শ্ৰীনরোত্তম-বিলাস । -- -r------ নরোত্তম নিজ পরিচয় নিবেদিতে । পরম বাৎসল্যে কহে কান্দিতে কান্দিতে ॥ যবে গৌরচন্দ্র রামকেলি গ্রামে গেলা । প্রেমে মহামত্ত হৈয়া তোমা আকৰ্ষিলা ॥ কে বুঝিতে পারে সেই প্রভুর চরিত। পূৰ্ব্বেই তোমার নাম করিলা বিদিতি ॥ ওফ বাপু নরোভূম তোমারে দেখিতে। বড় সাধ ছিল সৰ্ব্ব মহান্তের চিতে ॥ প্রভুর বিরহে স্থির না কে কার মন । কেহ কেক্ত অল্পদিনে হৈল আদর্শন ॥ এত কহি নিজ পরিচয় জানাইলা । প্রভৃভক্তগণে নরোত্তম মিলাইলা ॥ নরোত্তম বন্দিলেন সভার চরণ। নরোত্তমে কৈলা সভে প্রেম আলিঙ্গন। যদ্যপি ব্যাকুল মহাবিরহ ব্যাথায় । তথাপিঙ্গ নরোত্তমে দেখি সুখ পায় ॥ করি কত স্নেহ সমাচার জিজ্ঞাসিলা । নরোত্তম আন্তোপান্ত সব নিবেদিলা ॥ rামোদর পণ্ডিতাদি প্রভু প্রিয়গণ । নরোত্তম ছাড়িতে নারয়ে একক্ষণ ॥ কথো দিন নরোত্তম নদীয়া নগরে। রছিলেন প্রভুপ্রিয় পার্ষদের ঘরে । নিরন্তর যত খেদ করে মহাশয় । তাঙ্গ একমুখে বর্ণিবার সাধ্য নয় ॥ যে যে ভক্তে না দেখিয়া করয়ে ক্ৰন্দন । স্বপ্নছলে সে সকলে দিলা দরশন ॥ ২৭" যত অনুগ্রহ কৈলা নরোত্তম প্রতি । " তাহা বিস্তারিতে মোর নাহিক শকতি ॥ " যে সকল মহান্ত প্রকট নবদ্বীপে। মহা অনুগ্রহ কৈল রাখিল সমীপে ॥ কিছুদিন পরে অতি ব্যাকুল হইয়া । করয়ে বিদায় সুমধুর বাক্য কৈয়া। তোমা সহ সাক্ষাৎ হইব একারণ ! } ঐছে ক্লেশে প্রভু দেহে রাখিল জীবন ॥ শ্ৰীনিবাস সহ দেখা ন হইল আর । ঐছে কহি কন্ঠরুদ্ধ নেত্রে অশ্রদ্ধার ॥ অতি স্নেহাবেশে নরোত্তম মুখ চাঞাঁ । কৈল সভে বিদায় বিদীর্ণ হৈল হিয়া ॥ নরোত্তম শিরে লৈয়া সভার চরণ । চলিতে যে দশা তাঙ্ক না হয় বর্ণন ॥ প্রভুর ভবনে গিয়া ব্যাকুল হিয়ায় । দেখয়ে যে দাসদাসী সেহে। মৃত্যুপ্রায় ॥ নরোত্তম দেখি সভে ব্যাকুল অন্তরে। কহিলেন বহুকার্য্য হৈবে তোমা দ্বারে ॥ এত কচি কণ্ঠরুদ্ধ ধারা সে নয়নে। নরোত্তম বিদায় করিলা হাত সানে ॥ নরোত্তম ব্যগ্র হৈয়া কান্দে উচ্চরায় । প্রভুর অঙ্গনে পড়ি ধূলায় লুটায় ॥ কতক্ষণে ক্ৰন্দন করিয়া সম্বরণ। শান্তিপুরে পথপানে করিলা গমন ॥ গ্রামে প্রবেশিতে যে দেখিলা চমৎকার। তাহা বর্ণিবার শক্তি নাহিক আমার ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।