পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীনরোত্তম বিলাস। কেহ উদ্ধ বাঙ্গাইয়া ফিরে কেহ নাচে। এথা শ্ৰীজাহ্নবী দেবী অতি উষাকালে। কেহ হন্তে লৈয়া ফাগু ধায় কার পাছে ॥ | প্রাতঃক্রিয় সারি,স্নান কৈল উষ্ণজলে । আঙ্ক বিস্মরিত সভে হৈয়া মত্ত প্রায় । করিয়া আহ্নিক ক্রিয়া মনের উল্লাসে। কেহ কারে ধরি ফাগু দেন সৰ্ব্ব গায় ॥ | গেলেন রন্ধন ঘরে লৈয়া শ্ৰীনিবাসে ॥ লক্ষ লক্ষ লোক ফাণ্ড খেলে চারি পাশ। রন্ধন সামগ্ৰী সব প্রস্তুত দেখিয়া। উড়য়ে উৰ্দ্ধেতে ফাগু ঝাপায়ে আকাশ ৷ | দেবতা মনুযাগণে হৈল এক মেলা । জগতে উপমা নাই ঐছে ফাগু খেলা ৷ খ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যাদি মনের উল্লাসে । ফাগুতে ভূষিত হৈয়া ফিরে চারি পাশে ॥ হইল অদ্ভূত ফাগু খেলা কতক্ষণ । কাহার শকতি ইহা করিতে বর্ণন ॥ সকল মহান্ত স্থির হৈতে সন্ধ্যা হৈল। প্রভুর আরতি দেখি নেত্র জুড়াইল ॥ কতক্ষণ মত্ত হৈয়া ঐনাম কীৰ্ত্তনে। সভে পুনঃ বসিলেন প্রভুর প্রাঙ্গণে ॥ প্রভু জন্মতিথি অভিষেকাদি বিধান। করিলেন আচাৰ্য্য হইয়া সাবধান। সকল মহন্ত অতি আনন্দ অন্তরে । গৌরাঙ্গের জন্ম-গীত গায় মৃদুস্বরে ॥ বাজে বণিজ মৃদঙ্গ পরম রসায়ন । কেহ কেহ করে নৃত্য ভুবন-মোহন ॥ গীত নৃত্য বাক্সের উপমা নাহি দিতে । যে আনন্দ হৈল তাহ কে পারে বর্ণিতে ॥ ঐছে প্রেমাবেশে সভে রাত্রি গোড়াইলা । রজনী প্রভাতে সভে প্রাতঃক্রিয়া কৈলা ॥ আচার্য্যের প্রতি কহে ঈষৎ হাসিয়া ॥ কহিব তোমারে নানা দ্রব্য আনাইতে । এ হেতু তোমারে লৈয়া আইলু এথাতে। এত শীঘ্ৰ এথা সব প্রস্তুত করিলা। করিব রন্ধন ঐছে কি রূপে জানিলা ॥ এত কহি পাদপীঠে বসিয়া ঈশ্বরী। করয়ে রন্ধন সৰ্ব্ব মতে যত্ন করি ॥ পরিচারকের চারু চাতুর্য দেখিয়। প্রশংসয়ে সভারে পরম হৰ্ষ হৈয়া ॥ ঈশ্বরীর পাকক্রিয় অলৌকিক হয়। লিখিতে নারয়ে কেহ কৈছে সমাধয় ॥ বিবিধ ব্যঞ্জন অন্ন শীঘ্ৰ পাক কৈলা । অপুৰ্ব্ব থালিতে অন্ন যত্নে নামাইলা ॥ নানা ব্যঞ্জনাদি বহু পাত্রে পুর্ণ করি। ভোগ লাগাইতে ত্বর হইলা ঈশ্বরী ॥ পৃথক পৃথক ভোগ শোভা নিরখিয়া । প্রভুরে অর্পেণ ভোগ মহাহৰ্ষ হৈয় ॥ গৌরাঙ্গ বল্পবীকান্ত স্ত্রীরাধামোহন। রাধাকান্ত রাধাকৃষ্ণ জীব্রজমোহন ॥ বিবিধ কৌতুকে সভে ভুঞ্জে হর্ষ হৈয়া । অপূৰ্ব্ব সুস্বাছ সব দ্রব্য প্রশংসিয়া ॥