ঐনরোত্তম বিলাস । むら উৎকলে মনুষ্য শীঘ্ৰ পঠাইয়া দিলা। ] হীঠাকুর মহাশয় রামচন্দ্ৰে লৈয় । , গ্রামানন্দে এ সকল বৃত্তান্ত লিখিলা ॥ দিলেন সভারে বাসা নির্জন দেখিয় ॥ . সৰ্ব্বত্রে লিখন পাঠাইলা হৰ্ষমনে । নরোত্তম রামচন্দ্র আদি সৰ্ব্বজন। না জানি কি মহাশয়ে কহিলা নির্জনে ॥ | আচার্য্যের পথপানে করে নিরীক্ষণ ॥ কৃষ্ণ-কথা-রসে অতি বিহ্বল হৈয়া । এথা শ্ৰীআচার্য্য কত জনে শিষ্য করি। নরোত্তমে দিলা রামচন্দ্রে সমপিয়া ॥ গোবিন্দাদি সঙ্গে শীঘ্ৰ গেলেন খেতরি ॥ এ দুইজনের তন্তু প্রাণ মন এক । কি অদ্ভুত শোভা হৈল গ্রামে প্রবেশিতে দেখিতেই ভিন্ন প্রেমমূৰ্ত্তি পরতেক ॥ আইলা বৈষ্ণব সব আগুসরি লৈতে ॥ শ্ৰীআচার্য নরোত্তম রামচন্দ্র রীত । উথলিল প্রেমানন্দ সভার হিয়ায়। দুই এক দিবসেই হইল বিদিত। আচাৰ্য্য লইয়া আইল অপূৰ্ব্ব বাসায়। কেহ কহে এ তিন মতুষ্য কভু নয় । বাসা হৈতে আচাৰ্য্য ঠাকুরগণ সনে। জীবের নিস্তার হেতু তিনের উদয় ॥ অতি শীঘ্ৰ গেলা শ্ৰীগৌরাঙ্গ দরশনে ॥ কে কহে আহে ভাই তিনের দর্শনে। ] লক্ষ্মী বিষ্ণুপ্রিয়া সহ দেখি গৌররায়। " এক বস্তু তিন এই হয় মোর মনে ॥ হইল বিহবল নেত্রজলে ভাসি যায় ॥ কেহ কহে মোর মনে উপজয়ে যাহা । আর পঞ্চ বিগ্ৰহ করিয়া দরশন। ব্যক্ত করি কাছকে নারি তাহা ॥ ঐছে কত কথা লেক কহে পরস্পরে। বিস্তারিতে নারি গ্রন্থ বাহুলোর ডরে ॥ আচার্য শ্ৰীমহাশয়ে রাখি দিন চারি। বিদায় করিলা আগে যাইতে খেতরি ॥ রামচন্দ্র আদি প্রিয়গণ সঙ্গে দিলা । থেতরি যাইয়া সভে গৌরাঙ্গে দেখিলা ॥, শ্ৰীদাস গোকুলানন্দ গুণের নিধান। ব্যাস আচার্য্যাদি সভে মহা বিদ্যাবান ॥ সকলের হৈল মহ আনন্দ হৃদয় । দেখি প্ৰভু সেবার সম্পত্তি অতিশয় ॥ হৈল প্রেমাবেশে যৈছে না হয় বর্ণন ॥ কতক্ষণে স্থির হৈয়া প্রিয়গণ সনে । দেখিলাম সামগ্ৰী সব প্রস্তুত ভবনে ॥ গণসহ বাসা আসি চিন্তে অনুক্ষণ । শুীমানন্দ গমনে বিলম্ব কি কারণ ॥ হেনকালে কেহ আসি কহে আচম্বিতে। শ্ৰামীনন্দ আইলেন উৎকল হৈতে ॥ শুনি আচার্য্যের হৈল আনন্দ হৃদয় । গণসহ আগুসারি গেলা মহাশয় ॥ হেনকালে স্যামানন্দ নিজগণ সনে। আসি প্রবেশিলা শীঘ্র আচাৰ্য্য ভবনে ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।