ষষ্ঠ বিলাসন। জয় গেীর নিত্যনন্দাদ্বৈতগণ সহ । এদীন দুঃখীরে প্রভু কর অনুগ্রহ ॥ জয় জয় কৃপার সমুদ্র শ্রোতাগণ । এবে যে কহিয়ে তাহ করহ শ্রবণ ॥ পদ্মাবতী নদী পার হৈয়া মহাশয় । শুভক্ষণে শ্ৰীখেতরি গ্রামে প্রবেশয় ॥ চতুর্দিকে আসি লোক দেখে নেত্র ভরি । আনন্দ সমুদ্রে মগ্ন হইলা খেতরি ॥ । শ্ৰীসন্তোষ আদি ঐঠাকুর মহাশয়ে । যত্নে লই গেল অতি নিৰ্জ্জন আলয়ে ॥ তথাপিহ লোক গতাগতি নাহি অন্ত । লোক ভিড় দিবারাত্রি প্রহর পর্য্যন্ত ॥ শ্ৰীঠাকুর মহাশয় নিশায় নির্জনে। কৈছে সেবা প্রকাশিব এই চিন্তে মনে ॥ নিশাবসনাতে নিদ্র কৈলা আকর্ষণ । স্বপ্ন ছলে কহে কিছু শচীর নন্দন ॥ ওহে নরোত্তম তুয়া পথ নিরখিয়া। পূৰ্ব্বেই আছিয়ে ধাতু বিগ্ৰহ হইয়। তোমার রাজ্যেতে এক গৃহস্থ প্রধান। সকলেই জানে তারে অতি অর্থবান ॥ তার ঘরে ধাস্তাদির গোলা বহু হয় । তাহ কেহ যাইতে নারে মহা সৰ্পভয় ॥ তার মধ্যে বৃহৎ গোলায় আছি আমি । মোচন করিয়া দ্বার শীঘ্ৰ আন তুমি। পুনঃ আর বিগ্রহ নিৰ্ম্মাণ কথা কৈয়া। হৈলা আদর্শন নরোত্তমে আলিঙ্গিয় ॥ স্বপ্নের বিচ্ছেদে ঐঠাকুর মহাশয়। ব্যগ্ৰ হৈয়া জাগি দেখে রাত্রি দণ্ডদ্বয় ॥ শ্ৰীনাম কীৰ্ত্তনে রাত্রি প্রভাত করিয়া । কৈলা শীঘ্র দস্তুধাবনাদি স্নান ক্রিয় ॥ অতিহৰ্ষ হৈয়া কহেন সৰ্ব্বজনে । বহুগোষ্ঠী গৃহস্থ কে আছে কোন খানে । ধান্তাদির গোলা বহু হয় তার ঘরে । সর্পভয়ে তথা কেহ যাইতে না পারে। । সকলেই কহে তারে জানিয়া আমরা । ঠাকুর কহেন তবে চলহ তোমরা ॥ - তথা মোর আছে অতি গৃঢ় প্রয়োজন। { এতকহি মহাশয় করিলা গমন ॥ অতিশীঘ্র সেই গৃহস্থের ঘর গেলা । গোষ্ঠ সহ সে আপনা কৃতাৰ্থ মানিল । ঐঠাকুর মহাশয় চলে গোলাপানে। সে গৃহস্থ ব্যগ্ৰ হৈয়া পড়িলা চরণে ॥ দুই হাত যুড়ি কহে করিয়া ক্ৰন্দন। মহাসর্পভয় তথা জানে সৰ্ব্বজন ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।