শ্ৰীনরোত্তম-বিলাস । ঐজাহ্নবী ঈশ্বরী মধুর মৃত্নভাষে । কহয়ে নিৰ্ভনে নরোত্তম শ্ৰীনিবাসে ॥ শুনিতে এ খেদ বিদরয়ে মোর হিয়া । সম্বরহ খেদ প্রভু আজ্ঞা সঙরিয়া | ফাগুখেলা আরম্ভের এইত সময় । শুনি স্মৃতি হৈতে হৈল আনন্দ হৃদয় | প্রণমিঞা শ্ৰীজাহ্নবী ঈশ্বরী চরণে । সভাসহ গেলা সৰ্ব্ব মহান্তের স্থানে | গণসহ আচার্য ঠাকুর মহাশয়ে । শ্ৰীঅচ্যুতানন্দ আদি সভে প্রবোধয়ে। নিতানন্দাদ্বৈত গেীরগণের সঙ্গিতে । তোমা সভাকরি প্রেমাধীন সৰ্ব্বমতে ॥ জন্মে জন্মে তোমরা সে প্রভূর কিঙ্কর। সদা তোমাদের তেঁহে নয়ন গোচর । যে আনন্দ পাইলু তোমাসভার কীৰ্ত্তনে। জন্মে জন্মে মোর সভার রহে যেন মনে । ইহা বলি আলিঙ্গন করয়ে সভারে। ভাসে নেত্রজলে ধৈর্য্য ধরিতে ন পারে। শ্ৰীনিবাস নরোত্তম আদি যত জন । প্রেমাবেশে বন্দিলেন সভার চরণ | পরম্পর যে আনন্দ হৈল সে সময় । তাহা একমুখে কি কহিতে সাধ্য হয়। শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য ঠাকুর মহাশয়। সকল মহান্ত প্রতি যত্নে নিবেদয় ॥ প্রভুর শ্ৰীঅঙ্গে ফাগু করি সমর্পণ । ফাগুক্রীড় করন্থ লইয়া সৰ্ব্বজন ॥ ぐ \ শুনিতেই সভার হইল হর্ষ হিয়া। হেনকালে শ্ৰীসন্তোষ আইলা ফাগু লৈয়া ॥ বিবিধ প্রকার ফাগু সুগন্ধি সুন্দর। পৃথক পৃথক পাত্রে শোভে মনোহর । আইল যতেক ফাগু লেখা নাহি তার। ফণগুময় সৰ্ব্বত্র দেখিতে চমৎকার ॥ শ্ৰীঠাকুর মহাশয় রামচন্দ্ৰে লৈয়া । শ্ৰীঈশ্বরী আগে ফাগু দিলা সাজাইয়া ॥ ফাণ্ড লৈয়৷ শ্ৰীমন্দিরে গেলেন ঈশ্বরী। প্রভু অঙ্গে ফাগু দিয়া দেখে নেত্র ভরি ॥ হইয়া অধৈর্যা পুনঃ আসিয়া নির্জনে। নিবারিতে নীরে অশ্রু ধারা নয়নে ॥ এথ শ্ৰীক্ষাত রঘুনন্দন গ্ৰনিধি। কাশীনাথ হৃদয় চৈতন্ত যদু আদি ৷ সকল মহন্ত ফাগু লইয়া উল্লাসে । গৌরাঙ্গ অঙ্গেতে দিয়া হাসে প্রেমাবেশে । কেহ রাধাকান্তে শ্ৰীবল্লবী কন্তে দিয়া । ব্রজের বিলাস কহে মহাহৰ্ষ হৈয়া ॥ কেহ রাধা সহ কৃষ্ণে ফাগু দেই রঙ্গে । কেহ ফাগু দেন ব্রজমোহনের অঙ্গে । কেহ রাধারমণের অঙ্গে ফাগু দিতে । হইল অধৈৰ্য্য চারু শোভা নিরখিতে | এইরূপে ফাগু প্রভুগণে সমপিয়া । পরস্পর খেলে ফাগু বিহবল হইয়া ॥ কেহ হোলি যাত্র পদ্য পড়য়ে উচ্ছায়। কেহ নবদ্বীপ বৃন্দাবন লীলা গায় ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।