姆心, - শ্ৰীনরোত্তম-বিলাস । কি নীলাচল হৈতে কৈল আগমন। প্ৰভু ভাবাবেশ প্রকাশিব উচ্চগনে। সঙ্গেতে আছয়ে তার লোক চারিজন কেবা ন হইব মত্ত তোমার কীৰ্ত্তনে। গুনিয়া ঠাকুর কহে কি আর কহিতে । সৰ্ব্ব মনোরথ সিদ্ধি করবেন প্রভু। নরোত্তম আইলেন নীলাচল হৈতে ॥ কোনই বিষয়ে চিন্তা না করিব কভু । ক্ররঘুনন্দন শুনি আগুলারি গেল । খেতরি যাইব শীঘ্র জাজিগ্রাম দিয়া । দূরে হৈতে নরোত্তমে দেখি হৰ্ষ হৈলা ॥ শ্ৰীনিবাস আচার্য্য আছেন পথ চাঞ।। নরোত্তম লোকমুখে পাঞ পরিচয়। এই কথে দিনে আইলা বিষ্ণুপুর হৈতে। যে আনন্দ হৈল তাহা কহনে না যায় সদাই করেন চিন্তা তোমার নিমিত্তে। ভূমে পড়ি হীরঘুনন্দনে প্ৰণমিতে। তোমারে দেখিলে তার চিত্ত স্থির হয় । ধাইয়া করিলা কোলে নাপারে ছাড়িতে | কালি এথা আসিয়া গেলেন নিজালয় ॥ হইল গদগদ কণ্ঠ ধারা দু’নয়নে । ঐছে কতি পুছে ঐক্ষেত্রের সমাচার। কহিতে নারয়ে কিছু যত উঠে মনে ॥ নরোত্তম নিবেদিল যে দশ সভার। কতক্ষণে স্থির হৈয় ত্ররঘুনন্দন। শুনি সরকার ঠাকুরের লৈ যা। নরাত্তমে লৈয়া শীঘ্ৰ করিলা গমন সহস্ৰেক মুখে না কহিতে পারি তাঙ্গ। ইসরকার ঠাকুরের সমীপেতে গিয়া। ; স্থির তৈয়া আজ্ঞ দিলা ক্ররঘুনন্দনে। প্রাণময়ে নরোত্তম ভূমে লোটাইয়া ॥ নরোত্তমে লৈয়া যাক গৌরাঙ্গ প্রাঙ্গণে ॥ যদ্যপি ঠাকুর দগ্ধ বিচ্ছেদ অগ্নিতে । ত্ররঘুনন্দন নরোত্তম করে ধরি। তথাপিহ নরোত্তমে দেখি হর্ষ চিতে ॥ লৈয়া গেল। গৌরাঙ্গ প্রাঙ্গণে স্থির করি ॥ আইস আইস বলি বাহু পাসরিয়া । নরোত্তম গেীর কৃষ্ণ বিগ্রহ দর্শনে । নেত্রজলে ভাসে নরোত্তমে কোলে লৈয় ॥ | ধরিতে নারয়ে হিয়া ধারা দু’নয়নে ॥ কি অদ্ভুত স্নেহে বসাইয় নিজপাশে । ভূমিতে পড়িয়া প্ৰণময়ে বারবার। নরোত্তম মুখ চাঞ্চ কহে মৃদুভাসে ॥ কে ধরে ধৈর্য দেখি সে প্রেম-বিকার ॥ তোমারে দেখিতে বড় সাধ ছিল মনে কতক্ষণে স্থির হৈয়া দেখে নেত্রভরি । ভাল কৈলে আইলে শীঘ্ৰ দেখিলু নয়নে | ক্রমালা প্রসাদ আনি দিলেন পূজারী ॥ তোমা দ্বার প্রভু বিলাইব ভক্তিধন । নরোত্তম আইল শুনি শ্লথগুনিবাসী । লইব অনেক লোক তোমার শরণ ॥ গৌরাঙ্গের প্রাঙ্গণে মিলিল সভে আসি ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।