ঐনরোত্তম বিলাস। ימש নরোত্তমে সভে পাঠাইতে গৌড়দেশে। | সাধিয়া বিশেষ কাৰ্য আইলু তুরিতে। কহয়ে যতেক তাহা কহিতে না আইসে l | জগন্নাথ ইচ্ছায় সে দেখা:হৈল পথে ॥ . বিদায়ের কালে নরোত্তম করে ধরি । নহিলে মনের দুঃখে মরিতু পুড়িয়া। কহয়ে মধুর বাক্য অতিস্নেহ করি। এত কহি কোলে হৈতে না দেয় ছাড়িয়া পূরিল মনের সাধ দেখিলু তোমারে। । কতক্ষণে বৃদ্ধ বিপ্র ব্যাকুল হিয়ায়। শ্ৰীনিবাসে পুনঃ না দেখিব নেত্রদ্বারে ॥ | করি বহু আশীৰ্ব্বাদ দিলেন বিদায় ॥ শুনিলু দেখিলু কৃষ্ণদাস যোগ্য অতি। নরোত্তম সঙ্গে বিপ্র চলে কথে দূর। শ্রামানন্দ নাম তার হইল সম্প্রতি ॥ ছাড়িতে না পারে দুঃখ বাড়য়ে প্রচুর। তাহারে দেখিতে বড় মনে সাধ ছিল নরোত্তম তারে কত যত্নে ফিরাইয়া। ’ এত কঙ্গি সবে নেত্রজলে সিক্ত হৈল চলিলেন শীঘ্র অতি ব্যাকুল হইয়া। নরোত্তম তা সভার চেষ্ট নিরক্ষিয় । ভূমে পড়ি প্রণময়ে কান্দিয়া কান্দিয় ॥ সভে স্থির হৈয়া নরোত্তমে স্থির করি। যাত্রা করাইল কৃষ্ণচৈতন্ত সঙরি ॥ সঙ্গের যে লোক সে পরম অনুরাগে । শ্ৰীমহাপ্রসাদ লৈয়া চলিলেন আগে ॥ নরোত্তম বিদায় করিয়া সৰ্ব্বজন । হইলেন যৈছে তাত না হয় বর্ণন ॥ নরোত্তম চলিলেন মৃতপ্রায় হৈয়া । করিলা ক্ৰন্দন বহু নরেন্দ্ৰেতে গিয়া ॥ ক্ষেত্র আসিবার কালে দেখে যে ব্রাহ্মণে । সেই পথে দেখে তারে তার পুত্র সনে। ব্রাহ্মণের পদধূলি লইতেই শিরে। বিপ্ৰ আলিঙ্গন করি কহে ধীরে ধীরে ॥ ওহে নরোত্তম মোর প্রাণাধিক তুমি। অন্ত গৌড়দেশে যাবে শুনিয়াছি আমি ॥ দুইদিন জাজপুরে করিয়া বিশ্রাম। কথো দিনে আইলা নৃসিংহপুর গ্রাম। দূরে হৈতে গিয়া তেহ শামাননে কয়। ক্ষেত্ৰ হৈতে আইল ঐঠাকুর মহাশয় ॥ শুনিতেই শ্ৰামানন্দ বিহ্বল হইল । নিজ গণ সহ শীঘ্র আগুসরি গেলা । দোহে দোহা দেখি অতি অধৈর্য্য হইয়া। ভাসে নেত্রজলে দুহু দোহে প্ৰণমিয়া । নরোত্তম গুণমানন্দে ধরিলেন কোলে । ' ছাড়িতে নরয়ে হিয়া আনন্দ উথলে । দেখিয়া সকল লোক অদ্ভুত মিলন। নিবারিতে নারে নেত্রধারা অনুক্ষণ ॥ কেহ কহে আছে ভাই কি অদ্ভুত রীত। জনমিঞা কভু না দেখিলু হেন প্রীত। কেহ কহে যে শুনিলু দেখিলু তাঁহাই। মনে অভিলাষ যত কব কার ঠাঞি ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।