শ্ৰীমরোত্তম বিলাস । قنانو কেহ কহে মরু বিধি নিদয় শরীর । এ হেন বালকে কৈল ঘরের বাহির । এইরূপ নানা কথা কহি পরস্পর । নরোত্তমে ছাড়িয়া যাইতে নারে ঘর। নানা দ্রব্য আনি যত্নে কিছু ভুঞ্জাইল । শয়ন নিমিত্ত দিব্যাসন আনি দিল । নরোত্তমে ভোজন শয়ন নাহি ভায় । নাম সংকীৰ্ত্তনে নিশি জাগিয়া পোহয় । ধূলায় ধূসর অঙ্গ নেত্রে অশ্রধার। সে দশা দেখিতে প্রাণ কান্দয়ে সভাৰ ৷ প্রভাত সময়ে চলে সভা সম্বোধিরা। পাছে পাছে ধায় লোক ব্যাকুল হইয়া । যেজন দেখয় পথে এই দশা তার । নরোত্তম চিত্তবৃত্তি হরয়ে সভায় । সৰ্ব্বতীর্থ দেখি নরোত্তম অল্পদিনে । মনের উল্লাসে প্রবেশয়ে বৃন্দাবনে । প্রথমে শ্ৰীমথুরা বিশ্রামঘাট গেল । ঐযমুনা স্নান করি তথাই রছিল ৷ প্রহরেক রাত্রি গেল হইল নির্জন । প্রেমাবেশে করেন শ্ৰীনাম সংকীৰ্ত্তন। হেনই সময়ে এক বিপ্র মথুরার। পরম বৈষ্ণব তেঁহো অতি শুদ্ধাচার। অপূৰ্ব্ব সামগ্ৰী কৃষ্ণে ভোগ লাগাইয়। নরোত্তমে ভুঞ্জাইল স্নেহাবিষ্ট হৈয় । । বাৎসল্যে ব্যাকুল বিপ্র জিজ্ঞাসিলা যাহা । মেহাধীন নরোত্তম নিবেদিলা তাহা ॥ ব্রজের বৃত্তান্ত নরোত্তম জিজ্ঞাসয় । কাতর অন্তরে বিপ্র বিবরিয়া কয় | রঘুনাথ কাশীশ্বর রূপ সনাতন। সঙ্গোপন হৈয়া শুনি করয়ে ক্রমদন ॥ শ্ৰীক্লপ শ্ৰীসনাতন নাম উচ্চারিতে। ধূলায় ধূসর অঙ্গ লোটায় ভূমিতে। কাশীশ্বর পণ্ডিত শ্ৰীভট্ট রঘুনাথ। এ নাম লইয়া শিরে করে করাঘাত ॥ হায় হায় একি হৈল করে বারবার। না পাইলু দেখিতে শ্ৰীচরণ সভার। ঐছে কত কহি মূৰ্ছাগত নরোত্তম। দুই নেত্রে ধারা বহে নদীধারা সম। হইলেন মৃতপ্রায় দেখি বিপ্রবর। নরোত্তমে কোলে করি কান্দিল বিস্তর } কতক্ষণে অতিবৃদ্ধ বিপ্র মগধীর । আপন সম্বরি নরোত্তমে কৈলা স্থির। অনেক প্রসঙ্গে প্রায় রাত্রিশেষ হৈল। প্রভু ইচ্ছামতে দোহে নিদা আকৰ্ষিল ॥ স্বপ্নচ্ছলে দেখা দিলা রূপ সনাতন । রঘুনাথ ভট্ট কাশীশ্বর চারিজন। নরোত্তম শোভা দেখি ভাসি নেত্রজলে । লোটাইয়া পড়িলা সভার পদতলে ৷ এবে নরোত্তমে মহাস্নেহে আলিঙ্গিল । নরোত্তম অঙ্গ প্ৰেমজলে সিক্ত কৈল । কহিলা অমৃতময় প্রবোধ বচন । ভাগ্যবন্ত বিপ্র কিছু করিলা শ্রবণ ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।