.” জীনরোত্তম বিলাস । এখা শ্ৰীনিবাসাচার্য্য নির্জনে আলয়ে । ক্ষণেক বিশ্রাম করি কহে মহাশয়ে ॥ চলিবেন কালি সভে রজনী বিহান। *পদ্মাবতী পার হৈয়া করিবেন স্নান ॥ প্রসাদ পঙ্কার সঙ্গে গেলে ভাল হয়। পদ্মাবতী তীরে যেন সকলে ভুঞ্জয় ॥ ঐঠাকুর মহাশয় শুনিয়া ত্বরিতে । করাইল বিবিধ পক্কায় যত্ন মতে ॥ প্রভুকে সমৰ্পি তাঙ্গ পৃথক করিয়া । সঙ্গে যে দিবেন তা রাখিল সাজাইয়া ॥ ঐআচার্যা পাশে আসি সব নিবেদিল । এ কার্য সাধিতে সন্ধা সময় হইল ॥ এথা সৰ্ব্ব মহাস্তের মন নহে স্থির । নিজ নিজ বাসা হৈতে হইল বাহির । প্রভুর আরতি পূর্বে উৎকণ্ঠিত হৈয়া। দাগুইলা সন্ডে প্রভু প্রাঙ্গণে আসিয়া ॥ পূজার তুলসী পুষ্প মালা সভে দিয়া। প্রভুর আরতি করে উল্লাসিত হৈয়া ॥ আরতি দর্শন করি সকল মহন্ত । করে নাম কীৰ্ত্তন সুখের নাছি অন্ত ॥ শুনিতে দ্রবয়ে দারু পাষাণ হৃদয় । অমৃতের নদী যেন চতুর্দিকে বয় ॥ সকল মহাস্ত প্রেম সমুদ্রে সীতারে। , ধুলায় লোটায় ধৈর্য্য ধরিতে না পারে। একে সে সভার অঙ্গ অতি মনোহর। তাহাতে হুইল চারু ধূলায় ধূসর ॥ " যে দেখে সে শোভা তার তাপ যায় দূরে। প্রেমভক্তি অনুগ্রহ করে তা সভারে । ঐছে প্রহরেক করি নাম সংকীৰ্ত্তন। শয়ন আরতি দেখিলেন সৰ্ব্বজন ॥ পুন: মালা তুলসী পুজারী আনি দিলা। বিদায় হইয়া সভে বাসায় চলিলা ॥ আচাৰ্য্য অধৈর্য্য বাহে ধৈর্য্য প্রকাশিয়া । নরোত্তমে কৈলা স্থির যত্নে প্ৰবোধিয়া । প্রসাদি পঙ্কান্ন সব লৈয় খরে থরে । অতি শীঘ্ৰ গেলেন সভার বাসা ঘরে ॥ সকল মহন্ত প্রতি কহে বারবার। কালি এ খেতরি গ্রাম হৈবে অন্ধকার । পদ্মাবতী পার হৈয়া পদ্মাবতী তীত্রে। করিবেন স্নান সভে প্রসন্ন অন্তরে ॥ তথা ভুঞ্জিবেন এই প্রসাদি পঙ্কান্ন। বুধরি গ্রামেতে গিয়া হইবে মধ্যাহ্ন ৷ আগে যাইবেন গোবিন্দাদি কথোজন । সেই সঙ্গে পাককৃর্তা করিবে গমন ॥ রামচন্দ্রাদি এ সঙ্গে যাইবেন তথা । বুধরি হইতে র্তারা আসিবেন এখা । তবে ঐঈশ্বরী যাইবেন বৃন্দাবন। ঐছে কত কহি পুনঃ করে নিবেদন ॥ এই মহাপ্রসাদ ভুঞ্জহ এইক্ষণে । এ তোমা সভার ভৃত্য দেখুক নয়নে ॥ খ্ৰীনিবাস আগে সভে প্রসাদ ভুঞ্জয় । হইবে বিচ্ছেদ এতে ব্যাকুল বায় ৷
পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।