শ্ৰীমরোত্তম-বিলাস । পরস্পর মিলনেতে হৈল যে প্রকার। শত শত মুখেও তা নারি বর্ণিবার ॥ নরোত্তম প্রতি সভে মধুর ভাষায় । কহি কত স্থির করি লইল বাসায় ৷ নরোত্তম বাসাতে বসিয়া সেইক্ষণে । শ্ৰীমহাপ্রসাদ দিল ত্ররঘুনন্দনে। শ্ৰীজগন্নাথের মহাপ্রসাদ লইয়া । শ্ৰীসরকার ঠাকুরে দিলেন শীঘ্ৰ গিয় ॥ শ্ৰীমহাপ্রসাদ যত্নে ভুঞ্জিলা ঠাকুর। পূৰ্ব্ব সঙরিতে খেদ উপজে প্রচুর। দুই নেত্রে ধারা না ধরিতে পারে হিয়া । ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস গৌরচন্দ্র গুণ কৈয় ॥ কতক্ষণে স্থির হৈয়া ঐরঘুনন্দনে । কহিলেন শ্রীপ্রসাদ দেহ সৰ্ব্বজনে ॥ সভে শ্ৰীপ্রসাদ দিলা ত্ররঘুনন্দন। প্রসাদ সেবনে স্থির নহে কার মন ॥ নীলাচলে প্রভুর যে অদ্ভুত বিহার। সঙরি সভার নেত্রে ধারা অনিবার। অনেক যত্নেতে স্থির হৈল সৰ্ব্বজন। নরোত্তমে ছাড়িতে নারয়ে একক্ষণ ৷ কৃষ্ণ-কথা রসে দিবানিশি গোঙাইয়া । নরোত্তম প্রাতঃকালে কৈল প্রাতঃক্রিয় ॥ স্নানাদি করিয়া করি গৌরাঙ্গ দর্শন। ঠাকুর সমীপে শীঘ্ৰ করিলা গমন ॥ সরকার ঠাকুর নরোত্তম মুখ দেখি। অতি স্নেহ করি কছে জুড়াইল আঁখি ৷ 8? পুনঃ আর না দেখিব কহিলা বচন। হুইলা ব্যাকুল যৈছে না হয় বর্ণন ॥ নরোত্তম ভূমেতে পড়িয় বারবার। লইতে চরণ-ধূলি নেত্রে অশ্রধার। নরোত্তমে ঠাকুর করিয়া আলিঙ্গন। দিলেন বিদায় করি গৌরাঙ্গ স্মরণ ॥ চলিলেন নরোত্তম বিদায় হইয়া। খণ্ডবাসী পরিকরগণে প্ৰণমিয়া ॥ ক্ররঘুনন্দন সঙ্গে গেল কত দূর । ছাড়িতে নরয়ে দুঃখ বাঢ়য়ে প্রচুর ॥ জাজিগ্রাম যাইতে:এক লোক সঙ্গে দিলা নরোত্তমে বিবিধ প্রকারে প্রবেধিল ৷ বিদায় করিতে হিয়া বিদরিয়া যায়। ঘন ঘন নরোত্তম মুখপানে চায় ৷ আলিঙ্গন করি রছিলেন স্থির হৈয়া । নরোত্তম নেত্রজলে ভাসে প্রণমিয়া | ব্যাকুল হইয়া জাজিগ্রাম পথে চলে। যে দেখে সে দশা সে ভাসয়ে প্রেমজলে ৷ খণ্ড হৈতে আইলা যে মনুষ্য বিজ্ঞবর। দূরে হৈতে দেখাইলা আচার্যের ঘর ॥ 'এথা শ্ৰীনিবাসাচায্য আপন ভবনে। শাস্ত্র অধ্যয়ন করায়েন শিষ্যগণে ॥ হেনকালে কেহ গিয়া কহয়ে তুরিতে । ঐঠাকুর মহাশয় আইলা ক্ষেত্ৰ হৈতে ॥ কেহ কহে কি আশ্চর্য দেখিলু নয়নে । হয়েন অধৈয্য চাহি জগজিগ্রাম পানে ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।