es নরোত্তম প্রতি কহে মধুর বচনে। শ্ৰীকেশব ভারতী ছিলেন এইস্থানে ॥ এই ঠাঞি কৈলা প্রভু মস্তক মুগুন। ভারতীর স্থানে কৈলা সন্ন্যাসগ্রহণ ॥ এত কহিতেই কণ্ঠরুদ্ধ তা সভার। নদীর প্রবাহ প্রায় নেত্রে অশ্রদ্ধার ॥ নরোত্তম ভাসে দুই নয়নের জলে। । মুচ্ছ প্রায় গড়াগড়ি যায় ভূমিতলে ৷ ধূলায় ধূসর অঙ্গ সে দশা দেখিয়া। কে আছে এমন যে ধরিতে পারে হিয়া ॥ কতক্ষণে বাহ্যজ্ঞান হইল সভার । দেখয়ে মন্দিরে গৌরচন্দ্রে চমৎকার। প্রভু নিজ প্রিয় দুঃখ না পরে সহিতে । করিলা সভারে স্থির নিজাঙ্গ ভঙ্গীতে ॥ নরোত্তম সে দিবস রহিলা তথাই । হৈল যে প্রকার ত কহিতে সাধা নাই। প্রভাতে বিদায় হইলেন যে প্রকারে । । কে ধরি ধৈর্য তাহ বণিবারে পারে ॥ সঘনে সঙরি নিত্যানন্দ বলরাম । চলিলেন রাঢ়দেশে একচক্র গ্রাম ॥ গ্রামে প্রবেশিতে নিত্যানন্দ দয়াময়। বুদ্ধ বিপ্ররূপে নারাত্তমে জিজ্ঞাসয় ॥ কি নাম তোমার আইলে কোথা হৈতে। কি কার্য্যে যাইৰে কোথা স্থিতি কোথাতে নরোত্তম কহে মোর নরোত্তম নাম । ক্ষেত্ৰ হৈতে আইলু এই গ্রামে আছে কাম জনরোত্তমবিলাস। এথা নিত্যানন্দ অবতীর্ণ সে বিদিত । যার মাতা পিতা পদ্মা হাড়াই পণ্ডিত ॥ র্তার জন্মস্থান যথা লীলা যে যে স্থানে। সে সব দেখিতে সাধ করিয়াছি মনে ॥ পদ্মাবতী পার গ্রাম খেতরি নামেতে । তথাই নিবাস তথা যাব এথা হৈতে ॥ শুনি নরোত্তমের মধুর মৃদুভাষ। শুনিয়া হাসে কিছু না করে প্রকাশ ৷ নরোত্তম প্রতি কহে সব জানি আমি । করব দর্শন মোর সঙ্গে আইস তুমি ৷ এই দেখ এথা নিত্যানন্দ সখী সঙ্গে । ধরি গোপবেশ গোচারণ কৈলা রঙ্গে । এথা নিত্যানন্দ হল মুষল লইয়া । ভ্ৰমিলেন সভারে অভয় বর দিয়া ॥ এই খানে নিত্যানন্দ কৈলা রামলীলা । সেতুবন্ধ করি এথা লঙ্ক প্রবেশিলা ॥ বধিয়া রাবণ সীতা করিলা উদ্ধার । এই দেখ অযোধ্যায় অশেষ বিহার ॥ যৈছে শ্বেতদ্বীপে বলরাম বিসলয়। তৈছে নিত্যানন্দ এই স্থানে বিহ্রয় ॥ হাড়ো পণ্ডিতের ঘর দেখহ এথায় । এই স্থানে জন্মিলেন নিতানন্দ রায় ॥ হামাগুড়ি বেড়াইয়া বাহির প্রাঙ্গণে । ধরিয়া সপের ফণা থেলে এইখনে ॥ দেখ এইখানে তঁর শ্ৰীচুড়াকরণ। ধরিলেন যজ্ঞস্থত্র ভুবনমোহন ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।