পাতা:শ্রীশ্রীনিত্যানন্দচরিতামৃত.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“নিত্যানন্দ-অঙ্গে মুই কৈলু রক্তপাত ।” ইহা বলি নিরস্তর করে আত্মঘাত ৷ “ষে অঙ্গে চৈতন্যচন্দ্র, করয়ে বিহার । হেন অঙ্গে মুই পাপী করিমু প্রহর । মুচ্ছাগত ভুয় ইহা সঙরি মাধাই । অহনিশ কান্দে, আর কিছু চিস্তা নাই ৷ নিত্যানন্দ মহাপ্রভু বালক-আবেশে । অহনিশ নদীয়ায় বুলেন হরিষে ॥ সহজে পরমানন্দ নিত্যানন্দ-রায় । অভিমান নাহি—সর্বব-নগরে বেড়ায় ॥ একদিন নিত্যানন্দে নিভৃতে পাইয়া । পড়িলা মাধাই দুই-চরণে ধরিয়া ৷ প্ৰেমজলে ধোয়াইল প্রভুর চরণ । দন্তে তৃণ ধরি করে প্রভুর স্তবন । “বিষ্ণুরূপে তুমি প্রভু ! করহ পালন । তুমি সে ফণায় ধর অনন্ত ভুবন ॥ ভক্তির স্বরূপ প্ৰভু ! তোর কলেবর । তোমারে চিস্তয়ে মনে পার্ববর্তী-শঙ্কর ৷ তোমার সে ভক্তিযোগ, তুমি কর দান । তোমা’ বই চৈতন্তোর প্রিয় নাহি আন । তোমার সে প্রসাদে গরুড় মহাবলী । লীলায় বহয়ে কৃষ্ণ হুই কুতুহলী ॥ . তুমি সে অনন্ত-মুখে কৃষ্ণগুণ গাও । সৰ্ব্ব-ধৰ্ম্ম-শ্রেষ্ঠ ভক্তি’ তুমি সে বুঝাও ৷ তোমার সে গুণ গায় ঠাকুর নারদ । তোমার সে যত কিছু চৈতন্যসম্পদ । *কালিন্দীভেদনকারী’ তোমার সে নাম । তোমা” সেবি জনক পাইল দিব্যজ্ঞান ৷ সৰ্ব্ব-ধৰ্ম্ম-ময় তুমি পুরুষ পুরাণ । বেদে সে বলয়ে তোমা আদি-দেব-নাম । তুমি সে জগৎ পিতা মহাযোগেশ্বর । তুমি সে লক্ষণচন্দ্র মহাধনুৰ্দ্ধর । >え