পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলিলা বুধরি গ্রামে রজনী প্রভাতে । গ্রামে প্রবেশিতে লোক দেখি হৃষ্ট হৈয়া ।

  • - জীনরোত্তম-বিলাস ।

দুই ভাই শিষ্য হৈল পিতার নিদেশে। হইল মিলন কৈছে প্রেমনে ভরে। পরম পণ্ডিত মত্ত সঙ্কীৰ্ত্তন রসে। কিছু বিস্তারিনু গ্রন্থ ভক্তি-রত্নাকরে ॥ তথা হৈতে দেহে আইলা আনন্দ অন্তরে। আচাৰ্য্য ঠাকুর ঐঠাকুর মহাশয়ে। আচাৰ্য্য ঠাকুর কালি আইলা ভূধরে। কছেন বৃত্তান্ত সব নিৰ্জ্জুন আলয়ে ॥ আজু মোর স্থপ্রভাত এতেক কহিয়া রামচন্দ্র দিকে শিষ্য কৈলা যে প্রকারে । শ্ৰীগৌরমন্দিরে গেল দুইজনে লৈয়া । বিবাহ করিয়া যৈছে গেলা ব্ৰজপুরে। বলরাম পূজারী প্রভৃতি যে যে তথা। রামচন্দ্র দিক যৈছে গেল বৃন্দাবনে । , সভারে কহিলা সংক্ষেপেতে সব কথা ॥ কবিরাজ খ্যাতি র্তার হইল যেমনে ॥ বলরাম পুজারী পরমানন্দ মনে। যেরূপে আইলা গৌড়দেশে বিষ্ণুপুরে। ক্রমহাপ্রসাদ ভুঞ্জাইলা দুইজনে ॥ জাজিগ্রাম হৈতে যৈছে আইলা বুধরে ॥ এথা মহাশয় চলিলেন দেখিবার। কবিরাজ খ্যাতি যৈছে দিলেন গোবিন্দে মহা-মহোৎসব আয়োজনের ভাণ্ডার । কহিল এসব কথা মনের আনন্দে ॥ দেখিয়া প্রস্থত অতি উল্লাস হিয়ায় । শ্ৰীঠাকুর মহাশয়ে জিজ্ঞাসে মঙ্গল । যার যেই কার্য তারে নিয়োজিল তায় ॥ | ক্রমে ক্রমে মহাশয় কহেন সকল ॥ দেবীদাস গোকুল গৌরাঙ্গে লৈয়া সাথে শ্ৰীসন্তোষ রায় আদি শিষ্য যে প্রকারে। ভক্তিদেবী কৃপ। যৈছে করিলা সভারে 1. শ্ৰীগৌর বিগ্রহ প্রপ্তে যে রঙ্গ হইল। শ্ৰীআচাৰ্য্য ঠাকুরে কহিলা শীঘ্ৰ গিয়া ॥ আর পঞ্চ বিগ্রহ নিৰ্ম্মণ যৈছে কৈল ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর মহা আনন্দ হৃদয় । শ্ৰীমহোৎসবের যৈছে হৈল আয়োজন। বাটার বাহিরে দেখে আইল মহাশয়। | ক্রমনির যৈছে সিংহাসনের গঠন। মহাশয় ভূমে পড়ি প্রণাম করিতে। এত কহি কহে পত্রী পাইলু যেইক্ষণে কোলে লৈয় আচাৰ্য্য নরিয়ে স্থির হৈতে। ফালগুনী পূর্ণিময় উৎসব কৈলু মনে উথলিল প্রেমের সমুদ্র অতিশয়। আচাৰ্য্য কহেন সেই দিন স্থির হৈল । । দেখিতেই হৈল সৰ্ব্বলোকের বিস্ময় ॥ এত কহি নিমন্ত্রণ-পত্রী লেখাইল ॥ ঐঠাকুর মহাশয়ে আচাৰ্য আপনে। শ্ৰীগৌরমণ্ডলে ভক্ত লয় যথা যথা । মিলাইল রামচন্দ্রদিক সৰ্ব্বজনে ॥ নিমন্ত্রণপত্রী পাঠাইলা তথা তথা ॥