শ্ৰীনরোত্তম বিলাস । 6:%. مس۔ح سمحسپ ঐগৌরাঙ্গ চন্দ্রে সমৰ্পিয়া থরে থরে । পৃথক পৃথক খুইলেন বাসা ঘরে ॥ এথা স্নানাদিক ক্রিয়া সভে সমাধিলা । শ্ৰীমহাপ্রসাদ অতি যত্নেতে ভুঞ্জিলা ॥ সে দিবস শ্ৰীজাহ্নবী ঈশ্বরী আপনে । মনের আনন্দে শীঘ্ৰ চলিলা রন্ধনে ॥ করিলা রন্ধন শীঘ্র বিবিধ প্রকার। শুনিতে সভার মনে হৈল চমৎকার ॥ শ্ৰীগৌরাঙ্গ চন্দ্রে ভোগ কৈলা সমর্পণ । পরম আনন্দে প্রভু করিলা ভোজন। কতক্ষণ পরে যত্নে ভোগ সরাইয়া । ভুঞ্জাইলা সভারে পরম যত্ন পাঞ ॥ অমৃত সমান সব দিতে কি তুলনা। যে ভুঞ্জিল সে আনন্দে পাসরে আপন ॥ শ্ৰীঈশ্বরী করিলেন প্রসাদ সেবন। সৰ্ব্ব মহান্তের হৈল আনন্দিত মন ॥ ঐযদুনন্দন চক্ৰবৰ্ত্তী আদি যত । ভুঞ্জিলেন পশ্চাতে করিয়া যত্ন কত ॥ শ্ৰীমহাপ্রসাদাস্বাণে যে লইল মনে । কহিতে নারয়ে অশ্রীধারী জুনিয়নে ৷ নিজ ইষ্টদাস গদাধরে সঙরিয়া। কতক্ষণে স্থির হৈলা নিভৃতে বসিয় ॥ খেতরি যাইতে অতি উৎকণ্ঠিত মন। করিলেন তথা যাইবার আয়োজন ॥৯ জীগৌরচন্দ্রের সেবা পরিচারকেরে। করিলেন সাবধান সকল প্রকারে ॥ হইল সন্ধ্য সময় সকল সাধিতে। আইলা সৰ্ব্ব মহাস্ত গৌরাঙ্গ প্রাঙ্গশেতে ॥ শ্ৰীগৌরচন্দ্রের করি আরতি দর্শন । করিলেন কতক্ষণ শ্ৰীনাম কীৰ্ত্তন ॥ গোঙাইল রাত্ৰি সবে কৃষ্ণকথারসে। হইল কিঞ্চিৎ নির্জা মনের উল্লাসে ॥ রজনী প্রভাতে গৌরচন্দ্রে প্রণমিঞা। আইলেন ঐছে পথে সভা সম্বোধিয় ॥ অদ্য শীঘ্র পদ্মাবতী হইলেন পার । আম পাঠাইলা শীঘ্র দিতে সমাচার ॥ শুনি এ প্রসঙ্গ সব আচাৰ্য্য ঠাকুর। হইলেন যৈছে তাহা বচনের দুর। শ্ৰীঠাকুর মহাশয় স্যামানন্দ আদি । হইল সভার মনে আনন্দ অবধি ॥ যাইতে দেখয়ে নেত্র আগে বিদ্যমান। আইসেন সভে তেজ স্বর্য্যের সমান ॥ নিরখিতে নেত্রের নিমিখ গেল দূরে। হইল অবশ অঙ্গ চলিতে না পারে। এ সভার দশা দেখি জাহ্নবী ঈশ্বরী। নাবিলেন দোলা হৈতে প্রভুরে সঙরি ॥ শ্ৰীঅচ্যুত আদি কথোজন যানে ছিল । মনের উল্লাসে শীঘ্র ভূমেতে নাবিলা ॥ শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যাদি ভাসি প্ৰেমজলে } লোটাইয় পড়ে ঈশ্বরীর পদতলে। ঐজাহ্নবী ঈশ্বরী নারয়ে স্থির হৈতে। ষৈছে অনুগ্রহ কৈলা কে পারে কহিতে ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।