আইসে অনেক লোক নহে নিবারণ ॥ লোকের সুকৃতি কিছু কহ নাহি যায়। হেন রত্ন পাইল শুমানন্দের কৃপায়। শুীমানন্দ কৃপায় এ দেশ ধন্ত দেখি । ঐঠাকুর মহাশয় হৈল মহাসুখী । স্নানাদিক ক্রিয় করি সুস্থির হইয়। বলিলেন নরোত্তম শ্ৰামাননে লৈয় ॥ সময় পাইয় গুণমানন্দে যত্ন করি। ঐঠাকুর মহাশয়ে কহে ধরি ধরি। আচাৰ্য্য ঠাকুর বন-বিষ্ণুপুর হৈতে। জাজিগ্রাম গেল এই কখোক দিনেতে । গতদিন প্রহরেক দিবস সময় । আইল তার কৃপাপত্রী দেখ মহাশয় ॥
- ঐনরোত্তম বিলাস । কেহ বলে ওহে ভাই শুনিলু যে হৈতে। পত্রিক দর্শনে অতি আনন্দ উথলে।। - মনে বড় ছিল সাধ বারেক দেখিতে ॥ | পঠিতেই পত্রী নেত্ৰ ভাসে অশ্রুজলে ৷ কেহ কহে মো সভার ভাগ্য অতিশয় । । অতিযত্নে পত্রপাঠ কৈলা মহাশয়। র্তেই এথা প্রাপ্ত ক্রষ্ঠাকুর মহাশয় ॥ পুনঃ শ্যামানন্দ প্রেমাবেশে নিবেদয় । কেহ কহে হেন ভাগ্য হৈব মো সভার। শ্ৰীঅম্বিকা হৈতে প্ৰভু করি অনুগ্রহ। আশ্চৰ্য্য ঠাকুর কি দেখিব একবার ॥ পাঠাইলা শ্ৰীমহাপ্রসাদ পত্রী সহ ॥ কেহ কহে অহে পূর্ণ হৈব অভিলাষ। নরোত্তম পত্রী পঠি নেত্রজলে ভাসে। দিলেন দর্শন শ্ৰীআচাৰ্য্য শ্ৰীনিবাস ॥ শু্যামানন্দ ভাগ্য-প্রশংসয়ে প্রেমাবেশে ॥ ঐছে কত কহে কার স্থির নহে মন । শ্ৰীমহাপ্রসাদে প্ৰণমিয় বারবার । ধাওয়া ধাই করে গ্রামবাসী লোকগণ ॥ | ভক্ষণ করিতে হৈলে আনন্দ অপার ॥ শুীমানন্দ আনন্দে ঠাকুর মহাশয়ে। ঐঠাকুর মহাশয় নিজ সঙ্গীজনে । দিলেন নির্জনে বাসা লোক ভিড় ভয়ে ৷ কহিলেন আনত প্রসাদ এইস্থানে । তথাপিহ নরোত্তমে করিতে দর্শন। শ্ৰীজগন্নাথের মহাপ্রসাদ লইয়।
শ্ৰামানন্দ মুখে দিলা মহাহৰ্ষ হৈয়া ॥ শ্ৰীমহাপ্রসাদ মহাষত্নে সেবা করি । শ্ৰামানন্দে নরোত্তম কহে ধরি ধীয়ি | নীলাচলে যে আছেন প্রভু পরিকর। র্তা সভারে বিচ্ছেদগ্নি দগ্ধে নিরন্তর ॥ র্তা সভার যে দশা তা না হয় বর্ণন । প্রভু ইচ্ছামতে মাত্র আছয়ে জীবন ॥ তোমারে দেখিতে সাধ করেন সকলে । বিলম্ব না কর শীঘ্ৰ যাহ নীলাচলে ॥ তথা তা সভার করি চরণ দর্শন । বিতরহ উৎকলে অমূল্য প্রেমধন৷ কিছুদিন পরে পত্রী দিব পাঠাইয়া । যাইবে খেতরি গ্রামে নিজগণ লৈয় ॥