শ্ৰীনরোত্তম-বিলাস । "לג যাহার প্রসঙ্গ পূৰ্ব্ব কহিল তোমায়। সেই:এই নরোত্তম আইসে এথায় ॥ তোমারে কহিতে স্বপ্ন উদ্বিগ্ন আছিলু । শুনিয়া তোমার মুখে মহাসুখ পাইলু ॥ এত কহি শীঘ্ৰ গেল গোবিন-দর্শনে । খ্ৰীনিবাস মহাহর্ষে তাইল নিজস্থানে ॥ অকস্মাৎ কেহ আসি দিল সমাচার । গেড়ে হৈতে আইলা এক নৃপতিকুমার ॥ অলপ বয়স মূৰ্ত্তি অতি মনোহর । নিজ নেত্রজলে সদা সিক্ত কলেবর ॥ ঐগোবিন্দ দরশনে যে হৈল বিকার । কে কহিতে পারে তাহ অতি চমৎকার | ঐজীব গোস্বামী তীরে ধরি করি কোলে । সিঞ্চিল তাহার অঙ্গ নিজ নেফ্রজলে ৷ অত সুমধুর বাকো তারে প্রবোধিল । তোমারে লইতে মোরে দিল পঠাইয়৷ ৷ ঐছে শুনি শ্ৰীনিবাস স্থির হৈ তে নারে । মনের উল্লাসে গেল গোবিন্দের দ্বারে | নরোত্তম সঙ্গে তথা হইল মিলন। • দরিদ্র পাইল যেন অমূল্য রতন । ঐনিবাস যে কহিল আলিঙ্গন করি । সে অতি মধুর এথা বিস্তারিতে নারি। নরোত্তম"হৈলা যৈছে আচাৰ্য্য দর্শনে । তাহা একমুখে বা বর্ণিব কোন জনে ॥ কেহ কার প্রতি কহে হইয়া বিস্তৃত। দেখিলু আশ্চৰ্য্য এই স্বাভাবিক প্রীত ॥ " SAASAASAAASAAA SAS A SAS SSAS শ্ৰীনিবাস নরোত্তম একত্র দোহারে । দেখি কত বিতর্ক করয়ে পরস্পরে। নরোত্তম মনে অভিলাষ ছিল যাহা । শ্ৰীগোবিন্দদেব পূর্ণ করিলেন তাহা ॥. শ্ৰীকৃষ্ণ পণ্ডিত গোবিনের অধিকারী। তেহে মালা প্রসাদ দিলেন যত্ন করি ॥ প্রসঙ্গে কহিয়ে কৃষ্ণ পণ্ডিত আখ্যান । চৈতন্ত পার্ষদ ঘেঁহো মহা বিদ্যাধন ॥ কাশীশ্বর গোস্বামী হইলে সঙ্গোপন। শ্ৰীকৃষ্ণ পণ্ডিত সেবে গোবিন্দচরণ ॥ সৰ্ব্বত্র বিদিত এই নরোত্তম প্রতি । শ্ৰীকৃষ্ণ পণ্ডিত গোস্বামীর প্রীত অতি ॥ নরোত্তম শ্ৰীকৃষ্ণ পণ্ডিত প্ৰণমিয়া । যৈছে দৈন্ত কৈলা শুনিতে কান্দে হিয়া ॥ শ্রীজীব গোস্বামী শীঘ্ৰ লৈয় নরোত্তমে । আইলেন লোকনাথ গোস্বামী আশ্রমে ॥ অতি সে নির্জন একা আছেন বসিয়া । সনাতন রূপের বিচ্ছেদে দণ্ঠ চিয় ॥ খ্ৰীজীবগোস্বামী প্ৰণমিয়া ধীরে ধীরে । নরোত্তম প্রসঙ্গ কহিলা গোস্বামীরে ॥ শুনি নরোত্তমে দেখি ভাসে নেত্রজলে । নরোত্তম পড়িলা গোস্বামী-পদতলে ॥ পূর্ব সঙরি স্থির নহে বাৎসলোতে। . ধরিলেন শ্ৰীচরণ নরোত্তম মাথে ॥ নরোত্তমে সিক্ত করি অমৃত বচনে। জানাইল দীক্ষ-বিধি হৈবে কিছু দিনে।
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।