শ্ৰীনরোত্তম বিলাস। a> মহাসুখে শ্ৰীনিবাস নরোত্তমে লৈয়া । চলিলেন বাসা গোস্বামীরে প্রণমিয়া ॥ রাত্রি পোহাইলা দেহে কৃষ্ণ-কথারসে। প্রভাতে যমুনা স্নান কৈল প্রেমাবেশে ॥ দোহে নিজ নিজীভীষ্ট চরণ বন্দিয় । শ্ৰীজীব গোস্বামী পাশে গেল হৃষ্ট হৈয়া ॥ তেঁহে রাধাকুণ্ডে পঠাইলা শীঘ্ৰ করি। দেখিলেন গিয়া দুই কুণ্ডের মাধুরী। শ্ৰীনিবাস গিয়া দাস গোস্বামীর স্থানে। নবোত্তম প্রসঙ্গ কহিলা সাবধানে ॥ যদ্যপি গোস্বামী মঙ্গব্যাকুল হৃদয়। তথাপিহ শুনি চিত্তে হৈল হর্ষেদয় ॥ কোথা নরোত্তম বলি নেত্র প্রকাশিলা । নরোত্তম গিয়া পাদপদ্মে প্ৰণমিলা ॥ বৎসলো বিহবল হৈয়া শ্ৰীদাস গোসাঞী। যে কৃপা করিলা তা বণিতে সাধ্য নাই। তথাতে যে ছিলেন পরম বিজ্ঞগণ । সভাসহ হৈল নরোত্তমের মিলন ॥ শ্রীরাঘব পণ্ডিত গোসাঞী গোবৰ্দ্ধনে । পাইলা পরমাননা দেখি নরোত্তমে ॥ শ্ৰীনিবাস নরোত্তম সৰ্ব্বত্র ভ্ৰমিয়া । শ্ৰীজীব গোস্বামী স্থানে নিবেদিলা গিয়া ॥ শ্ৰীজীব গোস্বামী সব শুনি হৃষ্ট হইলা । নরোত্তমে শীঘ্ৰ পাঠারম্ভ করাইলা ॥ নরোত্তম করে ভক্তি গ্রন্থ অধ্যয়ন । অর্থের কৌশলে হরে সভাকার মন । F. AMAAAS কে বুঝিতে পারে মরোত্তমের অন্তর। লোকনাথ গোস্বামীর সেবায়ু তৎপর ॥ যৈছে সে করে তাহ কহনে না যায়। গোসাঞী প্রসন্ন নরোত্তমের সেবায় ॥ একদিন নরোত্তমে ব্যাকুল দেখিয়া । মনোরথ পূর্ণ কৈলা দীক্ষামন্ত্ৰ দিয়া ॥ কিবা সে অপুৰ্ব্ব মন্ত্র দীক্ষার বিধান। বিস্তারিতে নারি ভক্তি শাস্ত্রে সে প্রমাণ ॥ বৃন্দাবনে আনন্দ হইল সভাকার । দেখি নরোত্তমের অদ্ভূত অধিকার ॥ স্ত্রজীব গোস্বামী বুঝি সভার আশয়। দিলেন পদবী শ্ৰীঠাকুর মহাশয় ॥ শ্ৰীঠাকুর মহাশয় খ্যাতি মনোহর। শুনি সৰ্ব্ব মহান্তের উল্লাস অন্তর ॥ যৈছে নরোত্তম তৈছে পদবী ঞিহার। এই কথা সৰ্ব্বত্রই হইল প্রচার ॥ শ্ৰীঠাকুর মহাশয় গুণে কে না ঝুরে। সভার পরম স্নেহপাত্র ব্ৰজপুরে। বৃন্দাবনে মানসি সেবায় যৈছে রীত। ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থে সে সব বিদিত | বাহুল্যের ভয়ে এথা নারি বর্ণিবারে। এবে কহি গৌড়ে পুনঃ আইলা যে প্রকারে নিরন্তর এ সব শুনহ যত্ন করি । নরোত্তম বিলাস কহয়ে নরহরি ॥ ইতি শ্ৰীনরোত্তফলিসে দ্বিতীয়োবিলাসঃ।
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।