিদায় হুৈল জননীর স্থানে ॥ পরম মুবুদ্ধি সৰ্ব্বমতে বিচারিলা । রক্ষকে বঞ্চিয় সঙ্গোপনে যাত্র কৈলা। নবদ্বীপ আদি স্থান না করি ভ্রমণ । লোকভয়ে বনপথে চলে বৃন্দাবন ॥ ঐছে বেশ ধারণ করিলা মহাশয় । না চিহ্নয়ে যদি কার সনে দেখা হয় ॥ পঞ্চদশ দিবসের পথ ছাড়াইয়া । ঘুচিল উদ্বেগ কিছু চলে স্থির হৈয়৷ ৷ এথা মাতা পিতা যৈছে নরোত্তম বিনে । এক মুখে তাহ বা বর্ণিব কোন জনে ॥ গৌড়ে এই সৰ্ব্বত্ৰ কহয়ে পরস্পরে। রাজপুত্র নরোত্তম গেলা ব্ৰজপুরে । রামকেলি গ্রামে প্রভু যীরে আকৰ্ষিল । সেই এই নরোত্তম নিশ্চয় জানিল । নহিলে-কি এমন প্রভাব অন্তে হয় ৷ ষে তারে দেখিল তার গেল ভবভয় ॥ ঐছে কত কহে লোক করিয়া ক্ৰন্দন। নরোত্তম প্রসঙ্গে সভার বাগ্র মন ৷ SAASAASAASAA AAAA AAAASASASS নিত্যানন্দাদ্বৈত চৈতন্যের প্রিয় যত। নরোত্তম মঙ্গল চিন্তয়ে অবিরত ॥ নরোত্তম নিবিঘ্নে চলয়ে রাজপথে । যৈছে প্রেম চেষ্টা তাহা কে পারে কহিতে নরোত্তম গায়েন প্রভুর গুণগাণ । দীর প্রবাহ প্রায় ঝরে নয়ান ॥ যে জন বারেক নরোত্তম পানে চায় । সে হেন সংসার দুঃখ হইতে এড়ায় ॥ যে গ্রামেতে নরোত্তম করে রাত্রিবাস । সে গ্রামী লোকের মনে বাড়য়ে উল্লাস ॥ কিবা স্ত্রী পুরুষ রহি নরোত্তম পাশে। পরস্পর নানা কথা কহে মৃদুভাষে ॥ কেহ কহে কনক চম্পক বহু দূরে। দেখ কি অপূৰ্ব্ব রূপ ঝলমল করে ॥ কেহ কহে কিবা মুখ সুদীর্ঘ নয়ন। কিবা নাসা গণ্ড ভুরু ললাট শ্রবণ ॥ কেহ কহে কিবা বাহু বক্ষ পরিসর । ত্ৰিবলি বলিত নাভী কিবা কৃশোদর ॥ কেহ কহে কিবা জামু কি শোভা চরণে । কি দিয়া গড়িল কেবা কত না যতনে ৷ কহ কহে সামান্ত মনুষ্য এহেঁ নয় । কিবা এ দেবতা কিবা রাজার তনয় ॥ কেহ কহে আহা মরি অলপ বয়সে । এহেন বৈরাগা করি ফিরে দেশে দেশে ॥ কেহ কহে কি আর কহিব ইহা বিনে । ইহার মা-বাপ প্রাণ ধরিবা কেমনে ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।