পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર ঐনরোত্তম বিলাস । শুনি শ্ৰীনিবাসাচাষ আগুসরি যাইতে । নরোত্তম আলি প্রবেশিল ভবনেতে ॥ দোহে দোহ দেখি দোহে ভাসে নেত্রজলে দোহার হৃদয়ে প্রেম সমুদ্র উথলে । খ্ৰীনিবাস বাহু পসারিয়া কোলে লৈতে। নরোত্তম প্রণময়ে পড়িয়া ভূমিতে ॥ কে বুঝিব এ দোহার অদ্ভুত চরিত। দেহ মাত্র ভিন্ন ইহা সৰ্ব্বত্র বিদিত ॥ কতক্ষণে দোহে স্থির হইয়া বসিলা । পরস্পর সকল বৃত্তান্ত জানাইলা ॥ ক্ষেত্রস্থিত ভক্ত চেষ্টা শুনিলেন যাহা । নরোম্ভমে পুনঃ পুনঃ জিজ্ঞাসেন তাহা ॥ হেনকালে এক বিপ্ৰ আইলা ক্ষেত্ৰ হৈতে পরম বৈষ্ণব বিদ্যা সকল শাস্ত্রেতে | গোস্বামীর গ্রন্থ পড়িবেন এই আশে। । আত্মনিবেদন কৈলা আচায্যের পাশে ॥ আচার্য ঠাকুর তারে করি শিষ্টাচার। জিজ্ঞাসিলা শ্ৰীনীলাচলের সমাচার ॥ ছাড়ি দীর্ঘশ্বাস বিপ্ৰ ভাসি নেত্রজলে। কহেন হইল রত্ন শূন্ত নীলাচলে। যে দিন আইল ঐঠাকুর নরোত্তম। পরদিন হৈতে হইল বিষম বিভ্রম ৷ ক্রমে ক্রমে প্রায় সভে সংগোপন হৈলা । শুiমানন্দ গিয়া দুঃখ সমুদ্রে পড়িলা ॥ যে দশা হইল তার না হয় বর্ণন । প্রভু ইচ্ছামতে মাত্র রহিল জীবন। যে কেহ ছিলেন শুমাননো প্রবোধিয়া । করিলা বিদায় দেশে আইলু দেখিয় ॥ রহিতে নারিনু ক্ষেত্রে কি কব বিশেষ । দিব রাত্ৰি চলিলু আসিতে গৌড়দেশ। কহিতে কহিতে বিপ্ৰ অধৈর্য হইয়া । কান্দয়ে ক্ষেত্রস্থ ভক্তগণ নাম লৈয় ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর সেই বিপ্রে করি কোলে। কান্দিয়া বিহবল ভাসে নয়নের জলে ॥ কন্দে নরোত্তম অতি ব্যাকুল হিয়ায়। করয়ে যতেক খেদ কহ নাহি যায় | ব্যাস চক্রবর্তী কৃষ্ণবল্লভাদি যত । যে দশ সভার তাহা কহিব বা কত | কতক্ষণে আচাৰ্য্য ঠাকুর স্থির হৈয়া । বিপ্রে বাসা দিল| স্থির করি প্রবোধিয়া ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর তার হৈয়া প্রেমাধীন। পাঠের আরম্ভ করাইল সেই দিন ॥ ঐঠাকুর মহাশয়ে লইয়া নিভৃতে । কহিলা যতেক তাছা কে পারে বুঝিতে। রজনী প্রভাত কৈল প্রভুর কথায় । প্রাতঃকালে নরোত্তমে করয়ে বিদায় ৷

  • বিদায়ের কালে হৈল যে দশ দোহার।

তাহা দেখি নারে কেহ ধৈয্য ধরিবার ॥ আচাষ চাহিয়া নরোত্তম পথপানে । হইলেন জড় প্রায় ধারা দুনিয়নে ॥ ব্যাস চক্রবর্তী আদি কথো দূর গেলা। নরোত্তম তা সভারে যত্নে ফিরাইল ।