জীরঘুনন্দন আদি কহে বারবার। যে সুখে ভুঞ্জিলু ঐছেঃনা,হইবে আর ॥ এত কহিতেই সভে ভাসে নেত্রজলে । অনেক যত্নেতে ধৈৰ্য্য করিলা সকলে ৷ আচাৰ্য্য ঠাকুর ঐঠাকুর মহাশয়। ঈশ্বরী নিকটে গিয়া যত্বে নিবেদয় ॥ হৈল বহু শ্রম এবে বসিয়া নির্জনে । ভুঞ্জেন প্রসাদ এই মো সভার মনে ॥ ঈশ্বরী কহেন মোর বড় সাধ আছে। তোমা সভ ভুঞ্জাই ভুঞ্জিব তব পাছে ৷ সকলে লইয়া শীঘ্র প্রাঙ্গণে বৈসহ । আমার শপথ ইথে যদি কিছু কহ ॥ শুনিয়া আচাৰ্য্য শীঘ্ৰ লৈল সৰ্ব্বজনে। মণ্ডলীবন্ধনে বৈসে প্রভুর প্রাঙ্গণে ॥ পূৰ্ব্বমত পত্রাদি দেখিয়া হৰ্ষচিতে । ঈশ্বরী করেন পরিবেশন ক্রমেতে ॥ ভুঞ্জায়েন সভারে পরম স্নেহ করি । ভুঞ্জে সভে সুখে প্রভু চরিত্র সঙরি ॥ পাইয় পরম স্বাদু মনের উল্লাসে । কেহ কার প্রতি কঙ্গে সুমধুর ভাষে । দেবের দুল্লভ এই গ্ৰহস্তের পাক । জনমিয়া কভু না খাইলু ঐছে শাক । ইছে নানা ব্যঞ্জন ভূঞ্জয়ে প্রসংশিয়া । আপন মনয়ে ধন্ত মহাহৰ্ষ হৈয় ৷ এথ রঘুনন্দনাদি বিহ্বল স্নেহেতে। দেখিয় ভোজন শোভা গেলেন বাসাতে ॥ শ্ৰীনরোত্তম বিলাস। SAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA ভোজনসমাধি উঠলেন ত্রনিবাস। নরোত্তম রামচন্দ্র গোবিন্দ উদাস ৷ রামকৃষ্ণ কুমুদ গোকুলানন্দ ব্যাস। শু্যামানন্দ শ্ৰীকৃষ্ণ বল্লভ দেবীদাস ॥ ভগবান নৃসিংহ গোকুল কর্ণপুর। কিশোর রসিকানন্দ গৌরাঙ্গ ঠাকুর । শ্ৰীগোপীরমণ আদি করি আচমন । প্রসাদি তাম্বুল সভে করিলা ভক্ষণ ॥ শ্ৰীঈশ্বরী সমীপে আচাৰ্য্য শীঘ্ৰ গিয়া । নির্জনে ভোজন স্থান কৈল যত্ন পাঞ ॥ শ্ৰীজাহ্নবী ঈশ্বরী পরমানন্দ মনে । লইয়া সকল দ্রব্য বসিল ভোজনে । ঐআচাৰ্য্য ঠাকুর ঐখামানন্দে লৈয় । ভুঞ্জয়েন অনেক লোকেরে যত্ন পাঞl ॥ পুজারী শ্ৰীবলরাম আদি কত জন । সৰ্ব্বশেষে এ সভার হইল ভোজন | খ্রীজাহ্নবী ঈশ্বরী ভোজন সমাধিয়া । কৈল উষ্ণজলে স্নান নিভৃতে আসিয় ॥ ঈশ্বরীর পরিচারিক যে বিপ্ৰ নারী। স্বক্ষ বসনেতে অঙ্গ পোছে ধরি ধরি } প্রভু বিচ্ছেদগ্নিতেই দগ্ধ নিরস্তর। তাহে অতি ক্ষীণ সে হেমাজ কলেবর ॥ ঐছে অঙ্গ পোছাইলা অতি সাবধানে । পরিধেয় বস্ত্র আনি দিল অন্ত জনে ॥ শুষ্কধৌত বস্ত্র পরি আসনে বসিয়া । হরীতকী খণ্ড খাই মুখ প্রক্ষালিয়া ॥
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।