૨8 শ্ৰীনরোত্তম-বিলাস । শ্রামানন্দ প্রতি কহে প্রেমাবিষ্ট হৈয় । ] মহাহৃষ্ট পুরুযোত্তম দত্তের তনয় । যাইবে উৎকলে শীঘ্র খেতরি যাইয়া ৷ শ্ৰীসন্তোষদত্ত নাম গুণের আলঘু। বন-বিষ্ণুপুরে আমি গ্রন্থ অন্বেষিব । শ্ৰীনরোত্তমের তেহে পিতৃব্য কুমার। গ্রন্থপ্রাপ্তি সমাচার শীঘ্ৰ পঠাইব । কৃষ্ণানন্দ দত্ত যারে দিলা রাজ্যভার ॥ এবে আর চিন্ত৷ কিছু না করিও মনে । । ঐছে শ্ৰীসন্তোষ রাজা মঙ্গলবিধানে । এত কহি বিদায় করিলা দুইজনে ॥ করেন অনেক দান ব্রাহ্মণ সজ্জনে ॥ আচার্যের বাক্য দোহে না করে লঙ্ঘন শ্ৰীঠাকুর মহাশয় তারে তুষ্ট হৈলা । বিচ্ছেদে ব্যাকুল হৈয়া করিলা গমন ॥ বনবিষ্ণুপুরে শীঘ্র পত্রী পাঠাইল । শ্ৰীথেতরি গিয়া ঐঠাকুর মহাশয়। छाशनल বিদায় হইল তারপরে । হামানন্দে তিলাৰ্দ্ধেক ছড়িতে নার্য বিচ্ছেদে যে দুঃখ তাহা কে বণিতে পারে। এথা শ্ৰীনিবাসাচার্য্য বন-বিষ্ণুপুরে । বিদায়ের কালে যৈছে কথোপকথন । করিলেন অনুগ্রহ শ্ৰীবীর হাম্বিরে ৷ তাহা শুনি পশু পক্ষ করয়ে ক্ৰন্দন। গ্ৰন্থরত্ব দিয়া রাজা লইলা শরণ। শ্ৰীঠাকুর মহাশয় মহাব্যগ্র চিত্তে । গাষ্ঠীসহ হৈলা মহাভক্তি পর্যয়ণ ॥ দিলেন মনুষ্য সঙ্গে উৎকল যাইতে ॥ এ সব প্রসঙ্গ এথা সংক্ষেপে কহিল । চলিলেন শুমানন্দ কাতর অন্তরে । ভুক্তি-রত্নাকরগ্রন্থে বিস্তারি বর্ণিল ৷ নবদ্বীপ হৈয়া গেল অম্বিকানগরে ৷ "নবিষ্ণুপুরের এ সব সমাচার । শ্রীচৈতন্ত নিত্যানন্দ মন্দির দর্শনে । “বর্বত্র বিদিত সভে শুনি চমৎকার । হৈল প্রেমাধিষ্ট ধারা বহে নয়নে । আচাৰ্য্য ঠাকুর পরমানন্দ মনে শুমানন্দ চেষ্টা দেখি কোন মহাশয় । স্থপ্রাপ্তি পত্র পাঠাইল বৃন্দাবনে। ] শ্ৰীহৃদয় চৈতন্তের আগে নিবেদয় | iঠাকুর মহাশয় শ্যামানন্দে যথা । আইলেন তোমার ছখিনী কৃষ্ণদাস। স্ত্র এ সংবাদ পত্রী পাঠাইলা তথা ॥ দেখিলু অদ্ভুত প্রেম ভক্তির প্রকাশ ৷ খ্ৰীপাঠ মাত্রে চাকুর মহাশয় শ্ৰীমন্দির দূরে দেখি ভূমেতে পড়িয়া। আনন্দে ময় তাহা কহি সাধ্য নয় ॥ করেন প্রণতি কত অতি দীন হৈয়া ॥ iমানন্দ আনন্দ আবেশে কথোক্ষণ। | কিবা হুই নয়নের জলে ভাসি যায়। iবাহু করি কৈল কীৰ্ত্তন নৰ্ত্তন। | তেহে দূরে আইসে মুঞি আইলু ত্বরায় ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।